somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সর্বকালের সেরা চ্যাপলিন

১৩ ই নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এই অসাধারণ মূকাভিনেতা ১৮৮৯ সালের ১৬ এপ্রিল যুক্তরাজ্যের ওয়ালওয়ার্থে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। পুরো নাম চার্লস স্পেন্সার চ্যাপর্লিন। চার্লি, চার্লট এবং দ্যা লিটল ট্রাম্প নামেই সবাই ডাকতো তাকে। ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি উচ্চতাবিশিষ্ট ছোটখাটো এই মানুষটির হালকা নীল রঙের চোখজোড়া ছিলো অসম্ভব বুদ্ধিদীপ্ত।

মাত্র ১২ বছর বয়সে চ্যাপলিন তার বাবাকে হারিয়েছিলেন। তার মাও খুব দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফলে ছোটবেলাতেই তাকে জীবিকার তাগিদে অভিনয় শুরু করতে হয়েছিলো। সেসময় তাদের আর্থিক অবস্থা এতোটাই খারাপ ছিলো যে, একবার চ্যাপলিনের মা চ্যাপলিনের অতিরিক্ত পোশাকও বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন।

পরবর্তীতে দারিদ্র্য কাটিয়ে উঠলেও চ্যাপলিন কখনোই বিলাসে মত্ত হননি। তিনি বলতেন, ‘মানুষের জীবনের সবচেয়ে করুণ বিষয় হলো বিলাসের সঙ্গে অভ্যস্ত হওয়া।’ মিলিয়নেয়ার হওয়ার পরও তিনি একটি জীর্ণ হোটেলে একটি ঘর নিয়ে থাকতেন আর তার স্টুডিওর চেকগুলো রাখতেন একটি ট্রাংকে।

চ্যাপলিন বিয়ে করেছিলেন ৪টি। ১৯১৮ সালে তার ২৯ বছর বয়সে তিনি প্রথম বিয়ে করেন ১৭ বছর বয়সী মিল্ড্রেড হ্যারিসকে। ১৯১৯ সালের ৭ মার্চ তাদের একটি পুত্রসন্তান হয়। নাম রাখা হয় নরম্যান স্পেন্সার। ডাকনাম ‘দ্যা লিটল মাউস’। প্রচণ্ড অসুস্থ অবস্থায় জন্ম নেওয়া লিটল মাউস মারা যায় মাত্র তিন দিনের মাথায়। ১৯২১ সালে ডিভোর্স হয়ে যায় চ্যাপলিনের।

এরপর ১৯২৪ সালে তিনি লিটা গ্রেকে বিয়ে করেন। সেসময় তার বয়স ছিলো ৩৫ বছর। আর লিটার মাত্র ১৬। তাদের ২টি সন্তান হয়েছিলো, চার্লস চ্যাপলিন জুনিয়র ও সিডনি চ্যাপলিন। আবারও চ্যাপলিনের ডিভোর্স হয়ে যায় ১৯২৭ সালে। এরপর ১৯৩৬ সালে ৪৭ বছর বয়সে তিনি বিয়ে করেন ২৬ বছর বয়সী পলেত্তে গডার্ডকে। তাদের ডিভোর্স হয় ১৯৪২ সালে।

সবশেষে তিনি বিয়ে করেন উনা চ্যাপলিনকে। ১৯৪৩ সালে বিয়ে করার সময় তার বয়স ছিলো ৫৪ আর উনার মাত্র ১৭। এই বিয়েটাই চ্যাপলিনের জীবনে দীর্ঘস্থায়ী হয়েছিলো। আমৃত্যু উনার সাথে ঘর করেছেন চ্যাপলিন। উনার ঘরে চ্যাপলিনের ৮টি সন্তান হয়- জেরাল্ডিন চ্যাপলিন, মাইকেল চ্যাপলিন, জোসেফাইন চ্যাপলিন, ভিক্টোরিয়া চ্যাপলিন, ইউজিন চ্যাপলিন, জেন চ্যাপলিন, এমিলি চ্যাপলিন ও ক্রিস্টোফার চ্যাপলিন।

