কিছু কিছু মানুষ এ পৃথিবীর বুকে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, আর তাদের চিন্তাধারা ,তাদের কাজ, আমূল পরিবর্তন করে দিয়েছিল সমগ্র মানবসভ্যতাকে। মানব সভ্যতার সেই সব স্মরণীয় মানুষের স্মরণে এই পোস্ট। তাদের কার্যপরিধির ব্যপকতা ছুঁয়ে যাক আমাদের।সেই সব মহামানবের জীবন থেকে শিক্ষা, তাদের চিন্তাধারা থেকে শিক্ষা,আর তাদের ভুল থেকে শিক্ষা এগিয়ে দিক আমাদের প্রজন্মকে ,সাথে সাথে আরও এগিয়ে নিয়ে যাক আমাদের মানবসভ্যতাকে।
=============================================
প্রথমেই আলোচনা করছি এই পৃথিবীর রাজনৈতিক অঙ্গনকে বিভিন্ন সময় কাঁপিয়ে দেওয়া কয়েকজনকে দিয়ে................................................................................................
১. সে গেভারা ১৯২৮-১৯৬৭, আর্জেন্টাইনঃ
“আমি কোন মুক্তিদাতা নই। মুক্তিদাতাদের কোন অস্তিত্বই নেই। জনতাই নিজেদের মুক্ত করে” ।এর্নেস্তো গেভারা দে লা সেরনা। বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে খ্যাতিমান সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবী। মৃত্যুর আগের মুহূর্তে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল তিনি তিনি কি তার অমরত্বের কথা ভাবছেন? 'সে গেভারা' জবাব দিয়েছিলেন ‘আমি ভাবছি, বিপ্লবের অমরত্বের কথা’। একে একে নয়টি গুলি করে এক মদ্যপ সৈনিক বন্দী সে গেভারা'র জৈবিক দেহকে হত্যা করতে পেরেছিল। কিন্তু সেই নয়টি গুলিতে মারা যায়নি তার আদর্শ , চেতনা।তা এখনো জ্বলজ্বল করে জ্বলছে সারা বিশ্বের কোটি ভক্তের হৃদয়ে।
২.এডলফ হিটলার (১৮৮৯-১৯৪৫) (১৯২৫ সাল পর্যন্ত অস্ট্রীয়; ১৯৩২-এর পর জার্মান):
বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী ঐতিহাসিক চরিত্র এই এডলফ হিটলার । যিনি একাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মত একটি ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়েছেন আর পরিবর্তন করে দিয়েছেন বিশ্বের রাজনৈতিক আর প্রযুক্তিগত অধ্যায় ব্যাপকভাবে।
মোহনীয় বক্তৃতার মাধ্যমে এক সময় জনপ্রিয় নেতায় পরিণত হন। সামরিক বাহিনীকে নতুন নতুন সব অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করেছিলেন এবং সর্বোপরি একটি সমগ্রতাবাদী ও ফ্যাসিবাদী একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। হিটলার এমন একটি বৈদেশিক নীতি গ্রহণ করেন যাতে সকল "লেবেনস্রাউম" (জীবন্ত অঞ্চল) দখল করে নেয়ার কথা বলা হয়। হিটলারের রাজ্য জয় ও ইহুদী আগ্রাসনের কারণে ৬০ লক্ষ ইহুদিকে পরিকল্পনামাফিক নির্মম ভাবে হত্যা করা হয় ।এই ঘটনা ইতিহাসে হলোকস্ট নামে পরিচিত
সেটি ছিল ১৯৪৫ সাল। হিটলার তখন বার্লিনেই ছিলেন। রেড আর্মি যখন বার্লিন প্রায় দখল করে নিচ্ছিল সে রকম একটা সময়ে ইভা ব্রাউনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই তিনি ফিউরার বাংকারে সস্ত্রীক আত্মহত্যা করেন ।
৩. নেলসন ম্যান্ডেলা (১৯১৮-),দক্ষিণ আফ্রিকান:
