মাইসাহেবা মসজিদ
শেরপুর শহের পা রাখলে প্রথমেই যে পুরনো ঐতিহ্য চোখে পড়বে তার নাম মাই সাহেবা মসজিদ। আনুমানিক ২৫০ বছর আগের এ মসজিদটি বর্তমানে নতুন সংস্করণ আনা হলেও তাতে রয়েছে ঐতিহ্যের ছাপ। এর দুই পাশের সুউচ্চ মিনার চোখে পড়ে অনেক দূর থেকে। এর ভেতর বক্রাকার খিলানের ব্যবহার দেখার মতো এক সৌন্দর্য বহন করে আছে মসজিদটি। শেরপুর শহরে পুরনো ঐতিহ্যের অংশ হিসাবে এখনো দেখার মতো স্থাপনার মধ্যে আরো রয়েছে, গ্রীক স্থাপত্যের অনুকরণে নির্মিত পৌনে তিন আনী জমিদার বাড়ি, পুরনো জমিদারদের বিনোদন কেন্দ্র রংমহল, জিকে পাইলট বিদ্যালয়সহ আরো অনেক কিছু।
ইকোপার্কের প্রবেশ দরজা
পাহাড় দেখার টাওয়ার
মধুটিলা ইকোপার্ক
শেরপুরের উল্লেখযোগ্য পর্যটনকেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে মধুটিলা ইকোপার্ক। পার্কে প্রবেশ করে পাহাড়ের চূড়ায় সাইট ভিউ টাওয়ারে উঠলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। চারপাশে উঁচু উঁচু পাহাড়, সবুজ অরণ্য। দূরের অরণ্যকে একটু কুয়াশাচ্ছন্ন মনে হলেও এর সৌন্দর্যের কোনো কমতি নেই। গারো পাহাড়ের আঁকাবাঁকা উঁচু-নিচু পথ পেরিয়ে যত দূর এগোনো যায়, ততই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সমারোহ বাড়তে থাকে। শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নে এই মধুটিলা ইকোপার্ক।
পার্কের গেট পেরিয়ে ভেতরে ঢুকতেই নজরে পড়বে উঁচু গাছের সারি। রাস্তা থেকে ডান পাশে খোলা প্রান্তর আর দুই পাশে রকমারি পণ্যের দোকান। রেস্তোরাঁ পেরোলে পাহাড়ি ঢালুর আঁকাবাঁকা রাস্তা। পাহাড়ের প্রবেশপথেই অভ্যর্থনা জানাবে ধূসর রঙের বিশাল আকৃতির শুঁড় উঁচানো পাথরের তৈরি দুটি হাতি। এরপর যত এগোনো যাবে, ততই মন ভরে যাবে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে। পথে বুনো গাছপালার ফাঁকে ফুটে আছে হরেক রকমের বুনোফুল, তাতে বাহারি প্রজাপতির ওড়াউড়ি। এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে যাওয়ার পথে ঝোপঝাড়ে দেখা মিলবে হরিণ, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সিংহ, বানর, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, লেকের ধারে কুমির, ব্যাঙ। মৎস্যকন্যাও আছে। তবে সবই ভাস্কর্য।
আঁকাবাঁকা উঁচু-নিচু পথে ঘন ঘন গাছের সারি গভীর অরণ্যের দিকে চলে গেছে। এখানে উঁচু পাহাড়ের গাছের ছায়ায় বসে কাটানো যাবে দুপুর ও বিকেল।
ইকোপার্কে ঢুকতে জনপ্রতি পাঁচ টাকায় টিকিট কাটার ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে আলাদা ফি দিয়ে হ্রদে প্যাডেল বোট চালিয়ে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ। ওয়াচ টাওয়ারে উঠে ভারতে অবস্থিত উঁচু উঁচু পাহাড় আর সীমান্তবর্তী সবুজ গারো পাহাড় দেখা যাবে। ভাগ্য ভালো হলে ওয়াচ টাওয়ার থেকেই মিলতে পারে বুনোহাতির দলের দেখা। তারা সাধারণত শেষ বিকেলে অথবা সন্ধ্যায় গভীর অরণ্য থেকে নেমে আসে।
