‘বন্ড’ সিরিজ হলো এমন এক সিরিজ, যেটার ভার বয়ে বেড়াতে হয় এর নায়কদের সারাজীবন। সেটা যেমন শন কনারির ক্ষেত্রে সত্য, ঠিক তেমনভাবে সত্য ক্রেইগের ক্ষেত্রেও। অন্য আর যতো কাজই করুন না কেন যতদিন তারা বেঁচে থাকেন ততদিন তাদের প্রথম পরিচয় তারা জেমস বন্ডের নায়ক।
নিজের সৃষ্ট কল্পনার চরিত্রকে কম ভালোবাসেননি জাতে ইংরেজ ইয়ান ফ্লেমিং। একসময় বৃটেনের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থায় চাকুরী করেছেন। মাথার ভেতর লেখার পোকা ছিল। সেজন্য একটি চরিত্র ফেঁদে ফেলেছেন। যেহেতু গোয়েন্দার চরিত্র ভালো বুঝতেন, তাই গোয়েন্দা কাহিনী লেখারই মনস্থির করেছেন তিনি। আর সঙ্গে উপরি হিসেবে জুটেছিল ‘জেমস বন্ড’ নামের এক প্রাণীবিজ্ঞানীর সঙ্গে পরিচয়। ভদ্রলোক পাখি দেখে বেড়াতেন। ক্যারিবিয় অঞ্চলের পাখিতে বিশেষজ্ঞ ছিলেন। তার ছিল একাগ্রতা আর প্রখরতা। এই মানুষটি ফ্লেমিংয়ের বড় উপকার করেছেন। কারণ তার এই দুটি গুণ যে সৃষ্ট সৃষ্টির আবশ্যকীয় গুনাবলীর অংশ হিসেবেই রেখেছেন তিনি। নিজের আর অন্য গোয়েন্দাদের কাছ থেকে অভিজ্ঞতা ধার করে তিনি লিখেছেন এমন এক স্পাই থ্রিলার যার নায়ক দেশের প্রতি দারুণভাবে নিবেদিত। ঠিক আমাদের মাসুদ রানার মতোই।
এই গোয়েন্দাকে নিয়ে ফ্লেমিং ফেঁদেছেন ১২টি উপন্যাস আর দুটি ছোটগল্পের সংকলন। এর শুরুটা হয়েছিলো ‘ক্যাসিনো রয়াল’ দিয়ে ১৯৫৩ সালে। আর শেষ লিখেছেন ফ্লেমিং ‘অক্টোপুসি এন্ড লিভিং ডেলাইটস’ নামের এক ছোটগল্পের সংকলন, ১৯৬৬ সালে। তিনি কেমন নিবেদিত ছিলেন এই রচনাবলীর প্রতি সেটা দুটো প্রমাণ হাজির করা মাত্রই ভালোভাবে বোঝা যাবে।
গোয়েন্দা বিভাগ থেকে অবসর নেওয়ার পর ফ্লেমিং চাকুরী করতেন সংবাদপত্র অফিসে। সেখানে কাজ নেবার আগে তার মাত্র একটিই আবেদন ছিল, বছরে দুমাসের একটা ছুটি দিতে হবে। তার প্রতি সদয় হয়ে অফিস সেই ছুটি মঞ্জুর করেছিল। ছুটি পেয়ে বৌ-বাচ্চা নিয়ে আনন্দ করে বেড়াননি তিনি। টানা লিখেছেন উপন্যাস। আর ফ্লেমিং যে বাড়িতে থাকতেন তার নাম ছিল ‘গোল্ডেনআই’!
