পোষ্টটিতে যে কথাগুলো বলবো তা কেবল আমার মনের কথা না, কথাগুলো দেশের কোটি কোটি মানুষের মনের একান্ত সত্য কথা।যা সবাই বলতে চায় কিন্তু নিরাপত্তার ভয়ে বলতে পারে না, দূরে নিভৃতে আমার মত কিছু মানুষ বলছে, কারন তারা সবাই বিশ্বাস করে যত বেশি মানুষ সোচ্চার হবে তত সহজে দেশ বদলে যাবে, আমারও বিশ্বাস তাই, সে বিশ্বাস থেকেই বলছি।
উল্লেখ্য, সাগর রুনি হত্যকান্ডের আড়াই মাস পরে গোয়েন্দা বিভাগ তদন্তে বর্থতা স্বীকার করার পর উচ্চ আদালত এই মামলার দায়িত্ব র্যাবকে দেয়, যেন তারা সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ মামলার তদন্ত শেষ করতে পারে।সাগর-রুনী হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের এএসপি জাফর উল্লাহ ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে সাগর-রুনির লাশের ভিসেরা সংরক্ষণ ও রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য লাশ কবর থেকে তোলার জন্য আবেদন করেন। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, তিনি মামলার তদন্তভার পাওয়ার পর মামলার নথি পর্যালোচনা করে দেখেন যে, সাগর-রুনির ভিসেরা সংরক্ষণ করা হয়নি।
ডিজএন্টার মানে কবর থেকে লাশ তোলা। কবর থেকে লাশ উত্তোলন খুবই বিভৎস একটি ব্যাপার।মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হলেও মানুষ পঁচা গন্ধের মত তীব্র পঁচা গন্ধ আর নেই।লাশ উত্তোলনে যাওয়ার সময় সাধারনত প্রচুর কেরোশনি সাথে নেয়া হয়।লাশের উপর কেরোসিন ঢেলে সেই গন্ধ মাস্ক করার চেষ্টা হয়ে থাকে।সাধারনত পনের বিশ দিনেই লাশের শরীর খসে যেতে থাকে দুই মাসের মধ্যে হাড্ডি থেকে শরীর প্রায় সম্পূর্ন খসে পড়ে, পঁচা গলিত এক পুটলি হাড্ডি মাংস ছারা কিছু থাকে না।তবে কবরের এলাকার মাটির গুনাগুনের উপর ভিত্তি করে লাশ পঁচে।বালু মাটিতে দীর্ঘ দিনেও লাশের পঁচন না ধরার ঘটনা আছে, এমন কি কয়েক বছর পরেও লাশ টাটকা পেলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।
সাধারনত কোন নিহতের শরীরে যখন কোন আঘাত থাকে না, সন্দেহ করা হয় শরীরে বিষক্রিয়ার কারনে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে তখন ভিসেরা টেস্ট করার জন্য পোষ্টমর্টেমের সময় ভিসেরা সংগ্রহ করা হয়।এই পরীক্ষা সম্পূর্ন হতে দুই তিন মাস লেগে যায়।র্যাব সাগর রুনির দেহে রাসায়নিক বিষের খোঁজে লাশ কবর থেকে তুলে পুনঃময়নাতদন্ত করেছে।বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ লাশ দু’টি নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে। পরে পুনঃময়নাতদন্ত শেষে হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান কাজী গোলাম মোখলেসুর রহমান বলেন, মরদেহের বেশির ভাগই পচে গেছে। পেশি ও চামড়া অনেকটাই সরে গেছে হাড় থেকে। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো ঠিকমতো বোঝা যায়নি। তারপরও ভিসেরা পরীক্ষার জন্য লাশ থেকে কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। খুনের আগে নিহত দম্পতিকে চেতনানাশক কোন দ্রব্য খাওয়ানো হয়েছিল কিনা তা পরীক্ষার জন্য মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে মহাখালীর রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।পরে সন্ধ্যায় আজিমপুর কবরস্থানে সাগর-রুনির লাশ ফের কবরস্থ করা হয়েছে।তাহলে কি সাগর রুনি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে ?
বাংলাদেশের মানুষ আসলেই খুব কম জানে, একএক জন ডক্টরেট পিএইচডির করেও সারা জীবনে যা জানে তা কয়েক দিস্তা কাগজের বেশি হবে না।নিজের সাবজেক্টের বাইরে কোন ধারনাই থাকে না। আর সাধারন মানুষ দুইতিন পাতা জ্ঞান নিয়েই সারাজীবন কাটিয়ে দেয়।এই সুযোগে হাইকোর্ট এদের যখন যা বুঝায় বাঙালী খুব গুরুত্ব দিয়া তা বোঝে।জনগণকে বছরের পর বছর মূর্খ করে রেখে এই খেলাই চালাচ্ছে শাসকেরা।
রেব আড়াই মাস পর সাগর রুনির লাশ কবর থেকে উত্তোলন করার সিদ্ধান্ত নেয়ার সাথে সাথেই প্রমান হয়ে গেছে এর প্রতিবেদন আগেই রেডি।এখন শুধু স্টেপ বাই স্টেপ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা।তানা হলে পাঁচ বছরের একটা বাচ্চার সামনে তাদের বাবা মাকে যেখানে সারা রাত ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে হত্যা করার আড়াই মাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে রেব কি দেখতে চায় ?এই হাটুর বুদ্ধি ধরার নলেজও আমাদের নেই ? ওদের কি তদন্তের সমস্ত অপশন দেখা শেষ ? কি হাস্যকর বিষয়, মরার আগে সাগর রুনি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছিল, পরে রাগে দূঃখে খোভে একে অন্যকে কোপায়ে ছিল। আড়াই মাস গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত করে যখন বলে তারা তদন্ত করতে ব্যার্থ, তখন বুঝতে তদন্ত শেষ, এই মামলায় এমন কেউ জড়িত যে, রাষ্ট্রের অন্যতম গোয়েন্দা দপ্তর সমস্ত প্রফেশনালইজম জলাঞ্জলী দিয়ে বলছে, আমরা পারবো না !