১৯৭৭ সালের ক্রিসমাসে এই কিংবদন্তী অভিনেতা মৃত্যুবরণ করেন।

চ্যাপলিন অভিনেতা হবেন এ যেন আগে থেকেই নির্ধারিত ছিলো। তার বাবা-মা দুজনেই ছিলেন অপেরার অভিনেতা। তার বাবা ছিলেন অভিনেতা ও গায়ক। আর তার মা হান্নাহ স্মিথ চ্যাপলিন ছিলেন ইংলিশ জিপসি আর খ্যাতির দিক থেকে তার বাবার চেয়েও বিখ্যাত অভিনেত্রী ও গায়িকা। অপেরাতে তিনি লিলি হার্লে নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন। চ্যাপলিনের যখন ১২ বছর বয়স, তখন তার বাবা অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে মারা যান। ফলে তাদের পরিবারে নেমে আসে আর্থিক কষ্ট। সেসময়টাতেই অভিনয়ে নামেন চ্যাপলিন আর তার ভাই সিডনি। তারা ‘দ্যা এইট ল্যাঙ্কাশায়ার ল্যাডস’ নামের একটি জুভেনাইল দলে যোগ দেন এবং উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া প্রতিভার জোরে খুব দ্রুত জনপ্রিয়ও হয়ে ওঠেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সেই চ্যাপলিন একটি বিখ্যাত মঞ্চনাটকে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে যান। উইলিয়াম জিলেটের ‘শার্লক হোমস’-এর বিলি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি।

১৯১০ সালে কমেডিয়ান হিসেবে চ্যাপলিনের ক্যারিয়ারের শুরু। তিনি ‘ভডেভাইল’ নামের একটি দলে যোগ দেন। এখানে কাজ করতে করতেই তিনি চলে আসেন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফ্রেড কার্নো রিপোর্টেয়ার কোম্পানি'তে ফিচার শিল্পী হিসেবে কাজ করতে। ‘এ নাইট ইন অ্যান ইংলিশ মিউজিক হল’ নাটকে অভিনয় করে তিনি আমেরিকায় সাড়া ফেলে দেন। ১৯১২ সালে তাকে মোশন পিকচার্স থেকে চুক্তির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। অবশেষে ভডেভাইল দলের সঙ্গে তার চুক্তি ১৯১৩ সালের নভেম্বরে শেষ হলে তিনি কিস্টোন কোম্পানির সাথে সিনেমায় কাজ করার জন্য চুক্তি করেন। তখন তার সাপ্তাহিক বেতন ছিল মাত্র ১৫০ ডলার।

ইতোমধ্যেই অবশ্য চ্যাপলিন আলোচিত ও জনপ্রিয় হতে শুরু করেছিলেন। ফলে প্রযোজক কোম্পানিগুলোর কাছে তার চাহিদাও বাড়ছিলো। ১৯১৫ সালে তিনি ইসিনয় কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেন। এবার তার সাপ্তাহিক বেতন বহুগুণে বেড়ে যায়। আর কিস্টোনে তার জায়গায় কাজ করা শুরু করেন তার ভাই সিডনি চ্যাপলিন। চ্যাপলিনের জনপ্রিয়তা দিনদিন বাড়তেই থাকে। এবারে চ্যাপলিন যোগ দেন মিউচুয়াল ফিল্ম কর্পোরেশনে। এখান থেকে তার ১২টি কমেডি ছবি বের হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- দ্যা ফ্লোরওয়াকার, দ্যা ফায়ারম্যান, দ্যা ভ্যাগাবন্ড ইত্যাদি।

১৯১৭ সালে মিউচুয়াল কর্পোরেশনের সাথে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে চ্যাপলিন স্বাধীনভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন। এবং এজন্যে তিনি হলিউডের লা ব্রিউ স্ট্রিটে নিজস্ব স্টুডিও তৈরির কাজও শুরু করেন।

