দেখতে দেখতে তিনটা বছর পার করে দিলাম প্রবাসে। কিভাবে যেন দিন গুলো কেটে যায় টেরই পাই সাধারণ ভাবে কিন্তু কিছু স্মৃতির কথা মনে পড়লে ভাবি কত দিন হয়ে গেল পাইনা সে ছোয়া পাই না সেই আদর ভালোবাসা। প্রতিটা ক্ষণ ভুলে থাকতে চাই কিন্তু চাইলেই কি ভুলে থাকা যায়। এখনো যখন কাজের চাপ বেশী থাকে ভোরে বের হয়ে যাই কোন রকম দুএকটা বিস্কিট মুখে দিয়ে। কাজে যাই আর মনে সেই দিন গুলোর কথা, অনেক সময় যদি ভোরে আমি বাইরে যাবার প্লান থাকতো বলে রাখতাম আমি ভোরে বের হয়ে যাবো। তুমি আমাকে খুজো না আবার। কিন্তু আমি উঠে দেখতাম সে ঠিকই রান্না ঘরে ব্যাস্ত খাবার তৈরী করতে। রাগ করতাম তোমাকে বারণ করেছি কিছু না করতে আমি বাইরে থেকে খেয়ে নেব। বাইরের খাবার তুই খেতে পারিস না কিছু মুখে দিয়ে যা ভালো লাগেব আর আমার তো ঘুম আসে নামায পড়ে আমি ঘুমাই না।
কাজ থেকে ফিরে যখন রাতের রান্না করা ঠান্ডা খাবার ওভেনে দিয়ে গরম করে খেতে বসি, চোখ ভিজে যায়। ঠিক একটা বাজে আমি বাসায় আসতাম দুপুরের খাবার খেতে। সব কিছু তৈরী পেতাম টেবিলে। আমি খাবার আগে কেউ খেত না। আমার সাথে খেতে বললেও কেউ বসতো না, আমি নাকি একা একটু বেশী খাই সবার সাথে বসলে কথা বলি কিন্তু খাই খুব কম। আর এখন বাধ্য হয়েই একা খাই একাই কথা বলি।
যখন মন টা খারাপ থাকে চলে যাই নির্জনে নিরবে। কিন্তু আমি তো এমন ছিলাম না। মনটা একটু খারাপ হলেই কোলে ঠাই খুজে নিতাম। বলতে হতো না কেন মনটা খারাপ। মাথায় হাত বুলিয়ে দিত পরম মমতায়
সেই মমতার ছোয়ায় সকল কষ্ট দুর হয়ে যেত।
আজ অনেক খুজি সেই মততার হাত, মততার ছোয়া, একটু ভালোবাসা, কাছে থাকার ইচ্ছা, কোলে মাথা রেখে পরম নিশ্চয়তায় ঘুমিয়ে পড়া। অনেক শুন্যতা অনুভব করি মা তোকে অনেক মিস করি। প্রতিটা ক্ষণ আর প্রতিটা সময় । ভালো থাকিস মা অনেক দুরে থেকেও তুই আমার অনেক কাছে আসিস। আবার তোর বুকে জাপিয়ে পরার ইচ্ছায় দিন গুনি
লেখাটা চতুরের প্রকাশিত