যাক, দেখুন কিভাবে মানুষ হত্যা করা হয়েছিল সাগর রুনিকে, আর দেখুন আপনার আমার ভবিষ্যৎ। ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৩ মিনিটে লেখা পোষ্ট থেকে।
১ নং এ দেখুন রক্তাক্ত দেহ দুটির পাশে একটা সিগেরেটের গোড়া পরে আছে, পা গুলো শক্ত করে বাঁধা, রক্ত জমে থাকা একটা স্লিপার দেখুন, রুনির কমোরে ছুরি চালানোর আংশটা দেখুন, ৫ নংয়ে বাঁচার শেষ চেষ্টায় রক্তে আঁকা সাগরের ভাষাটা বুঝুন, ৬ এ কি যেন একটা দেখুন, ৭'তে রক্তে জুতার ছাপে আর মুখ দেখুন।সুরতহালে আরও অনেক কিছু দেখার আছে।কতটা নিশংস ভাবে, আয়েস করে খুনির খুন করেছে দুইটি মানুষকে ? কোন জন্তু জানোয়ারকে এভাবে জবাই করা হয় এমন বর্ননা কোন গল্পেও পড়িনি। এই খুনে কয়জন অংশগ্রহন করে থাকতে পারে, দুইজন না আরও বেশি ?
আপনাদের কি মনে হয় সামান্য পারিবারিক কোন কারনে ৩৬ ও ৩২ বছর বয়সের এক জোড়া নর নারীর এমন বিভৎস ভাবে খুন হওয়া কোন যুক্তি থাকতে পারে, এই সমজে ? কোথায় যেন দেখলাম পুলিশ বলছে, সাগর যখন জার্মানীতে, তখন রুনির কারো সাথে বন্ধুত্ব হয়েছিল ! বাঙালীকে কি এত উন্মাদ বা আহাম্মক মনে হয় ওদের, যে এরকম একটা বিভৎস হত্যাকান্ডের মোটিভেশন এরকম তুচ্ছ কোন কারন বা চোর ডাকাতের থেকে আসতে পারে ? আমার তো মনে হয় বাঙালী খুবই "টেডন" বা চতুর একটি জাতি।এর কর্মের সমরুপ কার্যকারন থাকে, স্বার্থ থাকে।
এর পেছনে, কিছু না কিছু কারো না কারো কোন না কোন স্বার্থ আছে।ছবিটার দিকে আবার দেখুন! মানুষের ইন্টুশন বলে একটা ইনস্টিংন্ট আছে, যা দিয়ে প্রথম দর্শনেই ঘটনা সম্পর্কে মন একটা সিদ্ধান্ত নেয়, যা পরে হয়তো ইতস্ততায় হারিয়ে যায়।কিন্তু সত্য লুকানো থাকে সেই প্রথমে মনে হওয়ার মধ্যই, যদিও প্রতিষ্টিত হয় মাথার যুক্তিতে, অন্য কিছু।এই খুনের দৃষ্যটিই বলছে, এর গভীরতা অনেক। খেয়াল করুন হত্যাকান্ডটি কতটুকু চাঞ্চলকর ? সাগর এখানে বলির পাঠাও হতে পারে অথবা সাগর কঠোর গোপনীয় কিছু জেনে গিয়েছিল ? খেয়াল করুন ঘটনাটি থেকে কেউ বা কোন গোষ্ঠি লাভবান হচ্ছে কিনা, ওরা বেঁচে থাকলে কোন গষ্ঠির বিপদ হতো কিনা ? এমন অনেক পয়েন্ট ভাবুন! বাংলাদেশের মানুষকে আমার এতটা বোকা মনে হয় না, এদের কর্মের প্রকাশ, স্বার্থের উপর নির্ভর করে প্রকাশ পায়।এই খুনের ডেমন্সট্রেশনটি দেখুন, কত গভীর হতে পারে এর অন্ত কারন ?
যাক, তদন্ত কোথায় যাচ্ছে বুঝা যাচ্ছে না, আর বাংলাদেশ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থাও হীমাংকের নিচে। গত বিশ বছরের রেকর্ডে একটি মামলায়ও এরা কেউ নিরপেক্ষ তদন্তের নজির দেখাতে পারেনি।হয় টাকা, না হয় রাজনৈতিক প্রভাব, না হয় শোডাউন, আমাদের কোন বাহিনী আসলে কোন কাজই করতে পারে না, করে না, চরিত্রই নষ্ট হইয়া গেছে।আজকাল খেয়াল করে দেখবেন, ছোট্টো শিশুরা যখন এটা কি, ওটা কি বলতে শেখে, তখন পিতা মাতারা তাদের দুইটা জিনিষ একই প্রকার গুরুত্ব নিয়ে শেখায়, এক কুত্তা, দুই পুলিশ/র্যাব/আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। মাথাটার জন্য বারবার মাইর খায়া গেল একটা বাহিনী।
ভাবছেন এত কঠোর ভাবে, কি ভাবে বলছি ? এই যে পুলিশকে গালি দিচ্ছি, সেও তো আমার ভাই, সেই তো ব্যাংকে গেলে সন্ত্রাসী ছাড়াই ডাকাতি করতো, বিচরাক হলে টাকা খেয়ে বিচার করতো।আসলে দেখুন দেশটার শরীরে আজ নানা জাতের বিষ ফোঁড়া, একটা না, দুইটা না হাজার হাজার ফোঁড়া, সমস্ত অঙ্গে প্রতঙ্গে।একটা ফোঁড়ার পুজ বের করে দিলেই নিরাময় হবে না, জাতির যন্ত্রনা কমবে না।লাগবে একটা মহাঔষধ, যে এক ঔষধেই সকল জ্বালার নিরাময় হবে।এখন সত্য ও সাহসের সাথে কথা না বলার আর সুজোগ নেই।উপরে সাগর রুনির রক্তাক্ত দেহ গুলো আবার দেখুন।যে কোন সময় যেকোন স্থানে আপনারও এমন দশা হতে পারে, আপনার সন্তানের, ভাইয়ের, বোনের, মায়ের, বাবার, প্রতিবেশির একদিন পুরো জনগণের, কোন কারন ছাড়াই, এমনি এমনি।নিজে বাঁচার জন্য হলেও সত্য ও আলো ছাড়া অন্য কোন পথ নেই, আপনার আমার সকলের সামনে।আপনি আপনার সন্তান ১৮ কোটি জনগণের কোন ভবিষ্যৎ নেই এই রাষ্ট্র ব্যবস্থায়।
