শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। অথচ এখন আবার দেশে ফেরার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। এক সময় নিজেকে দেশের একমাত্র অভিভাবক দাবি করা এই স্বৈরাচার এখন কলকাতার বাবুদের সঙ্গে বসে নতুন খেলার ছক কষছে। তার নামে শত শত হত্যা মামলা, গুম, লুটপাট, আর ক্ষমতা ধরে রাখার নোংরা রাজনীতি—সবই আজ দেশের জনগণের জানা। কিন্তু হাসিনা ভাবছে, পুরনো চাল দিয়ে আবার ক্ষমতায় ফেরা যাবে!
কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ আজ চুপ করে বসে নেই। ছাত্রসমাজ, যুবসমাজ এবং সচেতন নাগরিকরা এবার পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছে—এই খুনি সরকারকে আর তারা দেশে দেখতে চায় না। যদি শেখ হাসিনা ফেরে, তবে জনগণ তাকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চায়।
নতুন ষড়যন্ত্রের ফাঁদ
শেখ হাসিনা ইতিহাসের সুযোগ নিয়ে রাজনীতির নাটক সাজাতে অভ্যস্ত। একবার ৩০ লাখ শহীদের কথা বলে, আবার সেই ঘাতকদের সঙ্গেই জোট করে। একসময় জামায়াতের সঙ্গে সরকার গঠন করেছিল, আর এখন তাদের গণহত্যাকারী বলে চিৎকার করছে।
আজও সেই পুরনো কৌশল—একদিকে কলকাতার বাবুদের সঙ্গে গোপন বৈঠক, অন্যদিকে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করার চক্রান্ত। ভারতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে সে বাংলাদেশকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিয়েছে।
কিন্তু এইবার জনগণ সেই ফাঁদে পা দেবে না। শেখ হাসিনা যা-ই করুক, বাংলাদেশের স্বাধীনচেতা জনগণ তাকে আর বিশ্বাস করবে না।
ছাত্রসমাজের দৃঢ় অবস্থান: খুনির বিচার চাই
বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তারা সামনের কাতারে ছিল। আজও তারা জানিয়ে দিয়েছে—শেখ হাসিনা ফিরে এলে তাকে আদালতে দাঁড়াতেই হবে।
এই স্বৈরাচার যতই ষড়যন্ত্র করুক, যতই বিদেশিদের দিয়ে চাপ সৃষ্টি করানোর চেষ্টা করুক—বাংলার মাটিতে তার রক্তমাখা রাজনীতি আর চলবে না। জনগণ এবার তার প্রতিটি অন্যায়ের বিচার দেখতে চায়।
বাংলাদেশের ইতিহাস কখনোই স্বৈরশাসকদের ক্ষমা করেনি। এবারও জনগণ রায় দেবে, কিন্তু তা হবে আদালতের কাঠগড়ায়, যেখানে শেখ হাসিনা তার প্রতিটি অপরাধের জবাব দেবে!