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট। দীর্ঘ ২৭ বছরের কারা-জীবনের অধিকাংশই তার কেটেছে রোবেন দ্বিপে(১৮ বছর)।আর এই সময়ে সারা বিশ্বে তিনি পরিচিত এবং জনপ্রিয় হতে থাকেন আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গ নেতা হিসেবে। ১৯৯০ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি তিনি কারামুক্ত হন। এর পর তিনি তাঁর দলের হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ সরকারের সাথে শান্তি আলোচনায় অংশ নেন। এর ফলশ্রুতিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদের অবসান ঘটে।
৪.মহাত্মা গান্ধী (১৮৬৯ – ১৯৪৮), ভারতীয়:
মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ।পৃথিবীর রাজনীতির ভাবধারা কে পরিবর্তন করার এক অনন্য কারিগর।অহিংস আন্দোলনের এই নেতা বিশ্বকে শেখালেন কি করে বিনা সহিংসতায় নিজের অধিকার আদায় করতে হয়।
গান্ধী তার জীবন শুরু করেছিলেন একজন ল-ইয়ার হিসেবে কিন্তু পরিণত হলেন একজন গ্রেট রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় নেতা হিসেবে। তার সরল জীবন যাপন আর ধর্মীয় সহিষ্ণুতা তাকে করেছে শান্তি এবং শিষ্টাচারের বিশ্ব প্রতীকরূপে।
৫. কার্ল মার্ক্স (৫ই মে, ১৮১৮ – ১৪ই মার্চ, ১৮৮৩) ,জার্মান :
তিনি ছিলেন একজন প্রভাবশালী জার্মান সমাজ বিজ্ঞানী ও মার্ক্সবাদের প্রবক্তা।জীবিত অবস্থায় তিনি তেমন সুপরিচিত না হলেও মৃত্যুর পর সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবীদের কাছে তিনি জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকেন। আর বিংশ শতাব্দীতে এসে সমগ্র মানবসভ্যতাই মাক্স এর তত্ত্ব দ্বারা প্রবলভাবে আলোড়িত হতে থাকে।
মার্ক্সীয় মডেলে মানুষের ব্যাক্তি অস্তিত্ব নেই -শুধু সামাজিক অস্তিত্ব আছে।
=============================================..
বিপ্লব,সংহতি বা শান্তি থেকে এবার আসি বিজ্ঞানের কথায় । পৃথিবীর মহা সক্রিয় মস্তিস্কেরা, যাদের বুদ্ধিবিত্তিক ছোঁয়ায় পাল্টে গিয়েছিল আমাদের হাজার বছরের লালিত বিজ্ঞান আর ইতিহাস ব্যাপকভাবে। সেই সব ভাল লাগার
জ্ঞানময়রা……
১.আলবার্ট আইনস্টাইন (১৮৭৯-১৯৫৫),জার্মান/ আমেরিকান
মাত্র তিন পাতার একটি পেপার লিখতে তার জীবনের ১০ টি বছর কাটিয়ে দিয়েছিলেন , সেই বিখ্যাত Theory of Relativity (E=mc2). আইনস্টাইন ছিলেন সেই ব্যক্তি , যিনি বিংশ শতাব্দীর পদার্থবিজ্ঞানকে নবজীবন দান করেছেন তার প্রায় তিনশটি পেপার এর মাধ্যমে।
১৯১৯ সালে যখন তার রিলেটিভিটি থিওরি প্রমাণিত হল, তার পর থেকেই তিনি এই গ্রহের সবচেয়ে সেলিব্রেটি সায়েন্টিস্ট এ পরিনত হন এবং একই সাথে তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞান আর মূলত ফটো - ইলেকট্রিক কাজের স্বীকৃতি সরূপ তিনি ১৯২১ সালে নোবেল প্রাইজ ও পান। যদিও তিনি নিজে ছিলেন প্যাসিফিক কিন্তু তার থিওরি আমেরিকাকে প্রেরণা যোগাল পারমানবিক বোমা তৈরিতে।
তবে এটা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায় , তিনি ছিলেন এই বিশ্বের সবচেয়ে স্মার্ট একজন লোক যিনি বিশ্ব বিজ্ঞানে দিয়েছিলেন তার গণিতের রঙের ছোঁয়া।
২. স্যার আইজ্যাক নিউটন (১৬৪২-১৭২৭),ইংল্যান্ড
সেই যে একটা আপেল পড়ল মাথায় , আর তিনি দিলেন তার law of gravity আর সূচনা করলেন ক্লাসিকাল বা নিউটোনিয়ান ফিজিক্স এর ... চলতেই থাকল......