ব্লগাররা এক কাজ করতে পারেন, সাগর রুনির পরিবারের পার্মিশন নিয়ে ওদের ফেইসবুক হ্যাক করে সেখানে ও আরও অন্যান্য সার্ভারের ওদের রাখা বিভিন্ন ডাটা পরিক্ষা করে দেখা যেতে পারেন! ঘটনাটির পর কোথায় এক জায়গায় লিংক পেয়ে সাগরের ফেইসবুক টাইম লাইন প্রফাইলে দেখেছিলাম সাগর ফেইসবুক এ্যাকাউন্টটি খুলেছিল ২০০৭ সালে নভেম্বর মাসে, ওর প্রথম স্ট্যাটাসটি ছিল "Hello"
শুধু একটি ঘটনা না, পুরো দেশের অবস্থা দেখুনঃ গুম, খুনের বাংলাদেশঃ ঠিক ভেঙ্গে পরার আগে একটা ব্যার্থ রাষ্ট্রে যে পরিস্থিতি হয়।
রাষ্ট্রের ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় যখন কোন একটি রাষ্ট্র ব্যার্থতার চুড়ান্ত পর্যায়ে চলে গেছে সেখানে গুম, গুপ্ত হত্যার ঘটনা বহু গুন বেড়ে যায়।নাগরীকের নিরাপত্তা বলে কিছু থাকে না, আইন আদালত সব অকেজো হয়ে যায়।গত কয়েক শতকের বিশ্বে বড় বড় বিপ্লবের আগে, ফ্রান্স, রাশিয়া, চায়নাতেও তাই হয়েছিল। ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়ার বিভিন্ন দেশে গৃহযুদ্ধের বা স্বাধীনতা যুদ্ধের আগেও এমন পরিস্তিতি দেখা গেছে - একটি রাষ্ট্র ভেঙ্গ পরার আগে সেখানে গুপ্ত হত্যা বেড়ে গেছে। সপ্রতী আরব বিশ্বের বহু বছরের রাজতন্ত্র ভেঙে পরার আগেও তাই দেখা গেছে।সিরিয়ায় গত এক বছর কি পরিমান গুম হয়েছে তার হিসাব বিশ্বের কারও কাছে নাই।অন্যভাবে বললে, একটা দেশে যখন নাগরীকের উপর রাষ্ট্রের সকল শাসন, শোষন, অন্যায়, অত্যাচার, অনিয়ম, অবিচার, অরাজকতা, লুটপাট, দুর্নীতি, দখল, সন্ত্রাস, খুন, ধর্ষন, রাহাজানি, সিন্ডিকেট, প্রতারনা, চোরাচালান, রাজনীতিক দুর্বিত্তায়ন, স্বজনপ্রীতি, পরিবারতন্ত্র, অনগ্রসরতা, চরমপন্থিতা, কুসংস্কার, বেকারত্ব, দারিদ্র সহ সকল নরকের চরম মাত্রা উপস্থিত হয় তখ গুম, গুপ্ত হত্যা, প্রকাশ্য জবাই বড়ে যায়।নাগরীক কোথাও নিরাপদ থাকে না, ঘরে বাইরে দেশে এমনকি অন্য দেশেও নিরাপদ না।রাষ্ট্র আর নাগরীকের সম্পর্কের/বন্ধনের মৌলিক উপাদান, ব্যাক্তির জীবনের নিরাপত্তাহীন এহেন রাজ্যকে মঘেরমুলুকও বলা যায়।সেখানে মানুষের আচরনে দেখে শ্বাপদ পশুও লজ্বা পায়।সে নগর জঙ্গলে পরিনত হয়। চলুন বাংলাদেশটি ভেঙ্গে পরার আগের কয়েকটি বছরের ঘটে যাওয়া কিছু গুম, গুপ্ত হত্যার শিরোনাম, পরিনাম, মানুষের জীবনের দাম, এবং এসবের নায়কের/ভিলেনের নামের নিউজ ফ্লাসব্যাকে দেখে নেই।
*তারা জানান, যত্রতত্র লাশ পড়ে থাকে। এগুলো মাটিচাপা দেয়া হয়। অনেক সময় টোকাইরা পশুর হাড় মনে করে বিক্রির জন্য মানুষের হাড় কুড়িয়ে নিয়ে যায়।
*মাঝে-মধ্যেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তরুণ-যুবকদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।এদের কারও লাশ পাওয়া যাচ্ছে, কেউ বা নিখোঁজই থেকে যাচ্ছে।
*তিনজনেরই হাত-পা গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল। তিনজনকেই গুলি করে হত্যা করা হয়।
*ভাইয়ের লাশ পাওয়ায় তাঁরা সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞ।
*গাজীপুরের দক্ষিণ শালনা এলাকায় গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়।
*লাশ পাওয়া যাচ্ছে নদী, খাল, ডোবায়। মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী নদী থেকে গত মঙ্গলবার তিন জনের পচা লাশ পাওয়া যায়।
*ওয়ালিউল্লাহর পরিবার এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে যে, তাদের ছেলেদের আইনশৃক্মখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অপহরণ করেছে। কিন্তু' র্যাব বাংলাদেশের পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে এই দুইজনকে আটকের অভিযোগ অস্বীকার করে।
*রাজনৈতিক কারণে বেশির ভাগ গুমের ঘটনা ঘটে।আন্তর্জাতিক ইন্টেলিজেন্স সংস্থাগুলোও এতে জড়িত।
*বাসটির কাছে ছোট একটি গাড়ি এসে থামে এবং সেটি থেকে ইউনিফর্ম পরিহিত সাত-আট ব্যক্তি নেমে আসেন। তারা নিজেদের আইনপ্রয়োগকারী বিশেষ বাহিনী র্যাব ও ডিবির সদস্য বলে পরিচয় দেন।