১৯১৮ সালে তিনি ন্যাশনাল এক্সিবিউট সার্কিট নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একটি চুক্তি করেন। এখান থেকে তিনি তৈরি করেন ‘এ ডগ’স লাইফ’ ছবিটি। এরপর চ্যাপলিন তৈরি করেন যুদ্ধ নিয়ে কমেডি ছবি ‘সোলজার আর্মস’। এই ছবিটি তার জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে। ১৯১৯ সালে তিনি বের করেন ‘সানিসাইড’ ও ‘এ ডে’স প্লেজার’ নামে দুটি ছবি। ঐ বছরের এপ্রিলেই মেরি পিকফোর্ড, ডগলাস ফেয়ারব্যাংকস এবং ডি ডব্লিউ গ্রিফিথের সঙ্গে যোগ দেন ইউনাইটেড আর্টিস্ট কোম্পানিতে। এখান থেকে ১৯২১ সালে তিনি বের করেন তার মাস্টারপিস ‘দ্যা কিড’। পরের বছর বের করেন ‘দ্যা আইডল ক্লাস’। ছবিটিতে তিনি দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।

একটা সময়ে এসে চ্যাপলিন অনুভব করেন তার ক্লান্তিকে আর যেন দৌড়াতে পারছেন না তিনি, বিশ্রামের প্রয়োজন তার; ১৯২১ সালের সেপ্টেম্বরে চ্যাপলিন তাই যেন বেরিয়ে পড়েন ইউরোপ ভ্রমণে। লন্ডন, প্যারিস, বার্লিনসহ আরো অনেক শহর ঘুরে বেড়ান তিনি। প্রত্যেক শহরেই তিনি পান উষ্ণ অভ্যর্থনা।

ছুটি কাটিয়ে এসে চ্যাপলিন আবারো শুরু করেন তার কাজ। ইউনাইটেড আর্টিস্ট কোম্পানি থেকে বের করতে থাকেন একের পর এক অসাধারণ সব ছবি, একেকটা মাস্টারপিস। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ছবি হলো- ‘আ ওমেন অফ প্যারিস’(১৯২৩), ‘দ্যা গোল্ড রাশ’(১৯২৫), ‘দ্যা সার্কাস’(১৯২৮), ‘সিটি লাইটস’(১৯৩১), ‘মডার্ন টাইমস’(১৯৩৬),‘দ্যা গ্রেট ডিক্টেটর’(১৯৪০), ‘মসিঁয়ে ভার্ডক্স’(১৯৪৭), ‘লাইমলাইট’(১৯৫২) এবং ‘আ কিং ইন নিউ ইয়র্ক’।

চ্যাপলিন তার জীবনের শেষ ছবিটি তৈরি করেছিলেন ১৯৬৭ সালে। এর নাম হলো ‘আ কাউন্টেস ফ্রম হংকং’। ছবিটি বেশ সমালোচিত হয়েছিলো। তখন এই সমালোচনার জবাব দিয়ে চ্যাপলিন বলেছিলেন, ‘তারা (সমালোচকরা) যদি এটা পছন্দ না করে তাহলে তারা একেকটি মূর্খ। একজন ডিপ্লোম্যাট একজন পতিতার প্রেমে পড়েছে, এরচে মজার গল্প আর কি হতে পারে!’

টুথব্রাশমার্কা গোঁফ, মাথায় অদ্ভুত হ্যাট, গায়ে বেখাপ্পা কোট, বেঢপ রকমের বড় দড়ি দিয়ে বাঁধা প্যান্ট আর বিশাল আকৃতির একজোড়া ময়লা জুতো- এই ছিলো ক্যামেরার সামনে চ্যাপলিনের ট্রেডমার্ক পোশাক।

কাজের ব্যাপারে চ্যাপলিন ছিলেন অসম্ভব খুঁতখুঁতে। কোন কাজ পছন্দমতো না হলে তার চলতো না। ১৯৩৩ সালে তিনি তৈরি করেন ‘সি গাল’ নামের একটি ছবি। কিন্তু ছবিটি তিনি মুক্তি দেননি। তার আগেই এর নেগেটিভ তিনি নষ্ট করে দেন। ছবির প্রধান নায়িকা এডনা পার্ভিয়ান্সের বাজে অভিনয়কেই এর পেছনের কারণ হিসেবে জানানো হয়।


জীবনের শেষ ছবি পর্যন্ত চ্যাপলিন কখনো স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করেননি। তিনি কাহিনী সাজিয়ে তার মাথায় রাখতেন এবং সে অনুযায়ী শুট করতে থাকতেন। কোন শট তার মনমতো না হওয়া পর্যন্ত তিনি তা বারবার নিতে থাকতেন। অন্যদের তুলনায় তিনি তার ছবির পেছনে অনেক বেশি সময়, শ্রম ও অর্থ ব্যয় করতেন। কোন ছবি নিয়ে সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট না হওয়া পর্যন্ত তিনি তা মুক্তিও দিতেন না।

