প্রিয় চড়ুই পাখি,
কেমন আছিসরে?
নিশ্চয়ই খুব ভালো আছিস এখন আর আমার বকবক শুনতে হয়না বলে। কিন্তু আমি না একদম ভালো নেই। কি করে ভালো থাকবো বল? কত্তোদিন তোর সাথে কথা হয় না। আমার কথার ঝুলিতে রাজ্যের কথা জমে আছে। কিন্তু তোর তো দু’দন্ড সময়ও নেই সেসব শোনার। কেন এমন করিস বল তো? তুই জানিস না তোকে কিছু না বললে আমি শান্তি পাই না। তাহলে কেন শুধু শুধু এতো অশান্তিতে রাখিস। সময় করে শুনে নিলেই তো হয়।
এরপর যখন আসবি...অনেক সময় হাতে নিয়ে আসবি। আমি তখন আমার কথার ঝুলি নিয়ে বসবো আর তুই মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনবি। কি শুনবি না? আমি জানি তো তুই শুনবি। আমার সব কথার একমাত্র শ্রোতা তো তুই-ই। তুই না শুনলে আর কে শুনবে বল?
আচ্ছা তোর চড়ুই পাখি নামটা পছন্দ হয়েছে তো? অবশ্য পছন্দ না হলেও কিছু করার নেই। ঐ নামটাই তোর জন্য যথার্থ। কেন জানিস? রোজ সকালে যখন আমার জানালার কার্নিশে বসে এক জোড়া চড়ুই পাখির কিচির-মিচির ডাকে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায় তখন সব কিছুর আগে আমার তোর কথাই মনে পড়ে। মনে হয় ঐ চড়ুই পাখি দুটির একটা আমি আরেকটা তুই, আর রোজ সকালে জানালার কার্নিশে বসে আমি তোর সাথে কিচিরমিচির করে গল্প করি।
হাহাহাহা...পাগল মনে হচ্ছে আমাকে? সব তো তোরই দোষ। তোকে না দেখতে না দেখতেই তো আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি। আর বেশি দেরি করলে কিন্তু আরো পাগল হয়ে যাবো। তখন কিন্তু ঠেলা তোকেই সামলাতে হবে বলে দিলাম। তাই যা বলছি, ভালোয় ভালোয় তাড়াতাড়ি চলে আয়। তোর চড়ুই পাখিটা তোকে ভীষন মিস করছেরে।
ইতি,
তোর চড়ুই পাখি।
একটি উদ্ভট চিন্তা-ভাবনার বহিঃপ্রকাশ


সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:১২