৪ বছর পর পর ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ নামে যে মহৌৎসব হয় এই ধরায়, তা থেকে দূরে থাকে এমন বেরসিক খুব বেশী নাই। গোটা দুনিয়ার কথা বাদ আগে নিজের দেশের কথা বলি।২০১০ সালে দক্ষিন আফ্রিকায় হওয়া বিশ্বকাপের সময় ভার্সিটি হলে ছিলাম। হলে খেলা দেখার মজা ও উত্তেজনা কিরকম তা যারা হলে থেকে দেখেছেন তাদেরকে আর বলে দিতে হবেনা আশা করি। সাধারণ টুর্নামেন্ট হলেতো কথাই নাই আর এতো ফুটবল বিশ্বকাপ! বাংলাদেশের অন্যান্য সব জায়গার মত আমাদেরও প্রস্তুতি শুরু হত পতাকা টাঙ্গানো দিয়ে।কার আগে পতাকা টাঙ্গানো যায় এবং কত বড় সেই প্রতিযোগিতা।চাঁদা তুলে পতাকা কিনা হত।আমাদের হলে খেলা দেখা গেলেও আমরা বড় ছাত্র হলে গিয়ে খেলা দেখতাম।ওখানে জমায়েত হত বেশী।নিজে ব্রাজিলের সমর্থক ছিলাম এবং বলাবাহুল্য ব্রাজিলের সমর্থক মানেই হল একইসাথে এন্টি-আর্জেন্টাইন সমর্থক এবং ভাইস-ভার্সা(ঐতিহ্য বলে কথা!)।তাই আর্জেন্টিনার খেলাও মনোযোগ দিয়ে দেখা হত।আমার রুমেও তখন আমরা ফিফটি-ফিফটি।দুইজন ব্রাজিল,দুইজন আর্জেন্টিনা।আপাতত সবাই ডাইহার্ড ফ্যান।সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তার টেবিল থেকে শুরু করে রাতে শুতে যাবার আগ পর্যন্ত চলত খেলা নিয়ে বিশ্লেষণ,আলোচনা,তর্ক।অ্যাজ ইউজুয়াল প্রতিপক্ষ আর্জেন্টাই্ন সা্পো্র্টা্ররা। খেলা নিয়ে তর্কের শুরু হত পরিসংখ্যান দিয়ে।মানে কোন দল কবে কোথায় কিভাবে ভাল খেলেছে,খেলোয়াড়দের কার পারফরমেন্স কেমন ইত্যাদি।অবধারিতভাবে চলে আসত পেলে কিংবা ম্যারাডোনার নাম।সেখান থেকে তাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খোঁচাখুঁচি এবং সবশেষে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে সাপোর্টারদের নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনের উ্পর হস্তক্ষেপ।হাতাহাতি হয়ে যায় যায় অবস্থা।আমার মত যারা শুটকা-পাতলা ছিলাম তারা শেষ স্টে্পে যেতাম না।গেলে খাওয়ার চান্স বেশী কিনা তাই!
ওয়ার্ড্চ কাপ চলাকালীন সময়ে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার পতাকা লাগানো দিয়ে কর্মকান্ড শুরু হতো আগেই বলেছি।হলের সবচেয়ে ভদ্র ছেলেটাও যেন খেলা চলাকালীন ওই সময়টায় চরমপন্থী হয়ে যেত।কিছুতেই কিছু বুঝবেনা।মামা যা বুঝছে তা-ই ঠিক।সারারাত খেলা দেখে পরেরদিন এক্সাম দিতে গিয়ে সাদা খাতা জমা দিয়েছে এমন উদাহরণ যেমন কম না আবার দুপুরে হয়ত কারো সাথে গ্যাঞ্জাম হইছে,কথা অফ। কিন্তু বিকেলে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ম্যাচে সে আবার টীমমেট।দেখা গেছে ম্যাচ শেষে একজন আরেকজনের কাঁধে করে নাচতে নাচতে মাঠ থেকে বের হচ্ছে।দুইজন মিলে তখন জিগরী দোস্ত হয়ে বিপক্ষ দলকে পচানোর দায়িত্ব নিছে! দেয়াল লিখন আর বাথরুম পেইন্টিংয়ের কথাতো বাদ-ই দিলাম।ব্যক্তিজীবনও এই খেলার ছোবল(!)থেকে রেহাই পায় না।ব্রাজিল সমর্থক আমার এক বাল্যবন্ধু যেমন একবার বাসায় সবার সাথে বসে খেলা দেখছিলো।ওই ম্যাচটা আর্জেন্টিনা হারছিলো।