বিভিন্ন রাইড নিয়ে সম্পূর্ণ আলাদা করে গড়ে তোলা হয়েছে শিশুদের খেলাধুলা ও বিনোদনের জন্য শিশুপার্ক। এখানে ভ্রমণপ্রিয়দের দিনের বেলায় ব্যবহারের জন্য রয়েছে পাহাড়ের চূড়ায় মহুয়া রেস্টহাউস। এটি ব্যবহার করতে চাইলে ময়মনসিংহ অথবা শেরপুর বন বিভাগের অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।
এ ছাড়া এখানে রয়েছে ডিসপ্লে মডেল, তথ্যকেন্দ্র, গাড়ি পার্কিং জোন, ক্যানটিন, মিনি চিড়িয়াখানা। ঔষধি ও সৌন্দর্যবর্ধক প্রজাতির বৃ, মৌসুমি ফুলসহ বিভিন্ন রঙের গোলাপের বাগান। রয়েছে বেশ কয়েকটি পিকনিক স্পটও।
পার্কটিতে জীববৈচিত্র্য ও প্রাণীর সমাহারও চোখে পড়বে।
গারো পাহাড়ের পাদদেশে উত্তরের এই জনপদের উত্তরপ্রান্তে নালিতাবাড়ী উপজেলায় বনবিভাগের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হচ্ছে মধুটিলা ইকো পার্ক। সবুজ বনের ভেতর সুন্দর এই ইকোপার্কটি অবস্থিত। একাধিক স্পটে একাধিক দল একত্রে পিকনিক করতে পারবে সেখানে। স্টার ব্রিজ নামে ছোট জলাশয়ের ওপর সুন্দর একটি ব্রিজ আছে। এই ব্রিজে অনেক সুটিং হয়েছে। পর্যবেণ টাওয়ার এবং সিড়ি বেয়ে পাহাড়ে উঠে দূরের পাহাড়ের সারি আর বিস্তৃত সমতলের প্রকৃতি একত্রে দেখার সুবিধা আছে সেখানে। ছোট্ট একটা চিড়িয়াখানা আছে। ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ ও শেরপুর হয়ে সেখানে যাওয়া যায়। ময়মনসিংহ থেকে মধুটিলা যেতে দুই ঘণ্টা লাগবে। ঢাকা থেকে ৫ ঘন্টার মতো লাগবে। সেখানে রাত্রি যাপনে নিষেধাজ্ঞা আছে। কারণ প্রায়ই মেঘালয়ের বনাঞ্চল থেকে হাতির দল নেমে আসে। গারো, কোচ আর স্থানীয় অধিবাসীদের েেতর ফসল নষ্ট হয় হাতির উৎপাতে। কাছেই আছে সাদামাটি। এই মাটি সিরামিক শিল্পে ব্যবহৃত হয় কাপ, প্লেট ইত্যাদি তৈরির কাজে।
গজনী অবকাশ কেন্দ্র
উচু নিচু পাহাড় টিলা,ঝর্ণা সারিসারি বৃরাজীসহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনেক কিছু রয়েছে গজনীতে। গজনী অবকাশ কেন্দ্রের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে বার বার ছুটে আসেন প্রকৃতি প্রেমিক ও ভ্রমণ বিলাসীরা। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার প্রকৃতি প্রেমিক ছুটে আসেন এই গজনী অবকাশে ।
গারো পাহাড়ের পাদদেশে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্ত ঘেষে অবস্থিত শেরপুর জেলার বিশাল অংশজুড়ে গারো পাহাড়ের বিস্তৃতি। ১৯৯৩ সালে শেরপুরের জেলা প্রশাসক আতাউর রহমান মজুমদার জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী পাহাড়ে ৫০ একর জমির উপর গড়ে তুলেন অবকাশ কেন্দ্র নামে একটি পিকনিক স্পট। জেলা প্রশাসক আতাউর রহমান মজুমদারের বদলি হলে তার অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন করেন তৎকালিন জেলা প্রশাসক নওফেল মিয়া ।
