একজন মানুষ যখন অপরাধ করে তার ঠিক কি অনুভূতি হয়? না, ছোটখাট অপরাধের কথা বলছি না। বড়সড় কিছুর কথাই বলছি। ধরুন যে লোক জেনেশুনে নিয়মিত মাছে ফরমালিন মেশানোর আদেশ দেয় সে কি বাজার থেকে মাছ কিনে স্ত্রীকে বলে মাছের পেটিগুলো ভাজতে আর পিঠেরটার ঝোল করতে? খাবার টেবিলে সন্তানকে বলে আরেকটুকরো মাছ নিতে।
অথবা ভাবুন যে মানুষ খুন করেছে ঠান্ডা মাথায় সে কিভাবে রাতে ঘুমায়? ঠিক যে মুহুর্তে খুন করে তখন কি একবারও হাত কাঁপেনা ট্রিগারটা টিপতে অথবা চাপাতির কোপটা দিতে? খুন টুন করে সেকি মেতে উঠে আবাহনী-মোহামেডান খেলা নিয়ে, কিংবা সরকারী চাকুরীজীবিরা কতটুকু দুর্নীতিবাজ সে বিতর্কে?
মানছি ছোটখাটো অপরাধ আমরা সবাই করি। অপরাধ করে মেতে উঠি দৈনন্দিন কাজকর্মে। হয়ত ব্যস্ত হয়ে পড়ি আরো দশজনের দোষ ধরতে। মেতে উঠি হাসিঠাট্টা-গলপগুজবে। ঠিক কখন একজন মানুষ অপরাধ করতে গিয়ে থমকে দাঁড়ায়। আইনের ভয় -সেতো কমবেশী সবারই আছে। কেন সবাই সিরিয়াল কিলার হয়না? ধর্ম করলে মানুষ অপরাধ করবে না - এটাও পুরো সত্য না। তাহলে সব অপরাধীই নাস্তিক হতো।
জানি পাঠক কপাল কুঁচকে বলছেন, সবই বিবেকের কাজ। ঠিক তাই। কিনতু ঠিক কখন মানুষ ধর্মের বিধিনিষেধ, আইনী শাস্তির অপেক্ষা না করে বিবেকের শাসনে অপরাধ করা থেকে বিরত থাকতো। এটা জানা থাকলে অবশ্য আমাকে এই পোস্ট লিখতে হোত না, আপনাদেরকেও এটা পড়তে হোত না। বেশ হোত তাহলে, হোত না?