somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে বলিউডের সংস্করণ

১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে বলিউডের সংস্করণ

গত ২৪ ফেব্র“য়ারি বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে হয়ে গেল 'ট্রাইনেশন বিগ শো' শীর্ষক ত্রিদেশীয় কনসার্ট। আয়োজন ছিল বর্ণিল। পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে ছিল আতশবাজি, গান, নৃত্য, ফ্যাশন শো। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আয়োজক তিন দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলংকার তারকাদের দলগত ও ব্যক্তিগত পরিবেশনা। এতে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয় বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলংকার বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি। জানা যায় ২৬ হাজার দর্শকের ধারণম স্টেডিয়ামে কোনো জায়গা খালি ছিল না। মাঠের বাইরে এটিএন বাংলা ও বৈশাখী টেলিভিশনের সুবাদে আগ্রহী দর্শকরা অনুষ্ঠানটি সরাসরি উপভোগ করার সুযোগ পায়। বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প থেকে এটিএন ইভেন্টস এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আমরা এর আগে গত বছর ১০ ডিসেম্বর আর্মি স্টেডিয়ামে বিশেষ নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে শাহরুখ খানের কনসার্ট হতে দেখেছি। সেবারও বৈশাখী টেলিভিশন অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করেছিল। প্রতিষ্টান পর্যায়ে অন্তরা শোবিজের উদ্যোগে হওয়া সেই অনুষ্ঠানের রেশ এখনো কাটেনি। এরই মধ্যে আবারো অনুষ্ঠিত হলো প্রায় সদৃশ আরেকটি অনুষ্ঠান। এতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি সংস্থা জড়িত ছিল।

অল্প দিনের ব্যবধানে আরেকটি শো। এর নাম ছিল বিগ শো ইন দা হিস্ট্রি অব বাংলাদেশ। ফেব্র“য়ারি মাস। ভাষার মাস। সারা মাস বাংলা একাডেমী জুড়ে চলছে একুশে বইমেলা। বাংলা ভাষার অধিকার, দাবি, ভাষার প্রতিষ্ঠা এসব নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা। পত্র-পত্রিকাগুলো প্রতিদিনই বিশেষ গুরুত্বের সাথে সংবাদ পরিবেশন করছে। ভাষার মাসে ভাষা আন্দোলন ও মাতৃভাষাকে প্রতিষ্ঠার জন্য যথাযোগ্য মর্যাদা দেয়ার জন্য উঠে আসছে নানা কথা। সংস্কৃতির টান বোঝাতে, ভাষার সাথে আমাদের সংস্কৃতি কতটা জড়িত সেই বিষয়টি এর সাথে একই সঙ্গে আসছে নানাভাবে। শিখানো চেষ্টা করা হচ্ছে দেশকে ভালোবাসতে। অথচ উল্টো দিকে যারা এসব বিষয় নিয়ে বেশি সোচ্চার তাড়াই আবার দেখা যায় অপসংস্কৃতির র্চ্চার বিষয়ে চুপ। দু’একটি ব্যতিক্রম ছাড়া। তারা ভাষার রার জন্য সংস্কৃতিকে গুরুত্ব দিতে চাচ্ছে অথচ এমন এক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজনের ব্যাপারে নীরব। কনসার্টের একদিন পরই ছিল একটি শোকাবহ দিন। পিলখানার নারকীয় হত্যাণ্ডের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির দিনটি ছিল কনসার্টের দিন। শোকাবহ পরিবারের জন্য কনসার্ট কোনো ভালো কিছু কিনা জানি না। তবে পিলখানার বিষয়টির সাথে গোটা জাতির আবেগ জড়িত ছিল।