*আগে ড্রেস পরে নিয়ে গেছে, বিচারবহির্ভূত কিলিং হয়েছে, ক্রস ফায়ার হয়েছে।এখন অন্য ধরনের কিলিং হচ্ছে। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বিএনপির যশোর জেলার একজন নেতাসহ মোট চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
*ওই স্থানের মাটি তোলার পর ওই যুবকের হাড়, জিন্সের প্যান্ট ও গেঞ্জি বেরিয়ে আসে।
*শামীমের স্ত্রী ঝর্ণা খানম বলেন, ‘আমরা তো অনেক দৌড়ালাম।শামীম বেঁচে আছে না মরে গেছে, এখন আমরা শুধু সেই তথ্যটা জানতে চাই।কিন্তু আমাদের মামলার কোনো গুরুত্বই নেই।
*১২ জুলাই সজলের লাশ পাওয়া যায় ঢাকা বাইপাস সড়কের পাশে সমর সিংহ গ্রামে।
*বিরুলিয়ার বাসিন্দারা জানান, এর আগেও সেখানে এক যুবকের লাশ সিমেন্টের বস্তার সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে। অজ্ঞাত ওই লাশের হাত পেছনে বাঁধা ছিল।
*মোহাম্মদপুর থানার কাছে সাদা পোশাকধারী লোকেরা তার গাড়ির গতিরোধ করেন।বন্দী করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় অজ্ঞাত স্থানে।গাড়ির ভেতরের ‘বন্দিদশা' থেকে নাজমুল এক সহকর্মীকে শুধুই বলতে পারেন, ‘ভাই, আমাকে তো ধরে নিয়ে যাচ্ছে।' আর কোনো কথা বলতে পারেননি।উদ্ধারের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে তার স্ত্রী ও অন্যরা থানা-পুলিশ র্যাবের কাছে যান।অসহায় পরিবারটির বুক ফাটা কান্নায় মন গলেনি তাদের।রাত না পোহালে কিছুই করার নেই বলে সাফ জানিয়ে দেয় তারা। রাত পোহানোর পর নাজমুলের মৃতদেহ মেলে গাজীপুর চৌরাস্তার অদূরে।
*বেশ কিছুক্ষণ তল্লাশির পর পাওয়া গেলো একটি নতুন মাটি খোঁড়া গর্তের ঠিকানা। গর্ত খুঁড়তেই বেরিয়ে এলো প্রায় অর্ধগলিত বিকৃত এক তরুণের মৃতদেহ।
*আইনি জটিলতার আশঙ্কায় এসব লাশ দেখেও পুলিশকে খবর দেয় না স্থানীয় বাসিন্দারা।কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুলিশকে জানিয়ে কোনো লাভ না হওয়ায় স্থানীয়রা লাশ মাটিতে পুঁতে রেখেছে।
*রাতে হাওয়া হয়ে যাচ্ছে মানুষ।একবার কেউ নিখোঁজ হলে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না।
*পরদিন ১৩ জুলাই ইমরানের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায় ঢাকা-মাওয়া সড়কের পাশে কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়ার একটি ইটভাটায়।
*রিপোর্টে দেখা যায়, বেড়িবাঁধের একটি ব্রিজের নিচে অনেক দিন ধরে ভেসে আছে অজ্ঞাত পরিচয় একটি লাশ। স্থানীয়রা বাঁশ দিয়ে কচুরিপনা সরিয়ে লাশ দেখান। অনেক দিন পানিতে ভাসতে থাকায় লাশে পচন ধরেছে।
*র্যাবের পোশাকে, পুলিশের পোশাকে কিংবা সাদা পোশাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে।পরিবারের পক্ষ থেকে ওই সব সংস্থার সাথে যোগাযোগ করলে বলা হচ্ছে তারা এমন কাউকে ধরেনি কিংবা এ ধরনের ঘটনা সম্পর্কে তারা জানে না। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে এসব ঘটনায়।
*সাধারণভাবে মানুষের ধারণা, সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটাচ্ছে। এই ধারণা থেকে মানুষ অসহায়বোধ করতে শুরু করেছে। কারণ, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস হলে তো সাধারণ মানুষের যাওয়ার কোনো জায়গা থাকে না।’
*বিচারবহির্ভূত হত্যা বা গুমের অনেক ঘটনার জন্য দায়ী করা হয় অভিজাত বাহিনী র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাবকে।এ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ৬০০ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নথিবদ্ধ করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।সংস্থাগুলোর মতে, নিখোঁজ হয়ে যাওয়া, তথাকথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মৃত্যু এবং নিরাপত্তা হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা আছে এর মধ্যে। অনেক ক্ষেত্রে কাউকে গুলি করে হত্যার পর বন্দুকযুদ্ধের গল্প ফাঁদা হচ্ছে।
*মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী নদী থেকে তিনটি লাশ উদ্ধার করা হয়, যাদের গুলি চালিয়ে হত্যার পর লাশ বস্তায় ভরে নদীতে ডুবিয়ে দেয়া হয়। কয়েকদিন আগেও ধলেশ্বরী নদী থেকে আরও তিনটি লাশ উদ্ধার হয়েছিল।
*রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারের যত্রতত্র অজ্ঞাত লাশের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। দুই কিলোমিটার এলাকায় গত কয়েক মাসে অন্তত ৮টি লাশ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।আশুলিয়া, বিরুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার ধান ক্ষেত, ব্রিজের নিচসহ বিভিন্নস্থানে লাশ পাওয়া গেছে।
*দিলুকে হত্যার পর লাশ গুম করে ফেলার অভিযোগে মালয়েশিয়ার পেনাং থানায় একটি মামলা করেন দিলুর ভাগ্নে শিপন খান।
*আইনি জটিলতার আশঙ্কায় এসব লাশ দেখেও পুলিশকে খবর দেয় না স্থানীয় বাসিন্দারা।কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুলিশকে জানিয়ে কোনো লাভ না হওয়ায় স্থানীয়রা লাশ মাটিতে পুঁতে রেখেছে।
*পঞ্চবটি এলাকায় প্যান্ট ও গেঞ্জি পরিহিত এক যুববকে মাটিচাপা দেন কৃষক দ্বীন ইসলাম। তিনি জানান, ওই লাশ কেউ না নেয়ায় তিনি কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে মাটিচাপা দিয়েছেন।
*পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী সারাদেশে গত দেড় মাসে খুনের ঘটনা ঘটেছে ৪৬৫টি। এর মধ্যে ৩৩৬টি খুনের ঘটনা ঘটেছে জানুয়ারি মাসে। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ১৩ দিনে খুন হয়েছে ১২৯টি, ধর্ষণ ৪২টি। এর মধ্যে আইনশৃক্মখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে খুন হয়েছে ১০ জন।গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১০ জন করে খুন হচ্ছে।
*কয়েকজন সাংবাদিক নেতাকে কয়েটা প্লটের লোভ দেখিয়ে সাগর রুনীর মামলা ডিপ ফ্রিজে পাঠিয়ে দেওয়ার প্রজেক্ট উন্মুক্ত করেছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।যমন ডিপ ফ্রিজে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে লোকমান হত্যা মামলা।সেদিন দেখলাম নিহত মেয়র লোকমানের ভাই কামরুল ধৃত আসামীর ১৬৪ এর কপির জন্য দারে দারে ঘুরছে।
*সংসদ ভবন চত্বরে এমপি হোস্টেলের তিনতলায় কয়েক দিন ধরেই লাশটা পড়ে ছিল। যখন উৎকট গন্ধ বের হতে থাকল, তখনই বিষয়টি ধরা পড়ল।গতকাল রোববার বিকেলে এমপি হোস্টেলের ৬ নম্বর ব্লক থেকে অজ্ঞাতনামা এক নারীর হাত বাঁধা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শ্রীলঙ্কা গার্ডিয়ান পত্রিকার খবর, ভারতীয় সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা 'র' এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের ১০০ ক্যাডারকে খুবই গোপনীয়তার সঙ্গে ছয়মাস মেয়াদি কমান্ডো ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে৷ গত জুন থেকে দেরাদুনের ট্রেনিং নেওয়া এসব (ছাত্রলীগ বা যুবলীগ) ক্যাডারদের গুপ্তহত্যা ও অপহরণের কৌশল শেখানো হয়েছে । 'ক্রুসেডার-১০০' ছদ্ম নামে পরিচিত এসব ক্যাডার রাজনীতিবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের হত্যা ও গুম করার জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী৷ এসব ক্যাডার ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে থেকে ২০১০ সালের জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত ভারতের সেনাবাহিনীর কমান্ডো প্রশিক্ষণ নেয়৷প্রশিক্ষণ শেষে ফিরে আসার পর আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ রাজনীতিবিদ, মিডিয়া কর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের একটি তালিকা দেওয়া হয়৷এ তালিকায় ৮৩ ব্যক্তির নাম রয়েছে, যাদের ক্রুসেডার-১০০ 'সাফ' করবে৷ বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত ১০০ ক্রুসেডারকে ঢাকার গুলশান ও বারিধারা এলাকার কিছু ভবনে রাখা হয়েছে৷
