জ্বলছিলো রাজপথ
হিমশীতল গাড়ীর কাঁচে
জমছিলো জলের ফোঁটা
ঘড়ির কাঁটায় প্রায় দুটো ছুঁইছুঁই !!
ভেতরে পুরোদস্তুর
ফিটফাট আমি
পাটভাঙা অফহোয়াইট
জরিপাড় শাড়ি,
কানে ঝলমলে ছোট্ট হীরের দুল।
বাইরের ঘর্মাক্ত কলেবর পথচারী,
ক্লান্ত শ্রান্ত হকারের চিৎকার,
ভিখারীর করুণ মুখ
অন্যান্য দিনগুলোর মত
কিছুই স্পর্শ করছিলো না আমাকে।
ট্রাফিকজ্যামে বসে
সময়মত ব্রিটিশ কাঊন্সিলে
পৌছবার টেনশন ছাপিয়ে
আমার চোখ তখন-
দুপুর ভাত ঘুমে তন্দ্রা ঢুলুঢুল।
হঠাৎ বিজলি চমকে
চমকালো হৃদয়!
থমকালো চোখের পাতা!
বুকের মাঝে সাত সাগরের ঝড়-
ঊথাল পাথাল।
খরতপ্ত জনমুখর পীচগলা রাজপথে
আইল্যান্ডে দাঁড়িয়ে তুমি
হাতে এক তাড়া কাগজ,
ঊস্কখুস্ক চুল-
সেই চিরন্তন একমুখ দাড়ি,
গভীর একজোড়া চোখ।
হাতা গুটানো শার্ট,মায়াময় মুখ !!
ঘোর কাটতেই
তড়িঘড়ি গ্লাস নামালাম।
ঠিক তখুনি জ্বললো সবুজ বাতি
চললো পথের সব গাড়ি।
চিৎকার করে,
বুকফাটা আর্তনাদ আর অব্যক্ত ভাষায়
তোমাকে ডেকে উঠলো
আমার ভেতরের
সেই হারিয়ে যাওয়া কিশোরীটি।
সে ডাক পৌছুলোনা
তোমার কানে, তুমি জানলেনা,
এতগুলো দিন পরেও
সে জানতে চেয়েছিলো -
খোকাভাই কেমন আছো?