বহুদিন ধরে একটি কথা শুনে আসছি—“নারীরা আরব দেশে অসম্মানিত অবস্থায় থাকে।”
কিন্তু আমি আরব দেশে গিয়েছি, থেকেছি, এবং প্রায় দুই মাস ধরে একাধিক জেলায় ঘুরেছি।
সত্যি বলছি—আমি সেখানে কোথাও নারীদের অসম্মানিত হতে দেখিনি।
>>> আমি দেখেছি, আরবের নারীরা রাস্তায় স্বাধীনভাবে চলাফেরা করছেন
>>> আমি দেখেছি, আরবের নারীরা ব্যাংক, হাসপাতাল, মার্কেটে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করছেন
>>> আমি দেখেছি, আরবের পরিবারে নারীদের সিদ্ধান্তমূলক ভূমিকা রয়েছে
সম্মান মানে শুধু পোশাকের স্বাধীনতা নয়, বরং নিরাপত্তা, মর্যাদা ও ব্যক্তিত্বের স্বীকৃতি।
আরব সমাজে হয়তো পোশাকের ধরন বা ধর্মীয় সংস্কার আছে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে নারীদের ‘দাসী’ করে রাখা হয়েছে।
মিথ ও বাস্তবতার ফারাক
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা কিছু আন্তর্জাতিক প্রচারে আরব বিশ্বকে একরকম "অনারবিক" করে তোলা হয়।
কিন্তু সেখানকার বাস্তবতা অনেক বেশি জটিল, সংস্কৃতিমূলক ও ধর্মনির্ভর।
সব দেশে যেমন বৈষম্য আছে, তেমনি উন্নয়নের দৃষ্টান্তও আছে—সৌদি আরব, কাতার, ওমানের মতো দেশগুলোতে নারীরা শিক্ষায়, কর্মসংস্থানে ও উদ্যোক্তা হিসেবে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে আসছেন।
আমার আহ্বান
পর্যবেক্ষণের চেয়ে অভিজ্ঞতা বড়।
কোনও জাতিকে, সংস্কৃতিকে পুরোপুরি “দোষী” আখ্যা দেওয়ার আগে ভিত্তিহীন সাধারণীকরণ নয়, বরং দেখা উচিত ন্যায়ের চোখে, ভারসাম্যের চোখে।
আমি আরব দেশে গিয়ে সম্মানের অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরেছি।
নারীদের প্রতি সম্মান শুধু ‘পোস্টার’ দিয়ে আসে না—এটি প্রতিদিনকার আচরণে প্রতিফলিত হয়।