চার্লি চ্যাপলিনের জীবনে অর্জন নেহাত কম নয়। ক্যারিয়ারের শুরুতেই তার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতে তার নামে বের করা হয় কমিকস। ১৯১৬ সালে ‘পা’স ইম্পোর্টেড সান-ইন-ল’ নামে কমিক স্ট্রিপটি বের করেন অ্যাড ক্যারি। ১৯৪০ সালে ‘দ্যা গ্রেট ডিক্টেটর’ ছবিতে অভিনয়ের জন্যে তিনি অস্কার মনোনয়ন লাভ করেন। এটিই ছিলো প্রথম কোন অভিনেতার একাধিক চরিত্রে অভিনয় করে অস্কারে মনোনয়ন পাওয়া। অবশ্য তিনি অস্কারকে প্রথম জীবনে তেমন গুরুত্ব দিতেন না। অবশ্য তার জীবনের সবচেয়ে প্রশংসিত দুটি কাজ ‘সিটি লাইটস’ আর ‘মডার্ন টাইমস’এর অস্কার মনোনয়ন না পাওয়া এর কারণ হতে পারে। তার ছেলে চার্লস জুনিয়রের কথা অনুযায়ী তিনি ১৯২৯ সালে পাওয়া অনারারি অস্কারটিকে ব্যবহার করতেন তার বাসার দরজা বন্ধ রাখার কাজে। অবশ্য তাকে ১৯৭২ সালে দ্বিতীয়বারের মতো অনারারি অস্কার দেওয়া হলে তিনি তা সানন্দেই গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৯৭ সালে এম্পায়ার ম্যাগাজিনের সর্বকালের সেরা ১০০ চলচ্চিত্র তারকার তালিকায় তিনি জায়গা করে নেন। আর এন্টারটেইনমেন্ট উইকলির তালিকায় তিনি হন ৯ম। ২০০৬ সালে প্রিমিয়ার ম্যাগাজিন সর্বকালের সেরা ১০০ পারফরর্মেন্স বাছাই করে। সেখানে সিটি লাইটের জন্য চ্যাপলিন দখল করেছিলেন ৪৪তম স্থান।


তার জীবনের একটি বিশাল ট্র্যাজেডি হলো তার একটি স্বীকৃতি! সেটি হচ্ছে চ্যাপলিনের অস্কার জয়। তিনি অনারারি অ্যাওয়ার্ড ছাড়াও কম্পোজার হিসেবেও অস্কার জিতেছেন। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে এতোবড় একজন অভিনেতা হওয়া সত্ত্বেও অভিনেতা হিসেবে কখনোই তিনি অস্কার জিততে পারেননি।

চ্যাপলিন সম্পর্কে অসংখ্য মজার কাহিনীও প্রচলিত আছে। একবার নাকি কোথায় চার্লি চ্যাপলিন সাজার একটি প্রতিযোগিতা হয়েছিলো। কে কত নিখুঁতভাবে চ্যাপলিন সাজতে পারে এটা ছিলো তারই একটি প্রতিযোগিতা। তাতে চ্যাপলিন নিজেও নাকি যোগ দিয়েছিলেন এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন!

যতদূর জানা যায়, এডলফ হিটলার কখনোই চ্যাপলিনের ভক্ত ছিলেন না। উল্টো কে যেনো হিটলারকে বুঝিয়েছিলেন যে, চ্যাপলিন হচ্ছেন ইহুদি, যদিও চ্যাপলিন ইহুদি ছিলেন না। অবশ্য হিটলার চ্যাপলিনের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে জানতেন। শোনা যায়, চ্যাপলিনের জনপ্রিয়তা কাজে লাগানোর জন্যই নাকি হিটলার চ্যাপলিনের মতো গোঁফ রাখা শুরু করেছিলেন! পরে অবশ্য তা হিটলারের নামেই পরিচিত হয়ে যায়। চ্যাপলিন কিন্তু হিটলারকে ব্যঙ্গ করেই তৈরি করেছিলেন ‘দ্যা গ্রেট ডিক্টেটর’ ছবিটি। ছবিটির অ্যাডনয়েড হিঙ্কল চরিত্রটি ছিলো অ্যাডলফ হিটলারেরই চ্যাপলিন ভার্সন। উল্লেখ্য, ছবিটি ১৯৪০ সালে জার্মানিতে নিষিদ্ধ করা হয়। মজার ব্যাপার হলো, চ্যাপলিন জন্মগ্রহণ করেছিলেন হিটলারের জন্মের মাত্র চার দিন আগে।