ফ্লেমিংয়ের এই স্পাই এজেন্ট একেবারেই আধুনিক। সংস্কারের কোনো বালাই-ই নেই তার মাঝে। সে ভালোবাসে মদ, উপভোগ করে নারীসঙ্গ আর চ্যালেঞ্জের প্রতি দারুণ আগ্রহ তার। ইটন স্কুল শেষে ইউনিভার্সিটি অফ জেনেভায় পড়েছে সে। পড়ালেখা শেষে যোগ দিয়েছে বৃটিশ রয়াল নেভিতে। ‘এমসিক্সটিন’ নামের গোয়েন্দা সংস্থায় যখন সে যোগদানের সুযোগ পায়, তখন তার বয়স মাত্র ৩০ বছর! আর ৩৮ বছর বয়সে এসে সে লাভ করে ‘০০৭’ পদমর্যাদা। তাকে প্রদান করা হয় জাতীয় নিরাপত্তার খাতিরে, দেশের প্রয়োজনে শত্রুকে হত্যার অনুমতি। তার আছে প্রাচ্যদেশীয় ভাষায় ডিগ্রি। সে অনর্গল বলতে ও লিখতে পারে ইংরেজি, ফ্রেঞ্জ, জার্মান, ইটালিয়ান এবং রাশান ভাষা। আর সে জানে গ্রীক, স্প্যানিশ, চাইনিজ, জাপানিজ ভাষা। পর্দার আর কোনো অ্যাকশন হিরোই এতোটা শিক্ষিত নয়!
পর্দার প্রসঙ্গ যেহেতু এলোই, সেজন্য সে কাহিনীতে যাওয়াটাই উত্তম। ছবি হিসেবে প্রথম যে কাহিনীকে বেছে নেয়া হয়েছিল সেটা ‘ড. নো’র। জ্যামাইকায় এক বৃটিশ কমান্ডার খুন হয়েছেন নিজের সেক্রেটারীসহ। বস ‘এম’র নির্দেশে সেই রহস্যময় খুনের তদন্ত আর অপরাধীকে শাস্তি দিতে নেমে যায় বন্ড। আসলে সে নেমে যায় এখনো পর্যন্ত, মানে ৫৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে, সারাবিশ্বের সব প্রেক্ষাগৃহে তার তুমুল অভিযান চালাতে।
ড. নো’তে জেমস বন্ডের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন এক স্কটিশ তরুণ। নাম তার শন কনারি। যদিও তাকে তেমন পছন্দ হয়নি ফ্লেমিংয়ের প্রথম দেখায়। পরে অবশ্য তিনি ভালোবেসেছেন তাকে। না বেসে অবশ্য উপায়ও নেই। কারণ আজ পর্যন্ত জেমস বন্ড সিরিজের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য অভিনেতার নাম শন কনারি। এখনো বিভিন্ন জরিপে সেরা বন্ড হিসেবে উঠে আসে তার নাম। ’৬২ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবিতে অভিনয়ের সময় ৬ ফুট ২ ইঞ্চি লম্বা স্কটিশ এই ভদ্রলোকের বয়স মাত্র ৩২ বছর। ৯ বছরের বন্ড ক্যারিয়ারে তিনি ‘ড. নো’ ছাড়াও একে একে অভিনয় করেছেন ফ্রম রাশিয়া উইথ লাভ (’৬৩), গোল্ডফিংগার (’৬৪), থান্ডারবল (’৬৫), ইউ অনলি লাভ টুয়াইস (৬৭), ডায়মন্ড’স আর ফর এভার (’৭১) নেভার সে নেভার এগেইন (’৮৩) ছবিতে।