না ভাই, আর মনে হয় রক্ষা নাই। গার্মেন্টস শিল্প মনে হয় এবার ধ্বংসের মুখে। গার্মেন্টস শিল্প ধ্বংস মানে বুঝেন? এর মানে দেশে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আসে যে ক্ষেত্র থেকে, সেটা শেষ হয়ে যাওয়া, সেই অর্থ আসা বন্ধ হয়ে যাওয়া। শ্রমিকরা বিদেশের বাজারে শ্রম দিয়ে যা দেশে পাঠায়, সেই রেমিট্যান্স এই গার্মেন্টসের আয়ের তুলনায় সামান্যই।
বাংলাদেশের উপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩৭% ট্যারিফ আরোপ করেছেন। অর্থাৎ এখন থেকে আমেরিকার বাজারে কিছু বেঁচতে হলেই ৩৭% শুল্ক দিতে হবে। যেখানে ভারতকে দিতে হবে ২৬%, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ২০%, এমনকি প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ চীনকেও দিতে হবে বাংলাদেশের চেয়ে ৩% কম! এত টাকা দিয়ে আমেরিকায় পোশাক বেঁচতে হলে নি:সন্দেহে বাংলাদেশকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। এমনিতেই ঈদের আগে পোশাক শ্রমিকদের অনেকে বেতন-ভাতা পাননি অনেক আন্দোলন করেও!
এই ট্যারিফ যেকোনো মূল্যে প্রত্যাহার করাতে হবে, নাহলে আমাদের গার্মেন্টস শিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অনেক শ্রমিক না খেয়ে মরবে, অনেক ব্যবসায়ী দেউলিয়া হয়ে যাবে। ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেতে থাকবে আরও। এর ধারাবাহিকতায় আরও বড় বড় স্যাংশান এলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এইসব কারণে অচিরেই দেশে মুদ্রাস্ফীতি আরও বাড়বে হুহু করে।
আমরা জানি আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা একজন আন্তর্জাতিক মাঠের খেলোয়াড়। আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে তিনি শান্তিতে একজন নোবেল বিজয়ী। বিশ্বব্যাপী তাঁর চেয়ে বেশি পরিচিত ও প্রভাবশালী বাংলাদেশী এই মুহূর্তে আর আছে কিনা জানা নেই। তাই, এখন সময় এসেছে তাঁর মাঠের ম্যাজিক দেখানোর। এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে না পারলে দেশটা রসাতলে যাবে। নিজেরাই খেতে না পারলে রোহিঙ্গাদের খাওয়াব কি? তখন অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসীদের সাথে তারাও পেটের দায়ে অপকর্মে যোগ দিলে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ও অখণ্ডতা হুমকির মুখে পড়তে পারে।
আশা করি প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস স্যার তাঁর আন্তর্জাতিক পরিচয় ও লবিং কাজে লাগিয়ে আমাদের দেশকে এই আসন্ন দুর্যোগ থেকে উদ্ধার করবেন। কেননা তিনি আমাদের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছেন এবং তিনিই এখন আমাদের সরকারপ্রধান। তাঁর হাতেই আমাদের ভাগ্য নির্ধারিত। স্যারের জন্য আন্তরিক শুভকামনা রইলো।
যদিও তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্যর সমালোচনা করা, বাংলাদেশে 'ইসলামী জঙ্গীবাদের উত্থান' নিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন, এক চীন নীতির প্রতি সমর্থন ইত্যাদি ট্রাম্পের রাগ বাড়িয়েছে বলেই আপাতদৃষ্টে মনে হচ্ছে। উক্ত বিষয়গুলোর ফলে এই ট্যারিফ বৃদ্ধিসহ বাংলাদেশের ইমেজ ডাউন করেছে। ফলে বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগ অনেক কমে যাবে আর রপ্তানিও কমে যাবে। আসলেই ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। বলেছিলাম না স্যাংশান আসবে? আরও দেখতে থাকুন।
https://samakal.com/bangladesh/article/288335
আমরা জানি আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা একজন আন্তর্জাতিক মাঠের খেলোয়াড়। আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে তিনি শান্তিতে একজন নোবেল বিজয়ী। বিশ্বব্যাপী তাঁর চেয়ে বেশি পরিচিত ও প্রভাবশালী বাংলাদেশী এই মুহূর্তে আর আছে কিনা জানা নেই। তাই, এখন সময় এসেছে তাঁর মাঠের ম্যাজিক দেখানোর। এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে না পারলে দেশটা রসাতলে যাবে। নিজেরাই খেতে না পারলে রোহিঙ্গাদের খাওয়াব কি? তখন অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসীদের সাথে তারাও পেটের দায়ে অপকর্মে যোগ দিলে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ও অখণ্ডতা হুমকির মুখে পড়তে পারে। দেব দুলাল গুহ।
আশা করি প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস স্যার তাঁর আন্তর্জাতিক পরিচয় ও লবিং কাজে লাগিয়ে আমাদের দেশকে এই আসন্ন দুর্যোগ থেকে উদ্ধার করবেন। কেননা তিনি আমাদের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছেন এবং তিনিই এখন আমাদের সরকারপ্রধান। তাঁর হাতেই আমাদের ভাগ্য নির্ধারিত। স্যারের জন্য আন্তরিক শুভকামনা রইলো।
https://samakal.com/bangladesh/article/288335
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৬:০৮