বিগ শোটিতে ছিল বিভিন্ন আয়োজন। ক্রিকেট নিয়ে দুটি গান পরিবেশন করেন শুভ্র দেব। গান পরিবেশন করেন ফরিদা পারভীন, কিরণ চন্দ্র রায়, চন্দনা মজুমদার ও ইভা রহমান। নৃত্য পরিবেশন করেন লিখন ও নাদিয়া জুটি এবং একঝাঁক নৃত্যশিল্পী। প্রতীক হাসান ও সিনথিয়া পরিবেশন করেন 'এগিয়ে যাও বাংলাদেশ' শীর্ষক দেশের গান। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের শাকিব খান এসে দর্শকদের মাতিয়ে তোলেন। শাকিব খানের সঙ্গে পারফর্ম করে তিন্নি, মীম ও শখ। শ্র্রীলঙ্কা ও ভারতের উল্লেখসংখ্যক পারফর্মার এতে অংশ নেন। সালমান খান, অয় কুমার, ক্যাটরিনা কাইফ, প্রীতম জান, আনুশকা শর্মা প্রমুখ স্টেজ পারফর্ম করেন। প্রথমে বাংলাদেশী ও শেষে ভারতের শিল্পীরা স্টেজে আসেন। জানা যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পে এটিএন ইভেন্টস আয়োজিত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কনসার্টটির পুরোটাতে নানা অব্যবস্থাপনায় পূর্ণ ছিল। তবে আশা করা যায়, এভাবে চলতে থাকলে শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যবস্থাপনাগত ত্র“টিগুলো দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারবে এবং জাতিকে পরসংস্কৃতির র্চ্চার দিকে আরো বেশি করে উদ্বুদ্ধ করতে পারবে।

একের পর এক এরকম অনূষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের কৃষ্টি কালচারের কি তি হচ্ছে কি বিষ ঢোকানো হচ্ছে তা ভেবে দেখার দরকার। আগে যেসব অনুষ্ঠান পাঁচ তারকা হোটেলে অনেকটা নীরবে করা হতো এখন তা উন্মুক্ত। সেসব অনুষ্ঠান শুধু উপস্থিত দর্শকরাই দেখতো। টিকিটের মূল্যও ছিল একটি বিশেষ শ্রেণীর চাহিদাকে সামনে রেখে। এখন সেখানে অনেক বেশি ও সরব হাঁকডাক দিয়ে উন্মুক্ত স্থানে হচ্ছে এসব অনুষ্ঠান। আকৃষ্ট করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকেও। উচ্চমূল্যে টিকিট কিনেও মধ্যবিত্তদের এসব অনুষ্ঠান দেখতে আগ্রহী হয়ে করা হচ্ছে। এর জন্য অনেক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আর সর্বপরি সরাসরি বা লাইভ প্রোগ্রামের নামে দেশ-বিদেশের সবার কাছে আহ্বান করা হচ্ছে তা দেখার জন্য। সেই অপসংস্কৃতির র্চ্চারও গোপনীয়তা আর থাকেনি। গোগন রাখা হচ্ছে না কোনো কিছু। স্টেজ শোর নামেই সরাসরি অবমুক্ত করা হচ্ছে অশ্লীলতাকে।

অনুষ্ঠান সম্পর্কে ও পারফর্মারদের নিয়ে আমাদের আর্কষণ কোথায়? কারা কারা এরকম আকর্ষণের প্রতি আকৃষ্ট? কেনই বা আকৃষ্ট? অনুষ্ঠানের খবরটি প্রায় পত্রিকাতেই এসেছে। তবে ইত্তেফাকের রিপোর্ট পড়লে এসব অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু ও ল্য কিছুটা জানা যায়। ইত্তেফাক পত্রিকার রিপোর্ট ছিল, ‘‘ক্যাটরিনার রূপের ঝলকে, সালমান - অয়ের চোখ ধাঁধানো পারফর্মেন্স আর নতুন ক্রেজ আনুশকার স্নিগ্ধ সৌন্দর্যের মুগ্ধতা নিয়ে বাড়ি ফিরলেন হাজার হাজার দর্শক। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এটিএন ইভেন্টসের আয়োজনে ডেসটিনি গ্রুপ ট্রাইনেশন বিগ শো' অনুষ্ঠানে স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শক উপভোগ করলেন তিন দেশের দেশসেরা শিল্পীদের পরিবেশনা।’’ (ইত্তেফাক : ২৫.০২.২০১১)। এখানে অনুপস্থিত ছিল একুশের চেতনা। রূপের ঝলক, স্নিগ্ধ সৌন্দর্য উপভোগই প্রধান। আর যাদের এসবে চোখে ধাঁধাঁ লেগে যায় তাদের কাছে ভাষার চেতনা, একুশের চেতনা, শোক সবই ফিকে। আর এদের ও সাধারণ জনগোষ্ঠীর চুকে ক্রমাগত ফিকে করতেই কি এই আয়োজন?

