রোকন রাইয়ান : বিশ্বের সবখানে যখন বাক স্বাধীনতার আওয়াজ চীন কি সেখানে উল্টো পথে হাঁটছে? বেইজিং সরকারের সাম্প্রাতিক কিছু কর্মকাণ্ডের পর এমন প্রশ্নই উত্থাপিত হচ্ছে।
বেইজিং সরকার সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, তারা ইন্টারনেটের ওপর পুরোপুরি নজর রাখবে। সেখানে কোনো প্রকার আপত্তিকর জিনিস পাওয়া গেলে যথাযোগ্য ব্যবস্থাও নেয়া হবে। সরকারের এমন ঘোষণার পর দেশের ইন্টারনেট ইউজাররা বলছেন, এটি বাক স্বাধীনতা রুখে দেয়ারই প্রাথমিক ধাপ।
সংবাদ সংস্থা ডিপিএ গ্লোবাল মিডিয়া নামের একটি জরিপ সংস্থার সূত্র দিয়ে উল্লেখ করেছে, গত বছর থেকেই বেইজিং সরকার ইন্টারনেটে নজরদারির ওপর জোর দিয়ে আসছে। এখন সেটা স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি বাক স্বাধীনতার ওপর প্রকাশ্য হস্তক্ষেপ।
প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়, চীন সরকার চলমান সময়ে তিন হাজার ওয়েব সাইট নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। যার মধ্যে বিশ্বের যোগাযোগের বড় মাধ্যম, টুইটার-ফেসবুকসহ রয়েছে জিমেইল, গুগল ও পিকাসা।
চলতি বছর জানুয়ারিতে সরকার ইন্টারনেটের ওপর নজরদারির মাত্রা দ্বিগুণ করার ঘোষণা দেয়। বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা সমালোচনা হলেও মন্ত্রীসভায় পাশ হয়। গত জুলাইয়ে এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা তৈরি করে সরকার।
বিষয়টি বিশ্লেষণ করে দেশটিতে অবস্থানকারী এক বিদেশি সাংবাদিক বলেন, এ আইন সরকারি কর্মকর্তাদের অপরাধের দরজা খুলে দেবে।
২০১৪ সালে বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপকারী দেশগুলোর মধ্যে ইরান, সিরিয়ার পর তৃতীয় নম্বরেই ছিল চীন। বিষয়টি সারা বিশ্বে আলোচনায় এলেও গা করেনি দেশটি। বরং এ সময়ের মধ্যে চীনের বেশ কজন প্রসিদ্ধ সাংবাদিক ও ব্লগারকে গ্রেফতার করা হয়েছে দেশবিরোধী কাজে যুক্ত থাকার অপরাধে।
সাংবাদিকদের অধিকার সংরক্ষণকারী যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংগঠনের দাবি অনুযায়ী ২০১৪ সালে ৪৪ জন সাংবাদিককে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে। এমন অপরাধে এক বছরে এত সংখ্যক সাংবাদিককে গ্রেফতার এটিই সর্বোচ্চ।
মূল আর্টিকেল : Click This Link
এখানেও আছে