লম্বা, পেশীবহুল (সাবেক মিস্টার ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার একজন প্রতিযোগী), অসম্ভব আকর্ষণীয়, ঠান্ডা মেজাজের, চলাফেরায় চিতার ক্ষিপ্রতা এবং দারুণ কন্ঠস্বরের অধিকারী এই ভদ্রলোকের বন্ড হিসেবে অভিনয় এতোই মানানসই ছিল যে, অ্যাকাডেমী অ্যাওয়ার্ড এবং গোল্ডেন গ্লোব বিজয়ী এই অভিনেতা আজও পর্যন্ত এই আটাত্তর বছর বয়সে এসেও বন্ড চরিত্রকে ছাপিয়ে যেতে পারেননি। তিনি এমন এক কাহিনীকে বাস্তবে রূপদানের গুরুদায়িত্ব মাথায় তুলে নিয়েছিলেন যে কি-না কাগজের পাশাপাশি পর্দায়ও দারুণ জনপ্রিয় হবে। বলাবাহুল্য, নিজের কাজটি দারুণ যোগ্যতার সঙ্গেই করেছেন তিনি। কনারি জেমস বন্ডকে তৈরি করেছেন রসবোধে পূর্ণ এমন এক মানুষে যে কি-না রোমান্টিকও বটে।
মাঝে একবার সিডিউলের কারণে অভিনয় করতে পারেননি কনারি। তখন উপায়ন্তর না দেখে এক অষ্ট্রেলিয় মডেল জর্জ লেজেনবির সঙ্গে অভিনয়ের চুক্তি করেন প্রযোজক প্রতিষ্ঠান। নিউ সাউথ ওয়েলসে ১৯৩৯ সালে জন্ম নেয়া ৬ ফুট আড়াই ইঞ্চি উচ্চতার এই মানুষটি যখন বন্ড ছবিতে অভিনয় করেন তখন তার বয়স মাত্র ৩০ বছর। তিনি কেবল একটি মাত্র ছবিতে অভিনয় করেছেন। নাম ‘অন হার ম্যাজিস্টি’স সিক্রেট সার্ভিস’ (’৬৯)। তার পক্ষে বলার মতো ব্যাপার হলো- তার ছিল খেলোয়াড়ি গড়ন। তাকানোর ধরণও তার ভালোই ছিল। আর বাকী সব দিকই ছিল তার দুর্বল। অভিনয়ের অনভিজ্ঞতা, অতি অল্প বয়স, অবিশ্বাস্য রকমের নিরানন্দদানকারী, ভয়ানক কন্ঠস্বর নিয়ে তিনি মোটেও সুবিধা করতে পারেন নি। ফলে তাকে আর দেখা যায় নি প্রবল মানসিক চাপ সহ্য করার এই সিরিজ ছবিতে। ভদ্রলোক পরে সেই মডেলিং ক্যারিয়ারেই ফেরত যান। আর বন্ড ছবিতে ফিরে আসেন পুরোনো বাজির ঘোড়া শন কনারি। তিনি এসে তার শেষ দুটি বন্ড ছবি ডায়মন্ড’স আর ফর এভার (’৭১) নেভার সে নেভার এগেইন (’৮৩) -এ কাজ করেন।
কনারির পর রজার মুর নামের লন্ডনের স্টকওয়েলে ১৯২৭ সালে জন্ম নেয়া এক ইংরেজ অভিনয়ের চুক্তিবদ্ধ হন বন্ড সিরিজে। ৬ ফুট ১ ইঞ্চি লম্বা এই অভিনেতা সবচেয়ে বয়সী বন্ড। প্রথম ছবিতে অভিনয়ের সময় তার বয়স ছিল ৪৬ বছর। আর তিনি হলেন সবচেয়ে বেশি বন্ড ছবির নায়ক। একে একে সাত সাতটি ছবি করেছেন মুর। তার অভিনীত ছবিগুলো হলো- লিভ অ্যান্ড লেট ডাই (’৭৩), দ্য ম্যান উইথ দ্য গোল্ডেন গান (’৭৪), দ্য স্পাই হু লাভড মি (’৭৭), মুনরেকার (’৭৯), ফর ইওর আইজ ওনলি (’৮১), অক্টোপুসি (’৮৩) এবং অ্যা ভিউ টু এ কিল (’৮৫)।
দেখতে খুবই সুদর্শন, আচরণেও বিনয়ী, চরমভাবে আত্মবিশ্বাসী এই অভিনেতার ছিল কার্যসম্পাদনে অসম্ভব কুশলতা। আর উপরি হিসেবে ছিল মাথার চুল। কে না জানে, বন্ড মেয়েদের কাছে কল্পনার নায়ক প্রেমিক পুরুষ বললে এখনো ভেসে ওঠে মুরের নাম। একারণে তার মাথার চুল অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ। আর বাউন্ডুলেপনা যেন তার রক্তেই ছিল। ফলে মানিয়ে যেতে মোটেও কষ্ট হয়নি একযুগের বন্ড ক্যারিয়ারে। পরে টেলিভিশনের জন্য গোয়েন্দা সিরিজ দি সেইন্ট - এ অভিনয়ও বন্ড জনপ্রিয়তায় কাজে লেগেছিল নিশ্চিত।