এমনিতেই আমাদের সংস্কৃতি নানা দিক দিয়েই হুমকির মুখোমুখি। অনেক েেত্র দিবস কেন্দ্রিক হয়ে উঠছে কোনো কোনো উপাদান। ইত্তেফাকে আরো লেখা হয়েছে, ‘‘সৌন্দর্যের দ্যুতি ছড়ালেন ক্যাটরিনা : এ মুহূর্তে ভারতের সবচেয়ে ব্যবসা সফল নায়িকা ক্যাটরিনা কাইফ। শরীরী আবেদন, স্নিগ্ধ-নিষ্পাপ, শুভ্রতার প্রতীক মুখশ্রী আর ফ্যাশনে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন তিনি। আর তাই ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়িকা তিনি। ক্যাটরিনা কাইফ যখন স্টেজে এলেন পুরো আকাশ আলো হয়ে উঠলো বিজলীর চমকে। আর স্টেজে রূপের বিজলী ছড়ালেন ক্যাটরিনা। সৌন্দর্যের দ্যুতি ছড়ালেন তার নৃত্যে।” এরকমে যাদের আকর্ষণ, সেখানে তারুণ্যের আকর্ষণ বা বিকর্ষণ কতটা তা কি সহজে উল্লেখিত শব্দগুচ্ছের মতো বলে দেয়ার দরকার?

অনুষ্ঠান সম্পর্কে এরকম বক্তব্যে আমরা কি করছি, কিসে মেতে উঠছি বোঝা যায়। ইত্তেফাকে বলা হয়েছে, ‘‘আনুশকার রূপের ঝলক : মূল অনুষ্ঠান শুরু হয় আনুশকাকে দিয়ে। বলিউডের জগতে আনুশকা যেন এলেন, দেখলেন আর জয় করলেন। রাত পৌনে দশটায় স্টেজে এলেন তিনি। ঝলমলে টপ আর লাল ঘাগরা পরে রূপের ঝলকে মাত দর্শক। 'বদমাশ কোম্পানি' সিনেমার টাইটেল গান দিয়ে শুরু করেন আনুশকা। এরপর 'রব নে বানাদে জোড়ি'র গানের সাথে দেখালেন নাচ। তার নাচের সঙ্গে নেচে উঠলো পুরো স্টেডিয়াম।’’ পুরো স্টেডিয়াম কি গোটা জাতিকে ধারণ করেছিল? আসলে এই সব বিষয়কে সামনে রেখেই কি গোটা জাতিকে নাচের মধ্যে আমরা মাতিয়ে রাখতে চাই? অনুষ্ঠানে স্বল্পবসনাদের নৃত্য ছিল। বোম্বেরই স্টাইল ছিল। যুগলবন্দ নৃত্য ছিল। আনুশকার সঙ্গে বেশ কটি নাচে অংশ নেন অয় কুমার। তিনি আমাদের তারকা সুন্দরী মৌসুমীকে নিয়ে সবলিল ভঙ্গিতে অভিনয় করলেন আমাদের স্টেজকে বোম্বে বানিয়ে। মোসুমীকে অয় কুমার তার জ্যাকেট দিয়ে কি বোঝাতে চেয়েছেন। নাকি বোঝাতে চেয়েছেন তোমাদের দেশে তোমার গায়ে জড়ানো আজকের পোশাকটি বড় বেমানান। তিনি তার নিজের জ্যাকেট দিয়ে শরীরের বাকিটুকু ঢেকে দিয়ে লজ্জা দিয়েছেন?