পুরো সময় চুপচাপ বসে থাকলেও রেফারী যখন খেলা শেষে্র বাঁশি দিল তখনি বেচারা আর আবেগ সামলাতে না পেরে ‘ইয়াহু’ বলে চিল্লায়ে উঠছিল।খাস আর্জেন্টাইন সা্পো্র্টার তার বাবা সাথে সাথে বললেন ‘ওই তুই আজকে থেকে ভাত খাবিনা।তোর ভাত বন্ধ’।আমাদের হলে অনেক ছেলেকে দেখেছি মাসের বাকি দিনগুলোর চলার টাকা থেকে পতাকা কিনার জন্য টাকা দিতে।অনেকে গার্লফ্রেন্ডের সাথে বিকালে ঘুরতে যাওয়া বাদ দিছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ খেলার জন্য।মানে সমর্থকদের নিজেদের মধ্যেকার ম্যাচ আর কি।কিছু সুযোগসন্ধানী ছিল যারা আবার পছন্দের মানুষ কোন দল সাপোর্ট করে সেটা জেনে নিয়ে এই সুযোগে প্রপোজটা করে দিত।যুক্তি হিসেবে সে নিজে ওই দলের জানেমান সমর্থক বলে দাবি করতো।আবার এমনও দেখা গেছে এক বন্ধু মেজাজ খারাপ করে রিলেশনই বাদ দিবে বলতেছে কারণ তার গার্লফ্রেন্ড ব্রাজিলকে সা্পো্র্ট করে ফেসবুকে তার সাথে তর্ক করেছে।আমার মনে হয় যা বললাম তা ক্ষুদ্র একটা অংশ মাত্র।দেশে আরো হাজার হাজার বিচিত্র ঘটনা ঘটায় এই সাপোর্টাররা।
মনে আছে গত ওয়ার্ল্ডকাপে ব্রাজিল যেদিন হেরে বিদায় নিলো সেদিন তখন রাত সম্ভবত ১০/১১ টা বাজে।হলে তো টিটকারী-বিদ্রুপ যা শুনার শুনলাম।আমি আতঙ্কে ছিলাম আমার হলে গেলে না জানি কি হবে! ওইদিন মান-সম্মানের ভয়ে আমরা ২-৩ জন হলে ঢুকেছিলাম ২-৩ ঘন্টা পর।ভাবছিলাম একটু শান্ত হইছে মনে হয় সবাই।যদিও বাইরে থেকে গানের আওয়াজ শুনতেছিলাম।তবুও অনেক রাত হইছে তাই ভাবলাম এখন সেইফ।ওমা! গিয়ে দেখি কিসের কি।পুরা হল জুড়ে সাউন্ডবক্স লাগায়ে গান চলতেছে ব্রা.........জি.........ল... লা-লা-লা-লা-লা।আর্জেন্টিনার বদমাইশ গুলা রেডি হয়েই ছিল আমাদের লাঞ্ছিত করার জন্য।যাবার সাথে সাথেই এলোপাতাড়ী আক্রমণ।ওইরাতে কোনমতে পালায়ে আসছি সম্ভ্রম নিয়ে।ঘুমাইছি অন্য এক হলে গিয়ে ভোরের দিকে।আমাদের হলে রাতে যেই নিরীহ ব্রাজিলিয়ানরা ছিল তাদের মুখে শুনছি যে ওইদিন সারারাত এমন গান চলছে।শুধু কি গান?একটু পর পর অশ্রাব্য গালিগালাজ আর টিটকারী তো ছিলোই।মোটকথা যে যেখানে ছিল নির্ঘুম রাত কাটাইছিল।দুই পক্ষই।এক পক্ষ আনন্দে আরেক পক্ষ যন্ত্রনায়।এর কিছুদিন পরেই আর্জেন্টিনা জার্মানীর কাছে হেরে বিদায় নেয়।আমাদের দুই কট্টর ব্রাজিলিয়ান সমর্থক নিজেদের টাকায় আর্জেন্টিনার পতাকা কিনে এনেছিল।উদ্দেশ্য পতাকা অবমাননা।খেলায় আর্জেন্টিনা গোল খায় আর তারা প্রচন্ড ক্ষোভ নিয়ে পতাকা অবমাননা করে।এটা দেখে আর্জেন্টিনার এক সমর্থকের সাথে ব্রাজিলিয়ান এক সমর্থকের প্রায় হাতাহাতিই হয়ে গেছিল।মোটামুটি খেলা শেষ হবার সাথে সাথে দেখা গেল হলে আর্জেন্টিনার সমর্থক একটাও নাই।আমরাও বসে ছিলাম সেদিনের অপমানের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য।সাউন্ডবক্সে ফুল ভলিউমে আর্জেন্টিনার জাতীয় সংগীত বাজান হল আর তার সাথে ব্যাকগ্রাউন্ডে আপত্তিকর সব গান।শেষরাতে যে দু-একটাকে পাওয়া গেল তাদেরকে দেখে সত্যি বলতে কি কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছিল।চেহারার কি অবস্থা একেকজনের!আমরা অনেকেই যারা প্রিপারেশন নিয়ে বসেছিলাম তারাও বেশী কিছু করার সাহস এবং সায় পেলাম না।তবে মিউজিক চলছিলো। বির্তক থেমেছিল আশাবাদ নিয়ে।ঠিক আছে নেক্সটবার দেখা যাবে বলে।