একানে দেখার আছে লাল মাটির উচু পাহাড়, টিলা, টিলার মাঝে সমতল ভূমি দু পাহাড়ের মাঝে পাহাড়ি ঝর্ণা যেন ছন্দতুলে এ গিয়ে চলেছে। ঝর্ণার পানি এসে ফোলে ফেপে উঠেছে । সেখানে বাঁধ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম লেক । লেকের মাঝে কৃত্রিম পাহাড় ও তার ওপরে লেক ভিউ-পেন্টাগন। যাতে প্রবেশের জন্যে রয়েছে দোদুল্যমান ব্রীজ। পাহাড়ের চুড়ায় রয়েছে ৬ ক বিশিষ্ট বৈদ্যুতিক সুবিধাসহ আধুনিক দোতালা রেষ্ট হাউজ। এ রেষ্ট হাউজ থেকে পাহাড়ের পাদদেশে নামার জন্য রয়েছে আকাঁবাঁকা তিন শতাধিক ধাপ বিশিষ্ট পদ্মসিড়ি। পাদদেশে সানবাধানো বেদীসহ পুরনো বটচত্বর। সেখানে গাড়ি পার্কিং এর সু-ব্যবস্থাসহ পিকনিক দলগুলোর আড্ডায় মেতে উঠা ও খেলা-ধূলারও রয়েছে প্রচুর জায়গা। ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য গজনী অবকাশ কেন্দ্রে রয়েছে ক্রিসেন্ট লেক, লেকের উপর রংধনু ব্রীজ, কৃত্রিম জলপ্রপাত, পানসিতরী নৌকা, প্যাডেল বোট, মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি সৌধ, শিশু পার্ক, নাগরদোলা, পুতুল নাচ, কবি নজরুল ইসলামের প্রতিকৃতি। সেখানে রয়েছে কবিতা বাগ, আপনার লেখা মনের মতো কবিতাও সেখানে শোভা পেতে পারে। মাটির নিচ দিয়ে এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে যাতায়াতের জন্য ড্রাগন ট্যানেলের মুখের ভেতর দিয়ে পাতালপুরি লাভলেইন, মৎস্য কুমারী, হাতি, বাঘ, জিরাফ, হরিণ,বানর, ডাইনোসরের প্রতিকৃতি। প্রকৃতির সংগে ভ্রমণ পিপাসুদের সখ্য গড়ে তুলতে গজনী অবকাশ কেন্দ্রে একটি ক্যাকটাস পল্লী ও মিনি চিড়িয়াখানা গড়ে তোলা হয়েছে। মিনি চিড়িয়াখানায় রয়েছে সুন্দর বনের হরিণ। অবকাশ কেন্দ্রের অন্যতম আকর্ষণ আদিবাসী পল্লী ও সাইড ভিউ টাওয়ার। ৮০ বর্গফুট উচু এ টাওয়ারে উঠলে দেখা যাবে পাহাড়ি টিলার অপরূপ বৈচিত্রময় দৃশ্য। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি ঝিনাইগাতী উপজেলা গারো পাহাড়ের গজনীতে পর্যটক বা ভ্রমণ পিপাসুদের বাড়তি পাওনা হলো আদিবাসী সম্প্রদায় গারো, হাজং, কোচ, বানাই, হদিসহ বিভিন্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠীর চাষাবাদ, জীবন প্রবাহ, কৃষ্টি, ক্যালচার, শিল্প ভাষা ও সংস্কৃতি । এ সব মনোরম ও মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখার জন্য প্রতিদিন পর্যটক ও ভ্রমন পিপাসুদের ঢল নামে গজনী অবকাশ কেন্দ্রে ।
বাঘটা ইয়া লম্বা, মুখ দিয়ে প্রবেশ করে লেজ দিয়ে বের হওয়া যায়...
পাহাড়িদের চাষাবাদ
ভয়ের কিছু নেই..
লেক ভিউ পেন্টাগন/দোদুল্যমান ব্রিজ
জিহান লেক হাউজ, লেকে বেড়ানোর জন্য রয়েছে রাজহংশ
মসজিদটির বারটা দরজা...