যারা এসব করছে সরবেই করছে। যারা এগুলো চায় না তাদের কণ্ঠ ীণ। আমাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি আরো কিভাবে উচ্চকিত করা যায়, দেশ-বিদেশে তুলে ধরা যায় সে চেষ্টা কই? প্রচেষ্টা কই? সেজন্য গবেষণা কই? অথচ বর্তমানে এসব অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে না দাঁড়িয়ে কেন জানি আমরা নীবর। অপসংস্কৃতি যদি আমাদের ঐতিহ্যকে নষ্ট করে, সুন্দর, শ্লীল কালচারকে নষ্ট করে তাহলে তা আমাদের জন্য একদিন ভয়াবহ পরিণাম ঢেকে আনবে। সুনামী কি কাউকেই বাদ দেবে। দুশত বছরের গোলামী থেকে বেরিয়ে যদি আবার আমরা সাংস্কৃতিক দেউলিয়াপনা দেখাই তার খেসারত আমাদেরই দিতে হবে। জাতি হিসেবে সেই দায়ভার আমাদেরই বহন করতে হবে। শৃঙ্খলিত হয়ে পড়বে জাতি অশ্লীলতায় অপসংস্কৃতিতে। অথচ আমাদের বর্তমানে একটি ভালো কাজ করতে পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া যায় না। তরুণরা অর্থের অভাবে অনেক সৃজনশীল কাজই করতে পারে না। তাদের উৎসাহ দেয়া হয় না মননশীল ও সৃষ্টিধর্মী কাজে। কিন্তু এরকম বিগ শো আয়োজনে আয়োজকদের আর্থিক নিরাপত্তার অভাব হয় না। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাও দেয়া হয়। আর্থিক ও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হয়। উৎসাহী দর্শক পাওয়া যায়।

কেন বারবার এরকম করা হচ্ছে তা নিয়ে মনে হয় না কারো মাথা ব্যথা আছে। তবে এসব দর্শক কতটুকু সচেতন আর কি রকম কালচারড তা প্রশ্নবোধক? এদের কাছে দেশপ্রেম তো অনেক দূরের ব্যাপার, উল্টো অনেকেই এসব অনুষ্ঠানে তেমন দোষই দেখেন না বরং মহাউচ্ছ্বসের সাথেই যোগ দেন। এরা যে জোয়ার আসে সে জোয়ারে ভাসে। প্রশ্ন জাগে বাংলাদেশ কি বলিউডের স্টুডিও? বলিউডের মহড়া কি আমাদের এখানে হবে। মনে হচ্ছে উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে বলিউডের সংস্করণ। বছর জুড়ে এখন এরকম শো হতেই থাকবে। এতে আয়োজকরা বাণিজ্যিক ভাবে যেহেতু সফল সেহেতু তারা আরো উৎসাহী হচ্ছে এবং নতুন করে অনেকে হবে। এরকম আয়োজন ভবিষ্যতেও করা হবে বলে ধরা যায়। এর আগে অনেক আয়োজকদের সেরকম ঘোষণা দিতেও দেখা যায়। আয়োজন দেখে স্পষ্ট বোঝা যায় এদের বাণিজ্যিক সফলতাই মুখ্য। দেশীয় রীতি-নীতি আর প্রথা, ঐতিহ্যের স্বকীয়তা কোনোভাবে দেখার বিষয় নয়।