বন্ড সিরিজের চার নম্বর নায়কের নাম টিমোথি ডাল্টন। ১৯৪৪ সালে বৃটেনের ওয়েলসে জন্ম নেয়া এই অভিনেতা যখন বন্ড ছবিতে নায়কের ভূমিকায় পর্দাজুড়ে উপস্থিত হন, তখন তার বয়স ৪৩ বছর। ৬ ফুট ২ ইঞ্চি লম্বা ডাল্টন অভিনয় করেন দ্য লিভিং ডেলাইট’স (’৮৭) এবং লাইসেন্স টু কিল (’৮৯) ছবিতে। অভিনয়ে কম মনোযোগী এই অভিনেতা এই সিরিজে নায়ক হিসেবে তেমন সুবিধা করতে পারেন নি। ফলে দুটোর বেশি ছবি তার কপালে জোটে নি।
তবে আধুনিক বন্ড মানেই যে পিয়ার্স ব্রসনান, এ ব্যাপারে সবাই একমত। আয়ারল্যান্ডে ১৯৫৩ সালে জন্ম নেয়া ব্রসনান যখন বন্ড হিসেবে পর্দায় দাঁড়ান, তখন তার বয়স ৪২ বছর। ৬ ফুট ১ ইঞ্চি উচ্চতার ব্রসনান অভিনয় করেছেন গোল্ডেনআই (’৯৫), টুমরো নেভার ডাইস (’৯৭),দ্য ওয়ার্ল্ড ইজ নট এনাফ (’৯৯) এবং ডাই এনাদার ডে (’০২)-এই চারটি ছবিতে।দারুণ সুদর্শন, মনোমুগ্ধকর পর্দা উপস্থিতি, কোমল কন্ঠস্বর, আইরিশ গাত্রবর্ণ (মাথাভর্তি চমৎকার চকচকে কালো চুল) নিয়ে ব্রসনান ভালোই অভিনয় করেছেন বন্ড হিসেবে। তবে তার বিপক্ষে এখনকার বন্ড ড্যানিয়েল ক্রেইগ বলেছেন যে, তিনি যেন একটু বেশিই সুন্দর। আর যথেষ্ট সবল নন। হয়তোবা। কিন্তু তাতেও কিছু আসে যায় না। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে জেমস ভক্তদের কাছে তাতে ব্রসনানের আবেদন কমেনি একরত্তি।
বন্ড ছবির সবচেয়ে খাটো নায়ক ড্যানিয়েল ক্রেইগের জন্ম ১৯৬৮ সালের ২ মার্চ, ইংল্যান্ডের চেষ্টারে। ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি লম্বা ক্রেইগের মা একজন আর্ট শিক্ষক অলিভিয়া উইলিয়ামস। বাবা টিমোথি জন ক্রেইগ। তিনি পেশায় নিম্নপদস্থ সরকারি কর্মচারী ছিলেন। ক্রেইগ ‘গিল্ডহল স্কুল অব মিউজিক এন্ড ড্রামা’ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন ’৯১ সালে।’৯২ সালে তার অভিনয় কেরিয়ার শুরু করেন। ‘দ্য পাওয়ার অফ ওয়ান’, ‘এ কিড ইন কিং আর্থারস কোর্ট’ তার প্রথম দিককার ছবি। এছাড়াও তিনি ‘দ্য ইয়ং ইন্ডিয়ানা জোনস ক্রনিকল : ডেয়ারডেভিলস অফ দ্য ডেজার্ট’ সহ একাধিক টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় করেন। নিজের অভিনয় জীবনের শুরুতে তাকে বিবেচনা করা হতো বৃটেনের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় টিনএজ অভিনেতাদের একজন হিসেবে।