শাহবাগ কে যদি আপনি কোন রাজনৈতিক দলের ব্রেন চাইল্ড ভাবলে তবে আপনার মত তরুনের জন্য আমার দুঃখ হয় । ১৯৭১ এ অনেকে সেই অধিকার আদায় করার গর্বের যুদ্ধ কে গোন্ডগোল বলেছিলো । আসলেই প্রগতিশীল আর রক্ষনশীল এর মধ্যে এই খানে তফাৎ । আসুন মনের আগুন জ্বালিয়ে রাখুন । যে দেশ তার স্বাধীনতা অর্জনের কারণ জানে না সে দেশ কোন দিন উন্নতি লাভ করতে পারে না। কোনদিন তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌছাতে পারে না । ২০০১ সালেও যারা পাকিস্তানের সাথে এক হতে চায় । যারা ১৯৭১ সালে শুধু বিরোধিতাই করে নি । অনেক হত্যা , ধর্ষন , সামাজিক অপয়াধ করেছিলো । যে কোন দেশের স্বাধীনতায় বিপক্ষ দল থাকতে পারে কিন্তু তার মানে এই নয় যে তারা অপরাধ করবে । উদাহরন দিলে সহজ হবে ঃ কাল যদি পার্বত্য চট্রগ্রাম স্বাধীনতা চায় আমি আপনি হয়তো বিরোধিতা করবো । তার মানে এই নয়তো যে আপনি স্বাধীনতা কামী সেই পার্বত্য এলাকার জনগন হত্যা করবেন । সে দিন ১৯৭১তারা যে অপকর্ম করেছে তার শাস্তি সবাই চায় । এসে দেখুন আপামর জনগন পথে । এটা একটা শুভ লক্ষন । বড় বড় রাজনৈতক দলগুলো ভেবেছিলো যেমনে খুশি খেল্বে । কেঊ ধর্ম নিয়ে ১কেজি , ৫০০গ্রাম এর প্যাকেট ব্যাবসা শুরু করেছিলো থিক তেমনি কেঊ সকল মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান , ইতিহাসের ব্যাবসা শুরু করেছিলো , কোন ব্যবসা আর পাইকারী চলবে না বাবু মসাই । কোনটিই বিপ্লবীরা হতে দিবে না । না তা হতে দেওয়া যাবে না ।
শাহবাগ কোন খন্ডিত কাব্য নয় । এটা সময়ের প্রয়োজন । যারা বুঝলো না , তারা রক্ষণশীল । যারা ভীরু, যারা কাপুরুষ তারা যে পরিবর্তন গ্রহন করতে পারে না, সে সয়াবি জানে । শাহবাগ ২০৫০ পর্যন্ত জেগে থাক । যে কোন দূর্নীতি , যে কোন জাতীয় ঠক বাজরাও আজ ভয়ে আছে । তারা জানে সীমা লংঘন করলেই শাহবাগ আছে । শাহবাগ থেকে কয়েক কদম দূরে আমাদের দেশের জন্মের নারি পুঁতা রয়েছে । প্রথাগত রাজনীতি যে আমাদের মুক্তি দিতে পারছে না তা শাহবাগ প্রমান করছে । তাই হাইব্রিড কোন নেতাকেই কথা বলতে দাওয়া হয়নি ।
১৯৭১ কে ভূল প্রমানিত করার জন্য এখন অনেকেই লেগে আছে । কিন্তু ২০১২ পর্যন্ত বাংলাদেশ বেশীর ভাগ ইনডেক্স এ পাকিস্তান কে অতিক্রম করেছে । সময় লেগেছে । অবদান সবার আছে । জনগনের অবদান সবচেয়ে বেশী । বাংলাদেশ তো আর অন্যদের মত শুভ দিন তিথী দেখে স্বাধীনতা নেই নি । এর পিছনে রক্ত আছে । বলিদান আছে । ১৯৭১ এ আমাদের ইনফ্রাস্ট্রাকচার সব ভেঙ্গে গিয়েছিলো । আজ কত সুন্দর দেশ । এক দিনে হয় নি । কিনু যারা এই দেশ চাই নি । স্লোগান থামানোর জন্য ককটেলের ভাষা ছাড়া যুক্তির স্থান নেই । যারা অপরাধ করেও ক্ষমা স্বীকার করেনি তারা পরাজিত সৈনিক । আর পরাজিত সৈনিক খুব ভয়ংকর ।
আর একটা কথা বলি উপমহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল কে এই জামাত খেয়ে ফেলেছিলো । চরম ডান আর চরম বামের সেই একি সমস্যা । আসুন মনের আগুন জ্বালাই এই ফাগুনে ।
আজ ২রা ফাগুনন ১৪১৯ , ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৩ আমরা একাত্তরে শহীদদের স্বরন করে মোমবাতি জ্বালানো হবে যে যেখানে আছেন সেই অবস্থানে থেকেই । সময় সন্ধ্যা ৭টা ।