অপমৃত্যু, গুম, হত্যা, ক্রসফায়ার, দুর্ঘটনায় দশ পনের জনের মৃত্যুর খবর আজ প্রতিদিনের ব্যাপার।অজ পাড়া গা থেকে শুরু করে রাজধানীর সুরক্ষিত বাসা থেকে আইনশৃংখলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে বেমালুম অস্বীকার করা হচ্ছে।কি ভিষন ভয়ংকর ব্যাপার।নাগরীকের নিরাপত্তার এরকম ভয়াবহ অবস্থা কোন গৃহযুদ্ধরত রাষ্ট্রেও গ্রহন যোগ্য না।এই পরিস্থিতিতেও সামান্য চিন্তিত না হয়েও নির্লজ্বের মত ইলিয়াস আলী আর চৌধুরী আলমের মত গুমের স্রোষ্টারা গুম হলে আমরা হরতাল দেই, খুন করি, সব আগুন জ্বালীয়ে দিতে ইচ্ছে করে, ক্ষমতার পরিবর্তন করার লক্ষ্যে ঝাপিয়ে পরি, যেন এক ডাইনি গিয়ে আরেক ডাইনি আসলেই দেশটা বেহেস্ত হয়ে যাবে, এ বেহেস্তের জন্য জিহাদ, যদিও পতিবার আরও বড় নরকই পরিনত হয়েছে/হবে, তা টাইম টেস্টেড।আর ঐ দিকে নিরবে গুম হয়ে যাওয়া আজম, আনসার, নাজমুল, করিম, শামীম, ইসমাইল, মাসুম, জসীমউদ্দীন, কালাম, বাশার, রহিম, ইস্রাফিল, সারোয়ার, আকতার, নূর মোহাম্মদ, আবদুল মান্নান, ইকবাল, জুয়েল, রাজীব, মিজানুর, সজল, ইমরান, মুকাদ্দাস, ওয়ালিউল্লাহ, সোহাগ, রফিকুল সহ আরও নাম না জানা অসংখ্য গুমের প্রেতাত্মারা নিরবে, নিশব্দে এই নিষ্ঠুর পশুর সমাজকে অভিশাপ দিয়ে যাচ্ছে।
অথচ দেখুন আমাদের দেশের প্রচলিত আইনেই ছিল, কোন আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী সাদা পোশাক কাউকে আটক করতে পারবে না।এমন কি সাদা পোশাকের কোন গোয়েন্দা সংস্থাও কাউকে আটক করার সময় সাথে পোশাকধারী বাহিনী রাখতে হবে এবং নিজেদের পরিচয়পত্র দেখাতে হবে।কোথায় নেয়া হবে তা গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি ও তার আত্মীয়দের জানাতে হবে এবং আটকের ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিকটস্থ আদালতে হাজির করতে হবে।এটা সভ্য দেশের প্রাথমিক পূর্শবর্ত, আজ থেকে ২০০ বছর আগে বৃটিশ আমলেই আইনটি করা হয়েছিল, যার উন্নত মোডিফিকেশন দূরে থাক কিভাবে সভ্য রাষ্ট্রের আইনকে বরবরের আইন করা যায় সে চেষ্টাই করেছি আমরা এতদিন।গত ৪১ বছর ধরে জনগণকে রাখা হয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ অবরুদ্ধ, অন্ধকার, মূর্খ করে। গণতন্ত্রের নামে ইজারাতান্ত্রের ইজারাদারেরা জনগণকে সবসময় তথ্য, জ্ঞান, শিক্ষা থেকে বিচ্ছিন্ন রেখে পুরো রাষ্ট্রটিই একটি অন্ধকার রাষ্ট্র বানিয়ে রেখেছে।
যারা বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে, তাদের বলবো একটা জায়গা দেখান, উন্নয়নের বেসিক উপাদান নিরাপত্তা, বিদ্যুৎ, কমিউনিকেশ, ব্যাংকিং থেকে শুরু করে কৃষি, কুটির শিল্প পর্যন্ত, প্রাথমিক শিক্ষা থেকে স্বাস্থ, পরিবেশ, আইন শৃংখলা পর্যন্ত।কোথাও এক ফোটা উন্নয়ন, পরিকল্পনা দেখাতে পারবেন ?আসলে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ বিকাল থেকে এড হক বেসিসে রাষ্ট্রটি পরিচালিত হচ্ছে।গভীর ভাবে দেখলে হাজার বছরের পরাধীন বাঙালী, লক্ষ বুকের রক্তে কেনা স্বাধীনতার অব্যহতি পরেই দেশটাকে আরও বেশি পরাধীন করেছে, সেই পরাধীনতার শুরু দেশের নাম থেকেই - দেশের নামটি পর্যন্ত ঠিক হয়নি, পরাধীনতার সুপ্তবীজ এর নামেই।গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ- আমরা প্রজাতন্ত্র শব্দটির সাথে একমত না, এতে কেমন রাজা, প্রজা, রাজপুত্রের গন্ধ আছে, লক্ষ লক্ষ কিশোরের বুকের রক্ত, তরুনীর সম্ভ্রমের, হাজার হাজার যুদ্ধ শিশুর বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের জন্ম, রাজা, প্রজার শাসন ব্যবস্থার জন্য হয়নি, বরং বিষয়টি হতে পারতো উন্মুক্ত গণতান্ত্রীক ব্যবস্থা।আর তখন যে সংবিধান করা হয়েছিল তাও পরাধীনতার চুক্তিপত্র, বিশ্বের নিৎকৃষ্ট সংবিধান, যারা এটা করেছে তারা খুবই নিৎকৃষ্ট মনের মানুষ ছিলেন, তার পরিবারতন্ত্র তথা রাজতন্ত্রের সংবিধান করে রেখে গেছে।তাছারা ৭২-এর সংবিধান সঠিকভাবে প্রণীতই হয়নি।যারা এই সংবিধান প্রণয়ন করেছিলেন তাদের তা করার বৈধ কর্তৃত্বই ছিল না, তারা ছিল পাকিস্তানের নির্বাচিত সদস্য, ৭০ সালে নির্বাচনটা হয়েছিলো মূলত পাকিস্তানের সংবিধান তৈরির জন্য। তখন গণপরিষদ গঠন করে সংবিধান প্রণয়ন করা উচিত ছিল। তাই স্বাধীনতা মানে দেশ আসলে, সাধারন শয়তানের শাসন থেকে ঈবলিশের শাসনে এসেছে।