ক্রেইগকে পাদপ্রদীপের আলোয় নিয়ে আসে ‘লারা ক্রফট : টুম রেইডার’ ছবিটি। এখানে তিনি হলিউড সুপারস্টার অ্যাঞ্জেলিনা জোলির বিপরীতে অসাধারণ অভিনয় করেন। ইওএন প্রোডাকশন ফিল্ম সিরিজের ব্যানারে দীর্ঘদিন ধরে বের হওয়া গোয়েন্দা জেমস বন্ডক নিয়ে করা চলচ্চিত্রের ষষ্ঠ অভিনেতা তিনি।ক্রেইগ জেমস বন্ড চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন ‘ক্যাসিনো রয়াল’র মাধ্যমে, ২০০৬ সালে। ছবিটি পরে বাফটা অ্যাওয়ার্ড-এর জন্যে মনোনীত হয়। পুরো বিশ্বে ছবিটি ৫৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যাবসা করে, যা অন্যসব জেমস বন্ড ছবির মধ্যে সর্বোচ্চ।ফ্যাশন পত্রিকা ভোগের মতে, ক্রেইগ হচ্ছেন এই মুহূর্তে ব্রিটেনের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেতা। তিনি এরপরের বন্ড ছবিতেও অভিনয় করবেন।বন্ড সিরিজে ক্রেইগে প্রধান শক্তি পর্দায় রাফ এন্ড টাফ উপসি'তি। বন্ড ছবির প্রথম নায়ক শন কনারির যেটি ছিল প্রবলভাবে। বন্ড ছবির সবচেয়ে বেশি দিনের নায়ক রজার মুরকে একারণে দোষ দেয়া হয় যে, তিনি বন্ড সিরিজকে অনেক নমনীয় ও টেলিভিশনের দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছেন। আর ব্রসনানের পর্দায় উপস্থিতি যতোটা না বন্ড হিসেবে, তারচেয়ে বেশি প্রেমিক পুরুষ হিসেবে। ফলে আপাতত ক্রেইগকেই ভাবা হচ্ছে সবচেয়ে লাগসই বন্ড হিসেবে। যদিও কেউ কেউ মনে করেন তার চরিত্রে আরেকটু কোমল ভাব থাকাটা জরুরী ছিল।তবে ক্রেইগ নিজে তার এসব ইমেইজ নিয়ে একেবারেই ভাবেন না, জানিয়েছেন সে কথা। এমনকি বন্ড ছবির তারকা খ্যাতির কারণে তার অভিনেতা ইমেইজ যে ভেঙে পড়ার জোগার তা নিয়েও তিনি ইষৎ চিন্তিত।
কিন্তু অভিনয় জীবনের নানা ক্ষেত্রে সাফল্য দেখালেও ‘বন্ড’ সিরিজ হলো এমন এক সিরিজ, যেটার ভার বয়ে বেড়াতে হয় এই ছবির নায়কদের। সেটা যেমন শন কোনারির ক্ষেত্রে সঠিক, ঠিক তেমনভাবে সঠিক ক্রেগের ক্ষেত্রেও। যতদিন তারা বেঁচে থাকেন, তাদের যতো তথ্য নানা জায়গায় প্রকাশিত হয় সবেতেই সবার আগে জেমস বন্ড। এর কারণ ‘বন্ড...জেমস বন্ড’ কথাটার এমনই এক শক্তি যা কি-না বিশ্বের সব পেক্ষাগৃহ, সব শ্রেণীর মানুষের মাঝে তুমুল কৌতুহল জাগিয়ে রাখে। ফলে এই সিরিজ ছবিটিই হয়েছে ইতিহাসের সেরা দ্বিতীয় ব্যবসা সফল ছবি (সবচেয়ে সফল সিরিজ ছবির নাম হ্যারি পটার!)। আর এর নায়করা হন পূজনীয়, বরণীয়।
[তথ্য সূত্র: অন্তর্জাল]