আশিক চৌধুরী সেদিন বলেছিলেন, মার্কিন শুল্কারোপ আমাদের জন্য ভালো সংকেত ।
তিনি আরো বলেছিলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের বিষয়টিকে আমি সুযোগ হিসেবেই দেখছি। কারণ যে দৃষ্টিভঙ্গী থেকে যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে— ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেন্টটেটিভের একটা রিপোর্ট আছে বাংলাদেশের বিষয়ে। বাংলাদেশে বিনিয়গের যে অবস্থা সেটির বিষয়ে রিপোর্ট করা হয়েছে। সেই রিপোর্টের ওপর নির্ভর করে যুক্তরাষ্ট্র অনেকগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই রিপোর্টে আমাদের জন্য বেসিক কিছু সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। আমাদের রেগুলেটরি কিছু রিফর্ম, কাস্টম ডিউটির ক্ষেত্রে, দুর্নীতি— এরকম বেশ কয়েকটি বিষয়ে রিফর্মের কথা বলা হয়েছে। এই সংস্কারগুলো কিন্তু আমরাও করতে চাচ্ছিলাম। অন্তর্বর্তী সরকার চাচ্ছিল যে, বাংলাদেশের যে বিনিয়োগ ব্যবস্থা এখানে একটা বড় ধরনের সংস্কার হোক, যাতে বিনিয়োগকারীদের জন্য ভবিষ্যতে বাংলাদেশে ব্যবসা করা সহজ হয়।’
ঝামেলা হলো তার কথাগুলো সেদিন ভাইরাল হয়নি। কারণ সেদিনও থাকে তেমন কেউ চিনতো না। আজ এক প্রেজেন্টেশনে সে জাতীয় নায়ক বনে গেলো।
গত কয়েক মাসে ছেলেটা দিনে ১৮ ঘন্টা পরিশ্রম করেছে। শত শত কোম্পানীর সিইওদের সাথে কথা বলেছে। কেনো জানেন? শুধু জানার জন্য, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে গেলে বড় বড় বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কি কি সমস্যায় পড়তে হয়?
লাক্সারি জীবন কিংবা ক্যারিয়ার ছুঁড়ে ছেড়ে চলে এসেছে। কোন এক সেপ্টেম্বরের দুপুরে একটি ফোনকল। কয়েকটি শব্দ। আশিক দেশের জন্য কিছু করার সুযোগ এসেছে। দেশে আসবে?
বউকে পর্যন্ত জানানোর প্রয়োজন মনে করেনি। এটাকে বলে দেশপ্রেম!