বলতে পারেন, উপমহাদেশে বাংলাদেশ নামক ভূক্ষন্ডটির জনগণ প্রকৃত পক্ষে আজও স্বাধীন হয়নি এক সময় বিদেশী শোষকরা শাসন করেছে ২০০ বছর, পরবর্তীতে তাদের বীর্জে উৎপন্ন শয়তান শাসন করেছে এ অঞ্চলের, এক সাগর রক্ত দিয়ে জনগণ যখন দেশি শাসকের হাতে তা তুলেদিল প্রীয় মাতৃভূমীতে শুরু হলো ঈবলিশের শাসন।তাই ব্রিটিশ আমাল যদি বিদেশি "শোষকের শাসন" হয় তবে পাকিস্তানী শাসন ছিল "শয়তানের শাসন" আর গত ৪১ বছর ধরে চলছে "ঈবলিশের শাসন" - বিষয়টি পিথাগোরাসের উপপাদ্য, ত্রিভূজের দুই বাহুর যোগফল তৃতীয় বাহু অপেক্ষা বৃহত্তর দ্যের মত স্বতসিদ্ধ সত্য, যারা দ্বিমত করবে বুঝবেন সে ঈবলিশেরই একজন।
আমার যা বয়স, আশির দশক থেকে আমাদের প্রজন্ম মুটামুটি বুঝি।তখন থেকে আমাদের দেশ সমাজ রাজনীতি রাষ্ট্র সম্পর্কে সরাসরি নিজের অভিজ্ঞাতাতেই আছে অসংখ্য ঘটনা।এবং আমি এক শতে এক শত পার্সেন্ট গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি সমাজের ও সরকারের প্রতিটি স্তরের সবচেয়ে খারাপ, দুষ্ট মানুষটি আমাদের দেশে রাজনীতিতে যোগ দেয়।সে ছাত্র হলে সবচেয়ে উশৃংখল, নীতিহীন, বদমাইশ ছাত্র নামের কলংকটি যাচ্ছে ছাত্র রাজনীতিতে।সে শ্রমীক দল হলে সবচেয়ে অকর্মন্য, মাত্তাব্বর, সন্ত্রাসী শ্রমিকটি নেতা।ডাক্তার হলে অংঙ্গ প্রতংঙ্গের ব্যবসায়ী সবচেয়ে বড় ধান্দাবাজ ডাক্তারটি চিকিৎসক ফোরামের নেতা।উকিল হলে সবচেয়ে ফাউল ও শয়তান লোকটা বারে নিজের গ্রুপ লিড দেয়।কৃষক হলে কৃষি কাজ বর্গা দিয়ে ধন্দার পিছনে ছোটাটা।তেমনি ভাবে জানা অজানা যত উইং আছে তার প্রতিটিতে স্বগোত্রের সবচেয়ে অদক্ষটিই রাজনীতিবিদ।সেই শৈশব থেকে দেশের উত্তর থেকে দক্ষিন, পূর্ব থেকে পশ্চিম, টপ টু বটম মানুষ, সমাজ, রাষ্ট্র, দারিদ্র, অর্থনীতি রাজনীতি, সিস্টেম, সরকার এই মাথা থেকে ঐ মাথা দেখার সুজোগ হয়েছে।সব দেখে দেশের সিংহ ভাগ সাধারন খেটেখাওয়া, চাষা-ভূসা, দরিদ্র জনগোষ্ঠি বাদ দিলে যে অল্প সংখ্যক ক্ষমতাশীল, সমাজপতি, শিক্ষিতরা জনগণের ভাগ্য নিয়ন্ত্রক তারা এক একজন সাক্ষ্যাত শয়তান।
কেউ দেশটার জন্য কিছু করলো না, সবাই গণিমতের মাল হিসাবে দেশটাকে ভাগভাগ করে নেয়ার নিরন্তন প্রতিযোগিতায় লিপ্ত।রাজনীতিবিদ, সামরিক বাহীনী, আমলা কেউ দেশটাকে দেশ ভাবলো না।যেখানে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের নাগরীকে প্রকৃত বন্ধু ও দেশ মাতৃকার অতন্দ্র প্রহরী হওয়ার কথাছিল সিভিল ও মিলিটারি বুরোক্রেটদের।তাদের হওয়ার কথাছিল প্রফেশনাল প্যাট্রিয়ট, কেননা তারা নাগরীকের টাকায় পেইড দেশপ্রেমিক।তারা ঠিক থাকলে সৃষ্টিকর্তা ছারা আর কেউ জনগণের তথা সমষ্টির তথা দেশের সামান্যতম ক্ষতিও করতে পারার কথা না।কিন্তু হয়নি কারন ডিভাইড এ্যান্ডরুল।এদের পদে পদে ব্যাক্তিতে ব্যক্তিতে গোষ্ঠিতে গোষ্ঠিতে সামরিকে বেসামরিকে ক্যাডারে ক্যাডারে অসংখ্য বহুভূজে জটিল জটিল সব ডিভাইড এ্যান্ড রুল।
অথচ বাংলাদেশের মানুষের একটা ভালো গুন ছিল, এরা আলোতে ভালো বিহেইভ করে।যেমন আলোকিত প্রবাসে এই দেশেরই নষ্টতম মানুষটিও খুবই ভদ্র আচরন করে।যেখানে দেশে তারমত হিংস্র দুর্লভ।কারন দেশটি একটি সম্পূর্ন অন্ধকার দেশ।এখানে কোথাও কোন আলো নেই।পাশের মানুষটিকেও দেখা সম্ভব না।এই অন্ধকারে, তাই আপনি যদি কাওকে জিজ্ঞেস করেন, ভাই কি করেন, সে উত্তর দিবে নামাজ পরছি, যে আসলে চুরি করছে, আবার যে জিজ্ঞেস সেও মুখ বেঁধে কোন শিশুকে ধর্ষন করছে।
তাই, তরুনেরা তোমরা যদি দেশটাকে বদলে ফেলতে চাও, আর কিছু করতে হবেনা, শুধু "সব জানিয়ে দাও সবাইকে", যখন একটা দেশের ১০০% নাগরিক ১০০% জেনে যাবে তখন একটা দেশ ১০০% সফল, সমাজ/নিরাপত্তা/অর্থনীতি/রাষ্ট্র/বিচার/গণতন্ত্র/মানবাধিকার/উন্নয়ন সকল ক্ষেত্রে প্লেটোর আটপিয়ান রাষ্ট্র হয়ে যাবে।একটা ওপেন বাংলাদেশ সৃষ্টি কর। ইন্সপাইয়ার্ড বাই Open BangladeshDigital Bangladesh Warriors
