কথা ছিল বই মেলায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিকাল ৪টায় আমি আর একরামুল হক শামীম ফার্মগেটে মিলিত হব। সেই অনুযায়ী আমি ঠিক সময়ে পৌঁছে যাই, কিন্তু শামীমের কোন পাত্তা নাই । পাক্কা ৩০ মিনিট আমাকে অপেক্ষা করিয়ে তারপর মহাশয়ের আগমন ঘটল, এই দেরীর কারণে শামীমরে বিশাল মাইনাচ ।

যাই হোক, ৫টার দিকে বইমেলার কাছাকাছি এসে বিশাল লাইনে দাঁড়ালাম। লাইনে অপেক্ষমান বেশীরভাগ মানুষই সুশৃঙ্খলভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তবে কিছু কিছু মানুষকে দেখলাম লাইনের বাইরে থেকে এসে লাইনের মাঝখানে ঢুকে গেল ।

যাই হোক, বিশাল লাইনে অপেক্ষার ধকল সামলে অবশেষে একসময় মেলার ভেতরে ঢুকলাম । ঢুকেই প্রথমে যে ব্যাপারটি আমার মনে হলো, তা হচ্ছে গতবারের চেয়ে এবারের বইমেলা কেমন যেন নিষ্প্রভ মনে হল আমার কাছে, প্রাণহীন অনেকটা। তবে হয়তো এখনও মাত্র কিছুদিন যাওয়ার কারণেই এমন হয়েছে, আরো কিছুদিন পর নিশ্চয়ই মেলা খুবই জমজমাট হয়ে উঠবে, এই আশা করাই যায়।

এবারের বইমেলাকে উদ্দেশ্য করে অনেকগুলো বই কেনার টার্গেট নিয়েছি, আজ কিনলাম দুইটি বই। দুটিই মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক, একটি বইয়ের নাম একাত্তরের দিনগুলি, লিখেছেন জাহানারা ইমাম:


আরেকটি বই মূলধারা '৭১, লেখক মঈদুল হাসান।
আজ পকেটের অবস্থা তেমন একটা স্বাস্থ্যবান ছিলনা, তাই টার্গেট করা বাকী বইগুলো কিনতে পারিনি। পরেরবার গেলে ইনশাল্লাহ্‌ আরো কিনব ।

পুরো বইমেলা প্রাঙ্গনের স্টলগুলো ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম। ঘুরতে ঘুরতেই ডঃ জাফর ইকবাল এবং আনিসুল হককে দেখলাম ক্রেতাদের বই-এ অটোগ্রাফ দিচ্ছেন। আমি আজ তাঁদের কোনো বই কিনিনি, তা নাহলে আমিও আজ তাদের অটোগ্রাফ নিতে পারতাম ।

ফেরার পথে ব্যাপক খাওয়াদাওয়া হলো শামীমের সৌজন্যে , সেজন্য শামীমকে ধন্যবাদ ।