গড়জরিপা বার দুয়ারী মসজিদ
স্থাপত্য নিদর্শনের অন্যতম গড় জরিপা বার দুয়ারী মসজিদ। এটিও এ অঞ্চলের ঐতিহ্য। জনশ্রুতিতে আনুমানিক ৭-৮ শত বৎসর পূর্বে জরিপ শাহ নামক এক মুসলিম শাসক কতৃক নির্মিত হয়েছিল এই মসজিদটি। তবে এটি বর্তমানে পুন নির্মান করা হয়েছে। আসল মসজিদটি ভূ গর্ভেই রয়ে গেছে। তার উপরেই স্থাপিত হয়েছে বর্তমান মসজিদটি। জামালপুর সদর উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়নের পিঙ্গলহাটী (কুতুবনগর) গ্রামের জনৈক পীর আজিজুল হক খনন কার্য চালান এবং বের করেন মসজিদের ধ্বংসাবশেষ। মসজিদটির ইটের ধরণ কৌশলে খান বাড়ি মসজিদের ইটের সাথে যথেষ্ঠ মিল ল্য করা যায়। প্রাচীন রীতির সাথে আধুনিক রীতির সংমিশ্রণে মসজিদটি নির্মিত হয়েছে যা সহজেই দর্শকদের মন জয় করে। অপরূপ সুন্দর এই মসজিদটি আসলে পুরাকীর্তির নিদর্শন। ১২টি দরজা থাকায় এর নাম করণ করা হয় বার দুয়ারী মসজিদ। পূর্বেও তাই ছিল। অপূর্ব কারুকাজ সমবলিত মেহরাব ও কার্ণিশগুলো সকলের দৃষ্টি কাড়ে। এছাড়াও কিছু দূরে জরিপ শাহ এর মাজার অবস্থিত। এর অনতিদূরে কালিদহ সাগর রয়েছে। জনশ্রুতিতে আছে চাঁন্দ সওদাগরের ডিঙ্গা এখানেই ডুবেছিল। নৌকার আদলে কিছু একটা অনুমান করা যায় এখনও। অঞ্চলটিতে একবার ঘুরে এলে যে কোনো চিন্তশীল মানুষকে ভাবিয়ে তুলবে। বর্তমানে বারো দুয়ারী মসজিদ সম্প্রসারণের কাজ চলছে। প্রতিদিনই দুর দূরান্ত থেকে মসজিদটি দেখতে আসেন মানুষ। তবে শুক্রবার ভিড় থাকে বেশি।
আমাদের বাড়ি থেকে মাত্র পাচ মিনিটের রাস্তা
ঘাগড়া খান বাড়ি মসজিদ
মসজিদটির নির্মাণকাল আনুমানিক ৬০০ বৎসর পূর্বে । মসজিদটির ব্যাপারে কথিত আছে ‘পালানো খা’ ও জববার খা দুই সহোদর কোনো এক রাজ্যের সেনাপতি ছিলেন। পরাজিত হয়ে ভ্রাতৃদ্বয় এই অরণ্যে আশ্রয় নেন এবং সেখানে এই মসজিদ টি স্থাপন করেন। মসজিদটির বিশেষত হল, এর ইটগুলো চারকোণা টালির মত। আজ থেকে ছয়/সাতশত বছর পূর্বে এই ইটগুলির ব্যবহার ছিল। আস্তরণ বা পলেস্তার ঝিনুক চূর্ণ অথবা ঝিনুকের লালার সাথে সুড়কি, পাট’ বা তন্তুজাতীয় আঁশ ব্যবহার করেছে। এক গমবুজ বিশিষ্ট মসজিদটির নির্মাণ কৌশল গ্রীক ও কোরিন থিয়ান রীতির প্রতিফলন ল্য করা যায়। প্রবেশ পথের উপর রয়েছে আরবি ভাষায় নির্মাণকাল ও পরিচয় শিলা লিপি দেখে সহজেই অনুমান করা যায়, সেই যুগেও দ স্থপতি এ অঞ্চলে ছিল। মসজিদটি পুরাকীর্তির এক অনন্য নিদর্শন। যা দেখে যে কোন পর্যটক আকৃষ্ট হবেন, বিমোহিত হবেন। মসজিদটি শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী থানার হাতিবান্দা ইউনিয়নের ঘাগড়া গ্রামে অবস্থিত।
