সাধে কি বিড়াল গাছে ওঠে !!
(মজা দেই মজা লই)
© নূর মোহাম্মদ নূরু
সাধে কি বিড়াল গাছে ওঠে বাঘে খায় ঘাস?
প্রাণ বাঁচাতে এসব করে দেখে নিজের সর্বনাশ।
পালাবার যখন পথ থাকেনা মরে পেটের খুধায়,
বিড়াল বাঘের পরিস্থিতি শুনি কাদের ভবায়?
বিনা দোষে যখন কেউ তোপের মুখে পড়ে,
জীবন বাজী রেখে তখন তাদের সাথে লড়ে
বিড়াল যখন গাছে ওঠে পাও বুঝি খুব মজা,
খামচি দিবে যখন তার সোজা হবে মাজা।
বাঘে যখন শিকার ধরে, হাড্ডি মাংস খাবে,
মজা করার মাশুল তখন কড়ায় গণ্ডায় পাবে।
চামচিকাও লাথি মারে পড়লে হাঁতি গাতায়,
দিন ফিরিলে চামচারাই রাখে তারে মাথায়।
দলবাজদের ধাপ্পা বাজির শুধতে হবে ঋণ,
সময় যে খুব বেশী নাই গুনতে থাকো দিন।
দাড়ি পাল্লায় ওজন হবে দোষ রয়েছে যার,
যতই করো ছল ছাতুরি হিসেবে নাই ছাড়।
কারো সমান যায়না যে দিন সবাই মনে রাখো,
উপহাসের ছলে কেনো গায়ে কালি মাখো?
বিড়ালেরও ফিরবে যে দিন ঘুরবে যখন চাকা,
চামচারাও দূরে যাবে মাঠ থাকিবে ফাঁকা।
বাঘের হালুম ভাংবে যখন বন্ধ কানের তালা,
চামচিকারা থাকবেনা আর দিতে গলায় মালা।
মজা দেই মজা নিতে সাদা দিলে তাইতো কই,
মনে রেখো আমরা সবাই চষি যে পরের ভূঁঁই।
পরের জাগা পরের জমি মালিকতো আমি নই,
কিছু দিনের মালিক হয়ে সেই কথাটি ভুলে রই !
মালিক যখন নাখোশ হবে থাকার কোন রাস্তা নাই।।
আদেশ নিষেধ মানতে হবে যদি কেহ থাকতে চাই।
সত্যি কথা বলতে গিয়ে অনকেরই শত্রু হই,
সে কারণে কানে তূলা চুপটি করে পড়ে রই।
পরের জমির বর্গাচাষী যদি ভাবে নিজের ভূঁঁই ,
এই অধমে বলে তারে আহম্মক নাম্বার দুই।
প্রকাশকালঃ ঢাকা, ২৫ নে ২০২২ ইং
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০২২ বিকাল ৩:১৭