মাঝে মাঝে নিজেকে খুঁজে পাই অচেনা এক ছায়ামানবের রূপে।আবার কখনো নিজের ছায়া দেখেই ভয়ে শিউরে উঠি।কখনো অন্যের ছায়াকে নিজের প্রতিবিম্ব বলে মনে হয়।।রিফলেকশন আর শ্যাডো একই কক্ষে আবর্তন শুরু করে।আর নিজেকে অচেনা মানুষের মাঝে স্থাপিত এক কল্পিত মূর্তিরূপ।
চেনা মানুষগুলোও বড়ই অচেনা হয়ে যায়।অকারনে রং পাল্টায়।ধীরে ধীরে রং শূন্য হয়ে যাচ্ছে মন।মনের গতিবিধী লক্ষ করার চেষ্টায় নিমিত্ত।মনে সতন্দ্র কিছু প্রশ্ন উঁকি দেয়।উত্তর চাই না।অনেক কিছুই অনাকাঙক্ষিত ভাবে ঘটে যায়।হয়তো এগুলো তেমনি অনাকাঙক্ষিত।
বাইরের বৃষ্টি আমাকে ছুঁয়ে যেতে পারে না।সময়ের সাথে বৃষ্টিরও রং বদলে গেছে।শব্দটাও কেমন পানশে হয়ে গেছে।সৌখিন সময় আর বৃষ্টি দুটোই এখন বদলে গেছে।একটা তাবিজে দুটোকে আর আবদ্দ করা সম্ভব হয়নি।
সত্যি বলতে ওর কোন সৃতি এখন আর আমাকে তাড়া করে না।ব্যাবিলনীয় যুগের শেষ অধ্যায়টা বিলীন হয়ে গেছে।সম্পর্কের শেষ থাকলেও সৃতিগুলার নেই।কেন?এই কেনটার যথার্থ উত্তর কোথাও মিলেনি।
শীতের দিনগুলো বছরের পর বছর অন্তষাঃর শূন্য দেখচ্ছে।চারিদিকে ঘোলাটে কুয়াশার দল ডাচদের স্নো ডান্সের মত নেচে যাচ্ছে।কিন্তু নিরামিষ দর্শকের মনে কোন জোয়ার আজ অবধী আসেনি।
ধানের পাতার অগ্রভাগে পঁচনের সূর ধরেছে।সেই ফলন রহস্য নিয়ে কিছুটা বৃথা শংকা আর সংশয়ের দিন।তার উপরে মার্কোনীর সম্রাজ্যবাদের সংগা।বাতাসের প্রবাহ বাড়বে।ভয়,ভীতি,বাধা সব কিছুই উপেক্ষিত হবে।সময় আসবে...............বাহুডোরের পুরানো বন্ধন হয়তোবা দৃঢ়তায় আবদ্ধ হবে।
সবকিছুর শেষ দেখে শিউরে উঠেছিলেন কবিগুরু।আজ অবধী মেনে নেয়া হয়েছে শূন্যের শূন্যতা।রিক্ততায় আবিষ্ঠ মন আরও পেতে চায় আজ।
আরও.......................।[চলবে]
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:২১