গল্পগুলো ছোট, স্বপ্নগুলো বড়। ভাবনাগুলো একান্ত।
মাঝে মাঝে গল্প লিখতে ইচ্ছা করেনা কিন্তু পড়তে ইচ্ছা করে। মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে শুধুই ভাবতে। অন্যের সমালোচনা করতে পছন্দ করেনা এমন মানুষ বিরল আমিও এর ব্যতিক্রম নই বা ব্যতিক্রম হওয়ার চেষ্টাও করিনা। সমালোচনার যে দিকটা আমার সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগে সেটা হলো অন্যকে উদাহরন হিসাবে টেনে সমালোচনা করা। যেমন বলা হয় ওমুক এটা করছে তাহলে তমুক সেটা করতে পারবে না কেনো। স্টিকি পোষ্টে আমি খুব একটা ঢুকি না কারন পোষ্টটির গুরুগম্ভিরতার জন্য। আজ সারা সন্ধ্যা ব্লগে থেকে দেখলাম সেটাকে সরিয়ে অন্য কিছু স্টিকি করে পোষ্ট আসছে। আমার কথা হলো গুরুত্ব সবকিছুর ই আছে, টিপাইমুখের কিংবা রোজলীনের বিশয়ে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলে মুক্তিযুদ্ধকে অবহেলা বা হেয় করার অধীকার আমাদের কারো নেই। এ দেশটা আমারা পেয়েছি মুক্তিযুদ্ধের কল্যানেই, এ দেশকে নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি ঐ একটি কারনেই। টিপাইমুখকে গুরুত্ব দিতে যেয়ে মুক্তিযুদ্ধকে হেয় করতে হবে কেনো?? শুধুমাত্র টিপাইমুখ নিয়ে আলোচনা করলে বাধা কোথায়, সামুতে এ নিয়ে এর আগে স্টিকি হয়েছিলো তাই বলে আমি বলছিনা আর স্টিকি করা যাবেন। কিন্তু কথা হলো টিপাইমুখকে স্টিকি করার কথা বলতে যেয়ে অন্য একটা পোষ্টকে হেয় করতে হবে কেনো। জিনিসটা এরকম দাঁড়ায় যে, ক্ষমতায় থাকাকালিন হাসিনা এবং খালেদা বলে "এ দেশের মানুষ অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো আছে"। ক্ষমতায় না থাকাকালিন সময়ে বলে "চরম দুঃসময়"। তবে তারা উভয়েই বিরোধী দলে থাকার সময় সত্য বলে। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা এই যে আমরা নিজেদেরকে সমালোচনা করতে শিখিনি এমনকি নিজেদের সমালোচনা শুনতেও।
ছোট ছোট কিছু চিন্তাধারা অনেকদিন ধরেই ঘুরছিলো সেগুলো লিখে রেখেছিলাম কিছু, কিছু ছিলো মনে কিছু ভুলে গিয়েছি। ভেবেছিলাম অনেকগুলো একসাথে করে একটা পোষ্ট দেবো কিন্তু এখন পোষ্টটা ঘুরে গেলো অন্যদিকে।
পরাজিত সময়
সময়কে পরাজিত করার অভিলাষ নিয়ে সবাইকে পিছনে ফেলে আমি যখন ফিনিশিং লাইনের কাছাকাছি পৌঁছে অতিউতসাহে পিছনে ফিরে তাকালাম, দেখলাম সময় পরাজিত কিন্তু বিবর্ণ।
পুনর্বাসন কেন্দ্র
রজনী’র নিস্তব্ধতাভঙ্গকারী একটি চিতকার। একটি জারজ লাশ।
পুলিশের কাস্টডিতে রূঢ় জিজ্ঞাসাবাদ। একট ফোনকল। ঘৃণিত ব্যক্তির ফুলস্বজ্জিত মুক্তি।
একটি গাড়িতে লাল সবুজ পতাকা। পুলিশের প্রহরায় এগিয়ে যাওয়া, পিছনে ফেলে অতীত।
চক্রঃ
পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা!!
ব্যবসায়ীঃ
বিনিয়োগঃ অঢেল টাকা এবং কিছু আবেগ।
মুনাফাঃ কয়েকটা বছর নিশ্চিন্তে অন্যায় করার ক্ষমতার বৈধতা।
ক্রেতাঃ
বিনিয়োগঃ আবেগ এবং টাকার জালে আটকা পড়ে অবহেলিত সিলের ব্যবহার।
মুনাফাঃ জীবনের অনিশ্চয়তা এবং শোষিত হয়ে গালাগালি করার অপূর্ব সুযোগ। পরবর্তি পরিবর্তনের অপেক্ষা।
দর্পণঃ
সারা সন্ধ্যা অন্য কোথাও অন্য কারো সাথে ফূর্তি শেষে বাসায় ফিরে গভীর রাতে স্ত্রীর পাশে শুতে যেয়ে স্ত্রীর গায়ে হাত লেগে যাওয়ায় নিদ্রাজনিত কন্ঠে স্ত্রী “বেবি! নো মোর টুডে!!!”
সরল রেখাঃ
জীবনকে সরল রেখার মত সোজা মনে হয় তোমার কাছে??
তাহলে বলবো সরল রেখাটাকে একটু খুব কাছ থেকে দেখতে। কি!! দেখতে পাচ্ছো? সরল রেখা আসলে অনেকগুলা বিন্দু এবং শূণ্যস্থানের পাশাপাশি সুসৃঙ্খ্যল অবস্থান।
আনন্দঃ
একটি পার্টি কিংবা বন্ধুদের সাথে ক্ষনিক আড্ডা।
স্থানঃ কোনো এক দামি নিরিবিলি চাইনিজ রেস্তোরা/ব্যস্ত শহরের মাঝারি মানের রেস্টুরেন্ট/ফুটপাতের পাশে সস্তা ভাতের হোটেল
বিলঃ ছয়হাজার টাকা, বখশিস একশত টাকা/পাঁচশত টাকা, বখশিস বিশ টাকা/একশত টাকা, বখশিস নেই
লাভঃ আনন্দঘন সময় পার
সবকিছুর পার্থক্য করা গেলেও আনন্দের পার্থক্য করা যায়না।