
এক জঙ্গলে বাস করত এক হরিণ ছানা। তার বন্ধু ছিল সেই জঙ্গলের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া এক নদীর এক ইলিশ মাছ। তাদের বন্ধুত্ব ছিল মানিক-জোড় এর মত। তার সাথে দুই বন্ধুই ছিল ভীষন দুষ্টু যার জুড়ি মেলা ভার। নতুন নতুন সব বুদ্ধি খুঁজে বের করত তারা দুষ্টুমি করার জন্যে।
একদিন হঠাৎ তাদের মাথায় বুদ্ধি আসল নতুন এক খেলার। কিন্তু সে খেলা ছিল ভয়ঙ্কর। দুই-জনের মাঝে হবে দৌড় প্রতিযোগিতা। যে হেরে যাবে তাকে তার সব থেকে দামী জিনিস, জিতে যাবে যে তাকে দিতে হবে। ইলিশ থাকবে পানিতে, আর হরিণ ছানা ডাঙ্গায়। এভাবেই হবে তাদের খেলা।
শুরু হল দৌড়। এক বার না দুই বার না তিন তিন বার তাদের মাঝে দৌড় হল। কিন্তু তিন বারই হেরে গেল হরিণ। আর জিতে গেল ইলিশ। এখন কথা রাখার পালা। ইলিশ অনেক ভেবে চিন্তে বের করল, হরিণের মাংসই হল সব থেকে দামি তার জন্যে। ইলিশ হরিণের কাছে তার দামী বস্তু তার মাংস চাইল জিতে যাবার পুরস্কার হিসেবে।
হরিণ খুব কষ্ট পেল বন্ধুর এরূপ কিছু চেয়ে বসায়। কিন্তু সে তার কথা রাখল। হরিণ তার নিজের অংশ বন্ধু ইলিশকে দিল আর দুঃখ ভরা মনে বিদায় নিল প্রাণ দিয়ে।
***********
* এটা একটা রূপকথা বা উপকথা। ইলিশ আমার খুব প্রিয় মাছ। আর ইলিশ মাছ খাবার সময় মাছের দুই পাশে যে খয়েরি/কফি রঙের অংশ টুকু থাকে সেটা আমার সব থেকে প্রিয়। আমি ইলিশ মাছ খাই শুধু এই টুকুর জন্যে।
* খুব ছোট বেলায় মানে প্রায় ১৬/১৭ বছর আগে কেউ একজন আমার এই ইলিশ প্রীতি শুনে এই গল্পটা বলেছিল। আর বলেছিল ইলিশের এই অংশ টুকু হচ্ছে হরিণের মাংস! আমার গল্প টার শোনার পর থেকেই মনে হত, যখন ইলিশ মাছ খাই মনে হত হরিণের মাংস খাচ্ছি। হরিণের দুঃখ টা যে কেন টাচ করেনি সেটাই ভাবি!
* গল্পটা অনেকদিন আগের শোনা তাই ঘটনার এদিক সেদিক হতে পারে।
উৎসর্গ - কিনাদিপু