কিরে রাতুল কি করিস? রাতুলের মা চোখ কুচকে জিগজ্ঞেস করে।
রাতুল তারাহুরো করে কিছু একটা বালিশের নিচে লুকিয়ে ফেলে বলল কই কিছু না তো।
দেখি বালিশের নিচে কি লুকালি?
রাতুল ধড়া পড়ে যায় বালিশ উল্টিয়ে দেখায় একটা বই। বইটির লেখক "হুমায়ুন আহামেদ"।
কি যে সব পড়িস না, পড়ার বই বাদ দিয়ে? পাগল ছাগলের আবল তাবল লেখা। সারাদিন এইসব নিয়ে পড়ে থাকিস না। তোর আব্বাকে বলে দিব কিন্তু।
প্লিজ মা আব্বাকে বল না। প্লিজ। আর অল্প কয়েক পেজ আছে। তার পরেই বসছি পড়তে।
ঠিক আছে এইবারই কিন্তু শেষ। আবার যদি পড়ার সময় গল্পের বই হাতে দেখি শুনবনা কিন্তু কিছু।
ঠিক আছে মা। আমার লক্ষি মা। হেসে বলে রাতুল।
হয়েছে আর তেল দিতে হবে না। ওই নতুন বই নাকি রে?
হ্যা। হিমু।
তাই? তোর পড়া হলে দিস তো।
ওক্কে। মুচকি হেসে জবাব দেয় রাতুল।
ঠিক এই চিত্রটা কি গত কয়েক দশকের খুবই পরিচিত একটা চিত্র নয়? একটা প্রজন্ম বড়ই হয়েছে একজন মানুষের লেখা পড়ে। যার বই পড়ে বই পড়তে শিখেছে। তাদের চিন্তায় চেতনায় কথায় লেখায় তার লেখার প্রভাব কতটা স্পস্ট শুধু সামুর কয়েকটা লেখা পড়লেই টের পাওয়া যায়। আজ সে নেই। আজ তারা কি লিখবে? তাই তো আজ নতুন কোন পোস্ট নেই তাঁকে নিয়ে ছাড়া। তাই আজ আমিও কিছুই লিখব না।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:৫০