হাসিনা তার প্রেতাত্মা রেখে গেছে সর্বত্র
কেউ যদি আমাকে প্রশ্ন করেন- আপনি বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ অস্বীকার করেন কিনা?
উত্তরঃ করি।
সব গোত্রে, সব দেশে সব সমাজে বাড়াবাড়ি বা টুকটাক বিশৃঙ্খলা তৈরি করা কিছু লোকজন থাকে, সেটাকে কোন একটা ‘বাদ’/নাম’ দিয়ে খেলাটা অবশ্যই উদ্দেশ্য প্রণোদিত। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কারণটা ভারত-আকাঙ্ক্ষা। বিচ্ছিন্ন কিছু আচরণকে জঙ্গিবাদ বলার কোন কারণ নাই। জংগিবাদের চরিত্র আরো অনেক কিছু রিকয়ার করে।
চোর সম্রাজ্ঞী পালিয়ে গেলেও ফ্যাসিস্ট হাসিনা তার শয়তানি প্রেতাত্মা রেখে গেছে সর্বত্র। তারা এ পর্যন্ত বহুকিছুই করে দেখেছে, কিন্তু বহির্বিশ্বে মনোযোগ টানতে পারেনি। কারণ ফ্যাসিবাদের পতনের পর তারা প্রকৃত সত্যটা এখন দেখতে পাচ্ছে এবং তা অনেকটাই দেখতে পাচ্ছে স্পেশালি ড. মুহম্মদ ইউনুসের মাধ্যমে।
এখন তারা তাদের জঙ্গিগুটি বের করেছে, এ নিয়ে নিরলস কাজ করবার জন্য তাদের তো ‘র’ পত্রিকা প্রথম আলো আছেই, সেই সাথে সচিবালয় কেন্দ্রিক ভারতের মগজধোলাই হওয়া এজেন্ট প্রশাসন সবাই মিলে এই মিশনে মাঠে নেমেছে।
এদের দুটো গুরুত্বপূর্ণ গুটি হলো সাম্প্রদায়িক সংখ্যালঘুত্বের মিথ আর জঙ্গিবাদের উত্থানের ফেইরিটেল।
এতোদিন বজ্রপাতে হিন্দু কারো মৃত্যু হলে মুসলিম দেশের সাম্প্রদায়িক বজ্রাঘাতে সংখ্যালঘুর মৃত্যু
- টাইপ নিউজ করে তো দেখা গেলো, হচ্ছেনা, সব মিথ্যে প্রমাণ হয়েছে। এখন তাদেরকে খেলতে হবে জঙ্গিখেলা।
প্রথম আলো ও হাসিনার দোসররা আগেও ভারতদাস ফ্যাসীবাদকে টিকিয়ে রাখার জন্য বিচারবহির্ভূত নানান হত্যাকান্ডকে যেমন জঙ্গি দুশমন নিধন হিসেবে দেখাতো আর নাটক সাজাতো, তেমন চেষ্টাই তারা শুরু করেছে আবারো ফ্যাসীবাদ ও ইন্ডিয়ার যৌথ পুনর্বাসনের জন্য- যার সর্বশেষ উদাহরণ ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে মার্কিন-ইহুদী জান্তার জাতিগত নিধন যজ্ঞের প্রতিবাদে 'তৌহিদী জনতা'র ব্যানারে আওয়ামী গুন্ডাদের কেএফসি'র মুরগী চুরি, বাটার জুতা স্যান্ডেল চুরি এবং ব্যাপক ভাংচুর লুটপাট। সেই লক্ষ্যে তাদের স্ট্রঙ্গেস্ট মেনডেশাস প্রপাগান্ডাটাই হলো জঙ্গিবাদের গল্প, তাদের শেষ কড়ি।
সিমস লাইক দে স্টার্টেড টু মুভ দেয়ার কুইন-নাইট আউট অব ডেসপারেশন।