আমাদের এখানে অন্যদেশের সংস্কৃতির আমদানীর যে যত্রা শুরু হয়েছে তা কোথায় গিয়ে থামবে বলা মুশকিল। বলা হয় ভারতের ঋতুপর্ণার আগমন যেদিন থেকে আমাদের চলচ্চিত্রে হয়েছিল সেদিন থেকে আমাদের চলচ্চিত্রে অশ্লীলতা প্রবেশ করে। সেই যাত্রা থেমে যায়নি। র‌্যাব পুলিশ পর্যন্ত নিয়োগ করতে হয়েছিল। তবে আমাদের চলচ্চিত্র আর চলচ্চিত্র থাকেনি। একেবারে ধ্বংসের দিকে চলে গেছে। এখন একে একে সিনেমা হলগুলো মার্কেটে রূপ নিচ্ছে। চলচ্চিত্র ধ্বংসের পিছনে অনেক সুগভীর ষড়যন্ত্র কাজ করছিল। তবে সেই ষড়যন্ত্রের রূপ এখনো আমরা পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারিনি। আমরা সেখান থেকে কোনো শিা নিতে পারিনি বলেই সুস্থ কোনো বিনোদন ব্যবস্থা আমরা জাতিকে দিতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছি। ক্রমেই আমরা শ্লীলতা আর অশ্লীলতার মাপকাঠিকে দূরে সরিয়ে দুইকে একত্রে মিলিয়ে এক অ-শ্লীল খিচুড়ি জাতিকে হজম করতে শেখানোর চেষ্টা করছি।

লণীয় শাহরুখের কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছিল বিজয় দিবসের কয়েকদিন আগে। আর বিগ শোটি হলো ভাষা দিবসের কয়েকদিন পরে। এভাবে গুরুত্ব পূর্ণ দিনগুলোকে বেছে নিয়ে আগে পরের অনুষ্ঠানের হেতু কি? চলচ্চিত্র শিল্প ধ্বংস হয়েছে। আমরা সংস্কৃতির তুল্যমূল্য বিচারের মাপকাঠি হারিয়ে ফেলছি। দেশীয় সংস্কৃতি নষ্টের যে প্রচেষ্টা চলছে তাতেও আমরা অবগত নই। যখন দেখব নিজের আর নিজস্বতা নেই তখন হয়তো আমাদের আর কিছুই করার থাকবে না।


২৬.০২.২০১১



সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:২৭
৭টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজকের ডায়েরী- ১৪৯

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:২৯



আজ ২৫ রোজা।
এই তো সেদিন রোজা শুরু হলো। দেখতে দেখতে ২৪ টা রোজা শেষ হয়ে গেলো। সময় কত দ্রুত চলে যায়! আগামী বছর কি রমজান... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবগুণ্ঠন (পর্ব ২)

লিখেছেন পদাতিক চৌধুরি, ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:৩৯



অবগুণ্ঠন (পর্ব ২)

ওসির নির্দেশ মতো ডিউটি অফিসার রাঘবেন্দ্র যাদব লাশ পরিদর্শনের সব ব্যবস্থা করে দিলেন। গাড়ির ড্রাইভার সহ তিনজন কনস্টেবল যথাস্থানে তৈরি ছিলেন। বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি ওনাদের।খানিক বাদেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগে বিচার , সংস্কার তারপরেই নির্বাচন

লিখেছেন মেঠোপথ২৩, ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:২২



জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন এক ঝাক তরুনদের রক্তের উপড় দাঁড়িয়ে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এ জ্বালাময়ী কর্মসুচী দিচ্ছিল , তখন বিএনপির... ...বাকিটুকু পড়ুন

It is difficult to hide ল্যাঞ্জা

লিখেছেন অধীতি, ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:৪১

এক গর্দভ ইউটিউবার ৭১কে ২৪এর থেকে বড় বলতে গিয়ে আমাদের শিখায় যে ৭১ বড় কারণ সেটা ভারত পাকিস্তানের মধ্যে হয়ে ছিল। আর আপামর জনসাধারণ সেটায় অংশগ্রহণ করেনি। এই হলো যুক্তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

তথ্য এবং গুজব....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:১৫

তথ্য এবং গুজব....

তথ্য নাগরিকের অন্যতম মৌলিক স্বীকৃত অধিকার। মানবাধিকারও বটে। যোগাযোগের অন্যতম প্রধান উপকরণ তথ্য মানুষের নিত্য সঙ্গি।

তথ্যের (Misinformation) ভুল, ত্রুটিপূর্ণ, বিভ্রান্তিকর বা মিথ্যা তথ্য সমাজে ছড়িয়ে পড়ে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×