বিশেষ সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারীর পদ থেকে মাহবুব-উল-আলম হানিফকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আবদুস সোবহান সিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছানুযায়ী তার বিশেষ সহকারীর পদে হানিফের নিয়োগ আদেশটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মাহবুব-উল-হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, আমি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর পদটি লাভজনক হওয়ায় আমি নিজেই পদত্যাগের জন্য আবেদন করেছিলাম। সেই অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
হানিফের অপসারণে কুষ্টিয়ায় মিষ্টি বিতরণ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারীর পদ থেকে অপসারণ করায় মিষ্টি বিতরণ করেছে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগ। এই ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে। এক পক্ষ মিষ্টি বিতরণ করলেও অন্যপক্ষ রয়েছেন নিশ্চুপ। মিষ্টি বিতরণকারী আওয়ামী লীগ নেতাদের এক অংশ বলেছেন, নেত্রী এতদিনে একটা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যা আরো আগেই নেয়া উচিত ছিল। কুষ্টিয়া-১ আসনের এমপি আফাজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার ওপর যে দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন তা পালন করতে গিয়ে নিশ্চয় এমন কোনো ত্রুটি নেত্রীর কাছে ধরা পড়েছে যে কারণে আজ তিনি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি হানিফের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটা লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি পৌর মেয়র আনোয়ার আলী বলেন, আসলে প্রধানমন্ত্রী এতদিনে বুঝেছেন যে তিনি অপাত্রে ঘি ঢেলেছেন। তাকে অপসারণের ফলে এতদিন ধরে কুষ্টিয়া আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের ত্যাগী ও নিষ্ঠাবান নেতাকর্মীরা যারা অবহেলা ও বঞ্চনার ফলে নিষ্ক্রীয় ছিল তারা নতুন করে দলের কর্মকা-ে উৎসাহী হয়ে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভূমিকা রাখতে পারবে। কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগ’র সাধারণ সম্পাদক আজগার আলী জানান, আগামী সংসদ নির্বাচনে তিনি একজন প্রার্থী হিসেবে যাতে সঠিকভাবে কাজ করতে পারেন সেজন্য তিনি নিজেই দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নিয়েছেন। তিনি অপসারিত হয়েছেন; একথা ঠিক নয়। এ ঘটনার কারণে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তেমন কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। গত ৯ অক্টোবর গণভবনে আটটি জেলার নেতাদের বৈঠকে কুষ্টিয়ার দলীয় মনোনয়ন নিয়ে মিরপুর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল আরেফীন এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী বদল করে মাহবুব উল আলম হানিফকে মনোনয়ন দেয়ার অনুরোধ জানালে তা নাকচ করে দেন প্রধানমন্ত্রী। এক পর্যায়ে হানিফ দলীয় সভানেত্রীর সঙ্গে তর্কে জড়ান।
বরিশালে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
বরিশাল ব্যুরো : প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়ায় গত সন্ধায় বরিশাল মহানগরীতে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রীয়া লক্ষ্য করা গেছে।
বিএনপিসহ বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে স্বাভাবিকভাবেই এঘটনাকে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ইতিবাচক বলে বর্ণনা করা হয়েছে। বরিশালে বিএনপি নেতৃবন্দ এক তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় মাহবুব উল আলম হানিফের এ পদস্খলনকে তার অতিকথনের জন্য অনিবার্য ছিল বলে মন্তব্য করা হয়েছে। অপরদিকে মহাজোটের বিভিন্ন শরিক দলের একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন ‘গত কয়েক বছরে দ্রুত যাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে, তাদের মধ্যে হানিফ ছিলেন অন্যতম। তার মত অপরিপক্ক কথিত নেতাকে এত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়া ছিল বড় ভূল’ বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে। তবে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের তরফ থেকে এবিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।
বিশেষ সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারীর পদ থেকে মাহবুব-উল-আলম হানিফকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আবদুস সোবহান সিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছানুযায়ী তার বিশেষ সহকারীর পদে হানিফের নিয়োগ আদেশটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মাহবুব-উল-হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, আমি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর পদটি লাভজনক হওয়ায় আমি নিজেই পদত্যাগের জন্য আবেদন করেছিলাম। সেই অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
হানিফের অপসারণে কুষ্টিয়ায় মিষ্টি বিতরণ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারীর পদ থেকে অপসারণ করায় মিষ্টি বিতরণ করেছে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগ। এই ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে। এক পক্ষ মিষ্টি বিতরণ করলেও অন্যপক্ষ রয়েছেন নিশ্চুপ। মিষ্টি বিতরণকারী আওয়ামী লীগ নেতাদের এক অংশ বলেছেন, নেত্রী এতদিনে একটা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যা আরো আগেই নেয়া উচিত ছিল। কুষ্টিয়া-১ আসনের এমপি আফাজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার ওপর যে দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন তা পালন করতে গিয়ে নিশ্চয় এমন কোনো ত্রুটি নেত্রীর কাছে ধরা পড়েছে যে কারণে আজ তিনি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি হানিফের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটা লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি পৌর মেয়র আনোয়ার আলী বলেন, আসলে প্রধানমন্ত্রী এতদিনে বুঝেছেন যে তিনি অপাত্রে ঘি ঢেলেছেন। তাকে অপসারণের ফলে এতদিন ধরে কুষ্টিয়া আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের ত্যাগী ও নিষ্ঠাবান নেতাকর্মীরা যারা অবহেলা ও বঞ্চনার ফলে নিষ্ক্রীয় ছিল তারা নতুন করে দলের কর্মকা-ে উৎসাহী হয়ে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভূমিকা রাখতে পারবে। কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগ’র সাধারণ সম্পাদক আজগার আলী জানান, আগামী সংসদ নির্বাচনে তিনি একজন প্রার্থী হিসেবে যাতে সঠিকভাবে কাজ করতে পারেন সেজন্য তিনি নিজেই দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নিয়েছেন। তিনি অপসারিত হয়েছেন; একথা ঠিক নয়। এ ঘটনার কারণে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তেমন কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। গত ৯ অক্টোবর গণভবনে আটটি জেলার নেতাদের বৈঠকে কুষ্টিয়ার দলীয় মনোনয়ন নিয়ে মিরপুর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল আরেফীন এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী বদল করে মাহবুব উল আলম হানিফকে মনোনয়ন দেয়ার অনুরোধ জানালে তা নাকচ করে দেন প্রধানমন্ত্রী। এক পর্যায়ে হানিফ দলীয় সভানেত্রীর সঙ্গে তর্কে জড়ান।
বরিশালে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
বরিশাল ব্যুরো : প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়ায় গত সন্ধায় বরিশাল মহানগরীতে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রীয়া লক্ষ্য করা গেছে।
বিএনপিসহ বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে স্বাভাবিকভাবেই এঘটনাকে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ইতিবাচক বলে বর্ণনা করা হয়েছে। বরিশালে বিএনপি নেতৃবন্দ এক তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় মাহবুব উল আলম হানিফের এ পদস্খলনকে তার অতিকথনের জন্য অনিবার্য ছিল বলে মন্তব্য করা হয়েছে। অপরদিকে মহাজোটের বিভিন্ন শরিক দলের একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন ‘গত কয়েক বছরে দ্রুত যাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে, তাদের মধ্যে হানিফ ছিলেন অন্যতম। তার মত অপরিপক্ক কথিত নেতাকে এত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়া ছিল বড় ভূল’ বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে। তবে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের তরফ থেকে এবিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।