আজকাল ছবি তোলার একটা হিরিক পড়েছে। ফেসবুক খুললেই দেখি নানারকম মুখাবয়ব। একেকটার ভঙ্গি একেক রকম। মেয়েদের কিছু সেলফিভঙ্গি দেখলে অনায়াসে কেউ ভুল করে বসেন কুষ্ঠ রোগী ভেবে।
যাদের একটা ডিএসএলআর আছে বা যাদের মোবাইলে হাই রেজুলেশন ক্যামেরা তাদের প্রত্যেকেই এই রোগে আক্রান্ত।
যখন যে হুজুগ সেটাকে ফেরানোর উপায় নেই। একটা যুক্তি এভাবে অনেকে দেন। কিন্তু এমনটা কি হতে পারে না, আপনার ক্যামরাটা ভালো কাজেও ব্যবহার হোক? আপনি নিজের ছবি ছাড়া আশেপাশেও একটু তাকান।
দেখুন কোথায় রাস্তাটা ভাঙা ..
তার একটা ছবি তুলুন
কোথায় আবর্জনা পড়ে আছে, সেটা ডাস্টবিনে ফেলে সেই দৃশ্যটা ক্যামেরায় ধরুন। তারপর সেটা পোস্ট করুন।
একজন বৃদ্ধ ভিক্ষা করছে তার ছবিটা পোস্ট করে কিছু অর্থ পৌঁছান।
কিংবা কোথাও দেখলেন ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি থামিয়ে উপড়ি কামাইয়ে ব্যস্ত, তার একটা ছবি...
কোনো রাস্তায় মেয়েদের টিজ করছে বখাটেরা..
তার একটা ক্লিক...
ভাড়া কম দিয়ে ঝগড়া বাঁধাচ্ছে কন্টাক্টরের সঙ্গে...
ক্লিক..
রাস্তায়, দেয়ালে প্রশ্রাব করছে কেউ
ক্লিক...
গাড়িটা অযথাই দখল করে আছে ফুটপাথ..
ক্লিক
ফুসফুসের পার্কটা দখল করে আছে ফেরিওলা..
ক্লিক
একদিন এসব তুলে ফেসবুকে দিননা। দেখবেন সাড়া পাবেন। আপনার ক্যামেরার ভালো একটি কাজও হয়ে যাবে। আর আপনার দেখাদেখি প্রাণিত হবে অন্যরা। তারাও এমন কিছু ছবি পোস্ট করবে। এভাবে সচেতনতা বাড়ার পাশাপাশি কমবে অপরাধ।
এইটা হলো কমিউনিটি সাংবাদিকতা। যেখানে সবাই সাংবাদিক। দুই বছর আগে আমরা এমন একটা প্লান নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। জার্নালিজম ফর অল। সবার জন্য সাংবাদিকতা। থিমটা এটাই। এই স্যোসাল মিডিয়ার যুগে আপনাকে কম্পানির মিডিয়ার দ্বারস্ত হতে হবে না। আপনিই মিডিয়া, আপনিই সাংবাদিক, আপনিই সমাজ পরিবর্তনকারী।
একটিভ আছি এখানে...