১৯৭৭ সালে সবাইকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে এই কিংবদন্তীর অভিনেতা, নির্মাতা চলে যান ওপারে। কিন্তু এমন বর্ণিল যার চরিত্র, মৃত্যুতে তার জীবন তো আর থেমে যেতে পারে না। মৃত্যুর মাত্র চার মাসের মাথায় তার মৃতদেহ চুরি হয়ে গিয়েছিলো। পরে অবশ্য পুলিশ তা খুঁজে বের করে।

জীবদ্দশায় চ্যাপলিন কিছু অসাধারণ উক্তি করেছিলেন। তিনি তার শৈশব সম্পর্কে বলতেন, ‘আমার শৈশব ছিলো অত্যন্ত কষ্টের। কিন্তু এখন তা আমার কাছে নস্টালজিয়া, অনেকটা স্বপ্নের মতো।’ মানুষের জীবন সম্পর্কে তিনি বলতেন, ‘মানুষের জীবন ক্লোজ শটে দেখলে ট্র্যাজেডি, কিন্তু লং শটে সেটাই কমেডি।’ নির্বাক চলচ্চিত্রের এই কিংবদন্তী সবাক চলচ্চিত্র সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘শব্দ খুবই দুর্বল। ওটাকে ‘হাতি’র চেয়ে বড় কিছুই বলা যায় না।’ আর এই কমেডিয়ানের শ্রেষ্ঠ উক্তি সম্ভবত এটাই: ‘না হেসে একটা দিন পার করা মানে একটা দিন নষ্ট করা।’

[সংগ্রীহিত]
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:০৩
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজকের ডায়েরী- ১৪৯

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:২৯



আজ ২৫ রোজা।
এই তো সেদিন রোজা শুরু হলো। দেখতে দেখতে ২৪ টা রোজা শেষ হয়ে গেলো। সময় কত দ্রুত চলে যায়! আগামী বছর কি রমজান... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবগুণ্ঠন (পর্ব ২)

লিখেছেন পদাতিক চৌধুরি, ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:৩৯



অবগুণ্ঠন (পর্ব ২)

ওসির নির্দেশ মতো ডিউটি অফিসার রাঘবেন্দ্র যাদব লাশ পরিদর্শনের সব ব্যবস্থা করে দিলেন। গাড়ির ড্রাইভার সহ তিনজন কনস্টেবল যথাস্থানে তৈরি ছিলেন। বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি ওনাদের।খানিক বাদেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগে বিচার , সংস্কার তারপরেই নির্বাচন

লিখেছেন মেঠোপথ২৩, ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:২২



জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন এক ঝাক তরুনদের রক্তের উপড় দাঁড়িয়ে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এ জ্বালাময়ী কর্মসুচী দিচ্ছিল , তখন বিএনপির... ...বাকিটুকু পড়ুন

It is difficult to hide ল্যাঞ্জা

লিখেছেন অধীতি, ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:৪১

এক গর্দভ ইউটিউবার ৭১কে ২৪এর থেকে বড় বলতে গিয়ে আমাদের শিখায় যে ৭১ বড় কারণ সেটা ভারত পাকিস্তানের মধ্যে হয়ে ছিল। আর আপামর জনসাধারণ সেটায় অংশগ্রহণ করেনি। এই হলো যুক্তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

তথ্য এবং গুজব....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:১৫

তথ্য এবং গুজব....

তথ্য নাগরিকের অন্যতম মৌলিক স্বীকৃত অধিকার। মানবাধিকারও বটে। যোগাযোগের অন্যতম প্রধান উপকরণ তথ্য মানুষের নিত্য সঙ্গি।

তথ্যের (Misinformation) ভুল, ত্রুটিপূর্ণ, বিভ্রান্তিকর বা মিথ্যা তথ্য সমাজে ছড়িয়ে পড়ে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×