কি ভাবে যাবেন
রাজধানী ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ হয়ে যাতায়াতই সবচেয়ে উত্তম। উত্তরবঙ্গ থেকে টাঙ্গাইল-জামালপুর হয়েও আসতে পারেন সড়ক পথে। শেরপুর শহর থেকে গজনীর দুরত্ব মাত্র ৩০ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে সরাসরি বাস অথবা প্রাইভেটকারে গজনী অবকাশ যেতে পারেন। ঢাকার মহাখালি থেকে স্পোশাল ড্রিমমল্যান্ড অথব মুক্তিযোদ্ধার পরিবহন বাসে শেরপুর আসা যায়। ভাড়া ২৫০ টাকা। শেরপুর নেমে নিউমার্কেট থেকে ভাড়ায় মাইক্রোবাস ৫০০ টাকায় সোজা গজনী যাতায়াত করা যায়। শেরপুর থেকে লোকাল বাস, টেম্পু, সিএনজি অথবা রিক্সায় গজনী অবকাশ কেন্দ্রেসহ মধুটিলা ইকোপার্ক, বার দুয়ারী মসজিদ ইত্যাদিতে যাওয়া যায়
গাইড
অপরিচিতরা সাধারণত ঘুরতে গিয়ে ভুল করেন গাইড না নিয়ে। কারণ একটা নতুন জায়গায় গিয়ে অচেনা মানুষ কোনোভাবেই স্বাচ্ছন্দে ঘুরতে পারেন না। দেখতে পারেন না সবকিছু। আর এসব কাজ সহজে করে দিতে পারে একজন গাইড। এর জন্য সামান্য কিছু টাকা খরচ হতে পারে ভাবলে ভুল করা হবে। বুদ্ধিমানের কাজ হলো একজন গাইড সঙ্গে নেয়া। যিনি সারাদিন সঙ্গে থেকে সবকিছু খুটিয়ে খুটিয়ে দেখাবেন। ভ্রমণে তৃপ্তিও আসবে অন্যরকম। আর এলাকার গাইড থাকলে পরিবহনে কিংবা খাবারে বেশি টাকা খরচের হাত থেকেও বাচা যায়।
দেশের অন্যান্য পর্যটন এলাকায় গাইডের ব্যবস্থা থাকলেও শেরপুরে ছিল না। তবে ইদানিং একটি বিশ্বস্ত টিম এ কাজ করছে। যাদের হাত ধরে আপনি সহজেই স্বাচ্ছন্দে ঘুরতে পারবেন পুরো এলাকা। দেখতে পারবেন তৃপ্তি ভরে। আমাদের ঝিনাইগাতী নামের একটি সংস্থা গাইডের কাজ করছে। যারা দক্ষতার সঙ্গে পর্যটকদের ঘুড়িয়ে আনছে সবগুলো দর্শনীয় স্থান।
গাইড পেতে ফোন করতে পারেন।
০১৯১৭-২৬২৪৩১
০১৯১৬-৯২০৭৭৩
(টাকা আলোচনা সাপেক্ষে)
কেউ এদিকে বেড়াতে যেতে চাইলে অবশ্যই জানাবেন... মেজবান হিসাবে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব ইনশাআল্লাহ... রোকন রাইয়ান (০১৭১৭৮৩১৯৩৭)
আরো কিছু আপডেট
স্বাধীনতা ভাষ্কর্য (গজনী)
পাহাড়ে ওঠার সিড়ি (ইকোপার্ক)
আকাবাকা সবুঝ পাহাড়
পাহাড় থেকে মাঝে মাঝেই নেমে আসে বন্য হাতি..
নকুগাও স্থলবন্দর এলাকা, এপাড়ে বাঙলা ওপাড়ে ভারত.. রাস্তাটা দেখুন.. কত হেরফের..