পৌছেই দেখি ক্যামেরাম্যান (হাতে ছিলো মস্ত এক ক্যামেরা) আর ফয়সাল বাংলাদেশ খোশ গল্পে মশগুল।
তার কিছুক্ষণ পর আসলো রাতমজুর। ব্যানারসি শাড়ীর কাপড়ে তৈরি ফতুয়াতে ভালৈই লাগতাছিলো নানারে।
কিছুক্ষণের মধ্যেই ঝকঝকে মাথা নিয়ে হাজির হলেন কৌশিক দাদু। দাদুর ঐতিহাসিক হাসি অনেক কিছুই ইংগিত করতেছিলো, তয় জ্ঞান স্বল্পতার কারণে ধরতে কষ্ট হচ্ছিলো।
অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভঙ্গ করে প্রথমবারের মতন সাধারণ মানুষের বেশে হাজির হলেন রাষ্ট্রপ্রধান, ওনার আচমকা আগমনে পাবলিক লাইব্রেরীর দরজা জানালা থরথর শব্দে স্যালুট জানাচ্ছিল।
হের পর আসলো দ্য গ্রেট জেডা শ।মসীর। ওনার খোমায় ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছিলো এবং তাহাতে চমৎকার ঝিলিক খেলা করতেছিলো। (ঝিলিকের পেছনের রহস্য বুঝতাম পারি নাই? )
তারপর এলেন ছোট মির্জা সাহেব। বেচারা দুইমাস ধরে চিক্কুর পারতেছে, কিন্তু অত্যাচারী মডু তারে কিছুতেই ছাড়তেছে না। আফসুস।
এরপর এলেন আইরিন সুলতানা আপু আর তার সাথে ছিলো তাজুল ইসলাম মুন্না।
তারপর উপস্থিত হলেন বৃত্তবন্দী (যদিও বরাবরের মতন অন্য পরিচয়ে আত্মগোপনের চেষ্টা চলছিলো, কিন্তু শেষ রক্ষা তার কভু হলো না)
কিছুক্ষণের মধ্যেই পিয়াজু আর আলু ভাজি (ফ্রেঞ্চ ফ্রাই) হাতে উপস্থিত হলেন কালপুরুষ।
তারপর একে একে উপস্থিত হলেন জিসান শা ইকরাম (সম্পর্কে আমার মামা লাগে), রাজসোহান (সম্পর্কে আমার ছুডু ভাই লাগে), কথক পলাশ (হে হে ভাইজান আমার মিতা লাগে), নাহোল, মাহবু১৫৪, জসিম সহ আরও অনেকে।
আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে খাওয়া-দাওয়া চলছিলো। চলছিলো ক্যামেরার ক্লিক।
অনেকক্ষণ পর হাজির হলেন অন্যমনস্ক শরৎ। দাদারে আগের থেইক্কা একটু শুকনা শুকনা লাগতাছিলো (মনে অয় আমি মোডা হৈছি হের জন্যই)
এবং আড্ডার ঠিক শেষ মুহূর্তে এলেন কবীর চৌধুরী।
আড্ডা শেষ হলো ৮.১৫ টার দিকে।
আড্ডায় যাদেরকে মিস করছিলাম :
সুনীল সমুদ্র, দূর্ভাষী, একরামুল হক শামীম, রোহান, শফিকুল ভাই, মুহিব ভাই, মিলটন ভাই, তাজা কলম, পল্লী বাউল, শ্রাবনসন্ধ্যা আপু, কাব্য, শান্তির দেবদূত, নীল ভোমরা, গুরুজী, একলোটন, দুখী মানব।
পরের পোষ্টে আড্ডার ছবি দিমুনি।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:৩৫