এই পৃথিবীর সর্বকালের সেরা বিজ্ঞানীদের একজন।
৩. টমাস আলভা এডিসন ( ১৮৪৭ -১৯৩১) মার্কিন
সেটা ছিল গত শতকের কথা ,যে যান্ত্রিক সভ্যতার সূচনা হয়েছিলো সে সময় , এডিসনকে সেই সভ্যতার জনক বলা যায়। এডিসন ছিলেন খুবই পরিশ্রমী।তিনি টানা ৫/৬ রাত না ঘুমিয়ে গবেষনা করতেন এবং কাজের টেবিলে ঘুমিয়ে যেতেন।তিনি বলতেন প্রতিভায় আমি বিশ্বাস করি না,পরিশ্রমই হল প্রতিভার মুল কথা। এডিসনের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী আবিষ্কার হল বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কার। “কিনেটোগ্রাফ’ গতিশীল ছবি তোলবার জন্য প্রথম ক্যামেরা আবিষ্কার । ১৯২২ সালে এডিসন আবিষ্কার করলেন কিনেটোফো , যা সংযুক্ত সিনেমার ক্যামেরার সাথে। এরই ফলে তৈরি হল সবাক চিত্র । তিনি সিমেন্ট, আধুনিক সহজে বহনযোগ্য ব্যাটারি, রাবার ইত্যাদি আবিষ্কার করেছেন আর তার মৃত্যুর পর নিউইর্য়ক পত্রিকায় লিখা হয়েছিল মানুষের ইতিহাসে এডিসনের মাথার দাম সবচেয়ে বেশী ।কারন এমন সৃজনী শক্তি অন্য কোন মানুষের মধ্যে দেখা যায়নি
৪. গ্যালিলিও গ্যালিলি (১৫৬৪ _ ১৬৪২)ইতালীয়ান
তিনিই প্রথম বিজ্ঞানী যার হাত ধরে আধুনিক বিজ্ঞান আর বিজ্ঞানীরা বেড়িয়ে আসতে লাগল এরিস্টটলীয় ভাবধারা থেকে। আধুনিক বিজ্ঞানের জন্মের জন্য যে কোনো একক ব্যক্তির চেয়ে গ্যালিলিওর অবদান সবচেয়ে বেশি। তিনি চিরায়ত পদার্থবিদ্যার প্রধান প্রতিষ্ঠাতা। গ্যালিলিও প্রথম বিপ্লব আনেন বল বিদ্যায়।প্রায় দুইহাজার বছর ধরে চলে আসা মতবাদ," পৃথিবী স্থির রয়েছে"। সূর্যসহ সব গ্রহসমূহ তাকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে। অ্যারিস্টটলও তা-ই বলে গেছেন। কিন্তু তিনি বললেন তার বিপরীত কথা। তাকে আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের জনক, আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জনক এবং এমনকি আধুনিক বিজ্ঞানের জনক হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে।
৫. চার্লস ডারউইন (১৮০৯-১৮৮২), ইংল্যান্ড:
তিনি সর্বকালের সেরা বিজ্ঞানী কিনা এটা নিয়ে সন্দেহ থাকতে পারে ,কিন্তু তিনি যে সর্বকালের সেরা বিতর্কিত বিজ্ঞানী এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই। the Origin of Species by Means of Natural Selection (1859) এই এক জ্ঞান রাজ্য ,তাকে পৃথিবীর ইতিহাসে অমর করে রেখেছে। survival of the fittestহ্যাঁ এটাই তার তত্ত্বর মূলনীতি। ডারউইনের থিওরি এখনও প্রবল আবেগপূর্ণ ভাবে তার সমর্থক এবং প্রতিপক্ষকে বিতর্কের রসদ যুগিয়ে যাচ্ছে।
=============================================
অতঃপর , আপনি যে এখন এই যে নেট- পিসি এর সামনে বসে আছেন তার বৈপ্লবিক কারিগরদের,এই জগতকে এতটা সহজলভ্য করার কারিগরদের কিংবা নেট-ইয়ান জগতের সেলেব্রেটি সম্পর্কে কিছু বলার প্রয়াস এই অংশটুকু......
১. Larry Page and Sergey Brin
দুই বন্ধু মিলে নির্মাণ করলেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সার্চ ইঞ্জিন google.com আর শুরু হল তার ঐতিহাসিক পথচলা।বর্তমান সময়ের সবচেয়ে প্রভাবশালী দুটি চরিত্র যারা পাল্টিয়ে দিয়েছে পুরো ইন্টারনেট দুনিয়ার চেহারাটা। আর তাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে সাজিয়ে ফেলা পৃথিবীর তথ্যভাণ্ডার ।
২. রিচার্ড স্টলম্যানঃ 1953 United States
রিচার্ড ম্যাথিউ স্টলম্যান একজন বিশ্বখ্যাত মার্কিন কম্পিউটার প্রোগ্রামার, হ্যাকার ও সমাজকর্মী। তিনি মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলনের প্রবর্তক.
