হাতে কোনো কাজ নেই। অলস সময় পার করছি।
কি করবো- সেটাই ভাবছি। কোনো কুলকিনারা না পেয়ে 'নেট' থেকে যশোর সম্পর্কে পড়লাম। কি কি জানলাম, সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। এত জেলা থাকতে যশোর কেন? আমি জানি না। আমি তো আমার বিক্রমপুর নিয়েও নেট থেকে পড়তে পারতাম। বিক্রমপুরও বাংলাদেশে, যশোরও বাংলাদেশে। যশোরের মানুষ ভালো। মায়া মমতা আছে। যশোরের মানুষ যখন কথা বলে, তখন মনে হয়- কলকাতার লোক কথা বলছে। কলতাকার মানুষদের মতো টান আছে। আমার এক চাচী আছেন। যশোর বাড়ি।
যশোর বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের খুলনা বিভাগে অবস্থিত একটি শহর।
যশোর শহর ভৈরব নদ এর তীরে অবস্থিত। ভৈরবের শাখানদী মুক্তেশ্বরী। মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মস্থান যশোরকে ফুলের রাজধানী বলা হয়, কেননা যশোরের গদখালি থেকে বাংলাদেশের ৮০% ফুল সরবরাহ করা হয়। দেশের একমাত্র সফটওয়্যার ও টেকনোলজি পার্ক যশোরে অবস্থিত। ব্রিটিশ সরকার যশোর রোড নির্মাণ করেছিল যা বর্তমানে যশোর শহরকে কলকাতা এবং খুলনার সাথে সংযুক্ত করে রেখেছে। প্রশাসনিক কাঠামোর দিক থেকে যশোর বাংলাদেশের ১৩তম বৃহত্তম জেলা।
১৭৮১ খ্রিষ্টাব্দে যশোর জেলা প্রতিষ্ঠা করা হয়।
ফারসি শব্দ 'যশর' থেকে যশোর নামের উৎপত্তি বলে অনেকের ধারণা। ফারসি শব্দ 'যশর' অর্থ ব্রীজ বা সাঁকো। যশোরে আসার জন্য অসংখ্য খাল, নদী-নালা পার হতে হতো। যশোর হলো বাংলাদেশের ৫ম বৃহত্তম পৌরসভা জনসংখ্যার দিক দিয়ে। যশোরের অর্থনীতিকে বেগবান করেছে মাছ চাষ। যশোরের অর্থনীতির সিংহভাগই আসে মাছ চাষ তথা চিংড়ি রফতানি করে। রাজধানী ঢাকা থেকে সড়ক পথে এ জেলার দূরত্ব প্রায় ২৭০ কিলোমিটার।
যশোরের ব্যবসা এবং বাণিজ্যর প্রাণ কেন্দ্র বলা যায় নওয়াপাড়াকে।
যশোরবাসীর প্রধান জীবিকা ও অর্থনীতির মূল ভিত্তিই হচ্ছে কৃষি। যশোর একটি অতি প্রাচীন জনপদ। আনুমানিক ১৪৫০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে পীর খান জাহান আলীসহ বারজন আউলিয়া যশোরের মুড়লীতে ইসলাম ধর্ম প্রচারের প্রধান কেন্দ্র স্থাপন করেন। ১৫৫৫ খ্রীস্টাব্দের দিকে যশোর রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজা বিজয়সেনের সময় বঙ্গদেশের এ অংশে এবং যশোর জেলার উপর সেন রাজবংশের শাসনের সূত্রপাত হয়।
যশোর, ঐতিহ্যগতভাবে চান্দেকান নামেও পরিচিত,
বাংলার একটি প্রাচীন এলাকা এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বনগাঁও জুড়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত আধুনিক বাংলাদেশের একটি জেলা। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর যশোর বাংলাদেশের প্রথম জেলা হিসেবে স্বাধীন হয়। যশোর জেলার দর্শনীয় স্থান ও ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে; চাঁচড়া জমিদার বাড়ি, গদখালি ফুলের বাগান, মধুসূদন দত্তের বাড়ি মধুপল্লী, কালেক্টরেট পার্ক, যশোর আইটি পার্ক, ইমাম বারা, মির্জানগর হাম্মামখানা, এগারো শিব মন্দির ইত্যাদি।
(নেট থেকে)
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:২৮