এবার একটু সিরিয়াস কথায় আসি।আমাদের দেশে সারা বছর ঝামেলা-গ্যাঞ্জাম লেগেই থাকে।নানামুখী সমস্যার জাঁতাকলে পরে জীবন সবসময়ই দুর্বিসহ।মজা করার উপলক্ষগুলো সত্যিকার অর্থেই কমে যাচ্ছে। এমনকি ঐতিহ্যগত ও ধর্মীয় কিছু উৎসব উদযাপনও কিছু কিছু ক্ষেত্রে বোঝা হয়ে যাচ্ছে।দেশের গরীব ও মধ্যবিত্ত অনেক পরিবারই কিন্তু অর্থাভাবে ঈদ করতে পারেনা ঠিকমত।পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ কিংবা বৈশাখী মেলায়ও যাওয়া হয়না অনেক পরিবারের-ই।সেখানে এই ধরণের একটা উপলক্ষ্যকে কেন্দ্র করে আমরা একটু বিনোদিত হবার চেষ্টা করতেই পারি।হ্যাঁ,হয়ত বাড়াবাড়ি কিছু কিছু ক্ষেত্রে।ভিনদেশী পতাকা টাঙ্গানো নিয়ে অনেকেই দেখলাম বিরক্ত।যেই সেন্স থেকে তারা এটা বলছেন তাকে সাধুবাদ জানাই।তবে একটা ভাল যুক্তি কিন্তু আছে যে, বাংলাদেশ যদি বিশ্বকাপে খেলত তবে আমাদের দেশে এইসব ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার কোন পতাকাই নিশ্চয়ই তখন থাকতোনা।।তার মানে পতাকা টাঙ্গানো মানেই ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা,কিংবা জার্মানী-স্পেনের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ নয়।এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত।অনেকের দ্বিমত থাকবে জানি।তবুও আমাদের দেশে বিশ্বকাপ ফুটবল এখন একটা উৎসবের মত।যেই উৎসবের সার্বজনীনতা আছে,প্রাঞ্জলতা আছে।সেক্ষেএে মাতামাতি একটু বাঁধভাঙ্গা হতেই পারে।তাই সমর্থন নিয়ে চিল্লাচিল্লি,কাদা-ছোড়াছুড়ি চলুক।আমি সমর্থন করি।
থাকি জার্মানী,ব্রাজিল করি কেন?কিংবা করলে এশিয়া করিনা কেন?
কারণ খেলাটা একটা আর্ট।যাদের খেলা ভাল্লাগবে তাদেরকেইতো সাপোর্ট দিব,নাকি?আবেগ কি সমীকরণ মেনে চলে?
কি দরকার নিজের দেশে থেকে অন্যের দেশকে সাপোর্ট দেয়ার?দেশপ্রেম নিয়েই টানাটানি শুরু করে দেন অনেকে।বলি-ভাই, দেশপ্রেম ব্যপারটাইতো উপলব্ধির ব্যপার।নিজের দেশটা নাই বলেইতো এমনটা করা। ক্রিকেটেতো আমাদের দেশের চেয়ে অনেক দেশ অনেক অনেক ভাল খেলে।তো আমরা কি সেখানে তাদের সাপোর্ট করি?২০১১ তে আমাদের দেশে আয়োজিত বিশ্বকাপ ক্রিকেটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সময় যখন আমাদের দেশের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হচ্ছিল তখন অনেককেই আমি দেখেছি জাতীয় সঙ্গীত গাইতে গাইতে অশ্রুসজল হতে।এবারের ব্রাজিলিয়ান টীমের জার্সিতে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লোগো দেখে আমরা আবেগাপ্লুত হই।কারন আর কিছুই না;উপলব্ধি।আমরা সামহাউ দেশকে দেখতে চাই।ভাল জায়গায়।অনেক জায়গায় অনেক বিচ্ছিন্ন উদাহরণ হয়ত আছে তবুও আমার মনে হয় আমাদের ইয়াং জেনারেশনের মধ্যে দেশাত্ববোধের উপলব্ধিটা আছে।খুব ভালোভাবে না হলেও আছে।আরো অনেক দেশেরই ছেলেপেলেদের তো দেখেছি। অন্তত তাদের অনেকের চেয়ে আমাদের অবস্থা ভাল।সো যাই করি ভেতরে ছোট্ট একটা বাংলাদেশ ঠিকই আছে।আশা করি থাকবেও।
তবে............