সেটা ছিল আশির দশকের শুরুর দিক-কার কথা । সফটওয়্যার বাজার যখন ক্রমেই রম-রমা হয়ে উঠছে,দেখা যাচ্ছে এক কম্পিউটারের সফটওয়্যার অন্য কম্পিউটার এ চলা শুরু করছে।আর তখনি সবাই মিলে ঠিক করল এখন সফটওয়্যার সবাইকে কিনেই ব্যবহার করতে হবে। একমাত্র স্টলম্যান ই বলল “সফটওয়্যার এর জন্য এত বিপুল পরিমাণ টাকা চাওয়া মানে হচ্ছে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ” ফলশ্রুতিতে তিনি ছেড়ে দিলেন MIT মত বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠানের পি.এইচ.ডির গবেষণা। তিনি ভাবতেন বন্ধুদের সাথে সফটওয়্যার আসলে উপভোগ করেই ব্যবহার করা উচিত। অতি অল্প সময়েই তার এ মতবাদ জনপ্রিয় হয়ে উঠতে লাগল ।
তার নিজস্ব কোন বাড়ি –গাড়ি নেই, কাজ শেষে অফিসেই ঘুমিয়ে পড়া। মোবাইল ফোন ব্যবহার না করা। তিনি এতই কম খরচ করতেন যেন কোন কিছুর উপরই তার নির্ভর করতে না হয় ।বক্তৃতা আর প্রাইজ মানি-র অর্থ দিয়েই তার দিন কাটে।
৩. Steve Jobs
“নবধারা সৃষ্টি করার ক্ষমতাই একজন নেতা এবং সমর্থকের মাঝে তফাৎ তৈরি করে”।অ্যাপল আর পিক্সার এনিমেশন স্টুডিও এর স্রস্টা , বেঁচে থাকা জীবন্ত কিংবদন্তি স্টিভ জবস। অ্যাপল ই প্রথম যা কম্পিউটার জগতে নিয়ে আসে রঙ, রুপ আর স্মার্টনেস এর ব্যাপার-স্যাপার।শুধু অ্যাপলই যথেষ্ট ছিল তাকে এ জগতে অমর করে রাখার জন্য, কিন্তু অসীম সে প্রতিভা তা হতে দিল না। পিক্সার স্টুডিও থেকে বের হতে লাগল টয় স্টোরি, এ বাগস লাইফ, টয় স্টোরি-২, মনস্টার ইঙ্ক,ফাইন্ডিং নিমো, ইনক্রেডিবলস এর মত সব মাথা নষ্ট করা এনিমেশন।
৪. Mark Zuckerberg
এই পৃথিবীর সবচেয়ে তরুণ একজন যে পাল্টিয়ে দিয়েছে পুরো পৃথিবীর চেহারাটাই। এমন এক সামাজিক মেলবন্ধন ঘটালেন , যার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত আত্মার সাথে আত্মার সংযোগ ঘটতে লাগল ।গড়ে উঠল এমন এক সামাজিক নেটওয়ার্ক যার মাধ্যমে এত অধিক সংখ্যক মানুষ এত কাছাকাছি এল যা আগে কখনই ঘটেনি।
৫. Bill Gates
আজকের বিশ্বের মহাপ্রতাপশালী,ইন্টারনেট দুনিয়ার দানব মাইক্রোসফট ,আর তার প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী, নন্দিত একই সাথে নিন্দিত এই ব্যাক্তি তার উচ্চাকাঙ্ক্ষা আর অসম বানিজ্য নীতির জন্য।আবার সম্পদের অর্ধেক অংশ দান করে তিনি আবার বিশ্বের সবচেয়ে বড় দাতাও বটে।
উৎসর্গঃ কে যেন কথাটা বলেছিল, আমরা বেশীরভাগ বাঙ্গালীরা কখনও উপরে উঠার চেষ্টা করি না,আর কেউ সেই চেষ্টা করলেও বাকি সবাই মিলে তাকে নিচ থেকে টেনে ধরি যেন উপরে উঠতে না পারে । এই পোষ্টা সেই সব বাঙালিদের জন্য উৎসর্গ-কৃত যারা প্রতিনিয়ত উপরে উঠার চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং আরও তাদের জন্য যারা তাকে পিছন টেনে ধরে আটকানোর চেষ্টা করছে না।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২০