অথবা আপনাদের হত্যা করা হবে, সে আপনি ভদ্র লোক সাগর হন বা মুরগি মিলন, ডগ শিশির, বোম্বে লিটন, টোকাই সাগর, পিচ্চি হান্নান, গিট্টু নাসির, শুটার লিটন, টুন্ডা জলিল, বস্কামারা কবির, কাইল্যা মনির, জংলী শামীম, ডিব্বা হারুন, নাটকা বাবু, আন্ডা দেলু, চোট্টা হাইবা, চিকা হারুন, চিটার হারুন, বাস্টার্ড সেলিম, ল্যাংটা করিম, পকেট রফিক, ডাইনিং বাবু, ঠেক খাইরু, ক্ষুর হাদীছ, টুণ্ডা হারুন, টুটু বাবু, কুইড়া কবীর, লুলা লিয়াকত, ফকির চাঁন, ফেন্সী পাপন, চীনা থোকন, শ্যুটার রফিক, ডাইল খোকনই হউন।এই দেশই আপনাকে কখনও কালা জাহাঙ্গীর বানাবে কখনও সাগর কিন্তু নির্মম মৃত্যই উভয়ের পরিনতি- উপরের ওরফেরা আমাদের ইভিল-ক্রিয়েটভ রাজনীতিরই সৃষ্টি।আগামী কয়েক বছরেই ইউনিয়ন থেকে গ্রাম পর্যন্ত চলে যাবে এই ওরফেরা সহ ফুল টিম। সন্ত্রাস, অপরাধ আর মাফিয়ার সাগর - পুরো দেশটা বিশ্বে একটা বড় আকারে অপরাধের বস্তিতে পরিণত হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষ এখানে পিশাচের চেয়ে নিচে নেমে গেছে। কাল এক নিউজে দেখলাম এক স্বামী স্ত্রীকে জবাই করে টুকরা টুকরা করে অর্ধেক বাসার ফ্রিজে রেখে অর্ধেক বস্তায় ভরে গ্রামের বাড়ির দিকে রওনা হয়েছিল। অন্য সব অপরাধ বাদ দিলাম সবচেয়ে বড় মহাপাপ মানুষ হত্যাই এখানে সৃষ্টিশিল শয়তানের এক একটি অনবদ্য সৃষ্টির পর্যায় চলে গেছে।বিশ্বাস না হলে নিচের ছবিটি দেখুন।যাকে জবাই করে গ্রামের এক সীম ক্ষেতে ফেলে রাখা হয়েছিল।
আমরা বিশ্বাস করি কাজ/সংবাদ/ঘটনা/সত্য অপ্রকাশিত/আড়াল রাখাই খারাপ শাসন ব্যবস্থার অন্যতম হাতিয়ার।সরকার ও ক্ষমতাধর প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তি মাত্রই ষড়যন্ত্রপ্রবণ জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে, মিথ্যা বলে আর বাংলাদেশে এই সমস্যা বিশ্ব সেরা।আমরা বিশ্বাস করি, ষড়যন্ত্রকারীদের প্রধান অস্ত্র তথ্য/সত্যের গোপনীয়তা, মানুষকে যত কম জানতে দেওয়া যায় এই নীতি এর প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে।সব গোপনীয়তা প্রকাশ করে দিতে পারলেই সকল মন্দ ভণ্ডুল করে দেয়া সম্ভব। আমরা যদি নিষ্ক্রিয়ভাবে অন্যায়-অবিচার দেখে যাই, কিছুই না করি, তবে আমারাও অন্যায়ের পক্ষেই কাজ করি। নিষ্ক্রিয়ভাবে অন্যায়-অবিচার দেখতে দেখতে আমরা দাসে পরিণত হই। যেহেতু অধিকাংশ অন্যায়-অবিচার ঘটে তথ্যের/সত্যের/ঘটনার সাথে সাধারন মানুষের সংযোগ না থাকার কারনে। যেহেতু মানুষের জেনে যাওয়াই অন্যায় অবিচারের উপর ফাংশনাল অন্যতম চাপ, যেহেতু সবাই সবকিছু জেনে গেলে অন্যায়-অবিচার কমে যাবে।...তাই আমাদের এমন কিছু করতে হবে, যেন সবাই সবকিছু জেনে যায়, খারাপ শাসনব্যবস্থার জায়গায় ভালো কিছু আসে।যেহেতু বাংলাদেশের মুলধারার সবকয়টি মিডিয়ার মালিক হাতে গোনা কয়েকজন ব্যক্তি।যেহেতু অবাধ তথ্য প্রবাহকে বাঁধাগ্রস্থ করার অসংখ্য আইন সমাজে বিদ্যমান।তাই আমাদের সাংবাদিক ভাইয়েরা মিডিয়ামালিক ও সরকারের হাতে শৃংখলিত, তাই জনগণ, তাই আমরা সাধারন মানুষ সামাজিক সাংবাদিকতার দায়িত্ব নিচ্ছি।"দৈনিক গোখরা"
আমিও ভয় পাই, কিন্তু তারপরও ভাবি, যদি এমন হয় আমি দেখি, জ্বলন্ত একটা বিশাল কড়াইয়ে টগবগ করতে থাকা গলিত লোহায় একটা মানুষ ডুবে যেতে থাকে, যেখানে আমি জানি কোন লাভ নেই, এটা ৪০০০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার গলিত লোহা, যে বাঁচাতে ঝাপ দেবে সেও মরবে।সেখানে কিছুই না করতে পারলেও চিৎকারও কি দেব না, মানুষটি মরে ঝাচ্ছে বলে?আর এখানে তো একজন মানুষ না চোখের সামনে ১৮ কোটি মানুষ নিয়ে একটি দেশ নিশ্চিত ডুবছে ৪০০০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার গলিত লোহার চুল্লিতে ।যদিও আমার আপনার মত হাজার হাজার লোকের চিৎকারেও কোন লাভ নেই।তাই বলে কি বসে থাকা ঠিক! যেদিন কোটি কোটি মানুষ দৃশ্যটি দেখে চিৎকার করে বলবে সে দিনই একটা ম
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ২:৫৪