আনন্দ বাঁধভাঙ্গা হবে তাই বলে পেপারে ‘সমর্থকগোষ্ঠীর ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ নিয়ে মারামারিতে ১জন নিহত’ এই টাইপ নিউজ দেখতে হবে সেটা কোনভাবেই প্রত্যাশিত না।আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে গিয়ে সেটা যদি ধংসযজ্ঞে রূপ নেয় তবে সেই আবগ দমন করাই শ্রেয়।এখন কেউ যদি নাই বুঝে সীমারেখা কতদূর হওয়া উচিত কিংবা সীমা ছাড়িয়ে গেলেও সেটা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতাই যদি কারো না থাকে তবে এই ধরণের আবেগের উপর কড়াকড়ি আরোপ করা যেতেই পারে। আমাদের দেশের সমর্থকদের তো চিনি তাই অনেকে চাইলেও আমি এই একটা কারণেই চাই না বিশ্বকাপ ফাইনাল কখনো ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মধ্যে হোক।ইতিহাসের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর খেলা হবে নিঃসন্দেহে কিন্তু খেলার আগে-পরে উত্তেজনাতেই আমার দেশের অনেক নিরীহ মানুশের প্রানহানি ঘটবে এটাও আমি নিশ্চিত।হাজার-হাজার মাইল দূরের দেশের কোন ব্রাজিলিয়ান কিংবা আর্জেন্টাইন যেটা কখনোই জানবেনা হয়তো।মেসি-নেইমারদের কানেও হয়ত পৌঁছাবেনা আমাদের পাগলামির খবর।সুতরাং বিনোদন হোক তবে ধ্বংসযজ্ঞ না।কোন সমস্যা নাই।
কনফেশন
আমি ফুটবলবোদ্ধা নাই।খেলা ফলো করা হয়না তেমন একটা।ওয়ার্ল্ডকাপেই যা-একটু।তাই আমাদের বন্ধু-বান্ধব,ভাই-বোনেরা যখন খেলা দেখার সময় কিংবা আলোচনায় একটা দল বা একজন খেলোয়াড়ের এ টু জেড বৃত্তান্ত বলেন তখন খুব অসহায় বোধ করি।কারন আমি এত কিছু জানিনা।নিজের টীমের শক্ত ভক্ত তবে অন্ধ ভক্ত নই। আগেই বলেছি খেলাটা একটা আর্টের মত লাগে।এই আর্ট উপভোগ করি।আমার কাছে ল্যাটিন ফুটবল মানেই আর্টিস্টিক কিছু।ইউরোপীয়ানদের খেলা যান্ত্রিক লাগে।তারা জিতে হয়তো কিন্তু খেলা দেখে মুখ হাঁ হয়ে যায়না।(মাঝে মাঝে দুই একটা ম্যাচ কিংবা দু’একজন অতিমানবের খেলা বাদে)একারণে ল্যাটিন ফুটবল আমাকে টানে।ব্রাজিল সাপোর্ট করলেও আর্জেন্টিনার খেলা দেখে মুগ্ধ হই।বদমাইশ সাপোর্টারদের জন্যই যেটা বলা হয়ে ওঠেনা।ঐ যে বললাম ঐতিহ্য!এনিওয়ে,শৈল্পিক ফুটবল খেলার কারনেই আর্জেন্টিনার খেলায় আমি আর্জেন্টিনার সাপোর্ট করি।এ প্রসঙ্গে একটা কথা বলি।ভার্সিটিতে হলে আমার এক খুব ক্লোজ বন্ধু ছিল আর্জেন্টিনার সাপোর্টার।সে আমাকে প্রায়ই সুযোগ পেলেই বলতো ‘দোস্ত আমার কেন জানি মনে হয় তুই আর্জেন্টিনা করস।দোস্ত সত্যি করে বলতো?তুই শুধু আমার কাছে স্বীকার কর।তোরে একদিন বুফে খাওয়াব।‘আমি হাসতে হাসতে বলতাম ‘কিরে ভাই ম্যারাডো্নার মত এসব কি বলিস’।সে হাল ছাড়ত না।খেলা নিয়ে আলোচনায় সে সবাইকে বলতো আমার পুরনো বন্ধুদের কাছে সে খবর নিয়েছে আমি আগে আর্জেন্টিনা সাপোর্ট করতাম!
দোস্ত,তোকে বলছি।যাহ,আজকে স্বীকার করলাম।আর্জেন্টিনার খেলা আমার ভাল লাগে।শুধু ভাল না।মুগ্ধ করে।যে দল গুলো ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মত একই স্টাইলে খেলে তাদের খেলাও ভাল্লাগে।
বিশ্বকাপ ব্রাজিল জিতবে এটা প্রত্যাশা তবে তোর আর্জেন্টিনা জিতলেও খুশি হব। দেশে আসলে বুফে খাবারটা পাওনা রইলো।