somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সূর্যগ্রহণকে ঘিরে পরিবেশ অধিদফতর, অনুসন্ধিৎসু চক্র এবং কথিত সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিকের নেতিবাচক ভূমিকা

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত ১৫ জানুয়ারি ২০১০ বাংলাদেশের বিজ্ঞান আন্দোলনের জন্য ছিল একটা অশুভ-দিবস! অথচ বাংলাদেশের বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে ওই দিনটিই আরও একটা উল্লেখযোগ্য দিবস হিসেবে পরিগণিত হতে পারতো। মহাজাগতিক একটি বিরল ঘটনা বলয় সূর্যগ্রহণের লগ্ন ছিল দিনটি। প্রতিদিন এমন লগ্ন আসে না, আবারও ৬৪ বছর পর বাংলাদেশ থেকে সূর্যের বলয় গ্রহণ দেখা যাবে। ওই গ্রহণটি বাংলাদেশ থেকে পর্যবেক্ষণের জন্য সবচে সুবিধাজনক স্থান ছিল দক্ষিণ-পূবে অবস্থিত সেন্টমার্টিন দ্বীপটি, সে কারণেই কিছু সংখ্যক উৎসাহী বিজ্ঞানকর্মী ওইদিন সেখানে জমায়েত হয়েছিলেন। কিন্তু পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অবিমৃষ্যকারীতা, একটি পত্রিকার নেতিবাচক প্রচারণা আর বিজ্ঞান আন্দোলনের কর্মী নামধারী কতিপয় চক্রান্তকারীদের যৌথ তৎপরতার ফলে দিনটি বলয় সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণের দিনের বদলে পরিণত বিজ্ঞান আন্দোলনের ওপর অশুভ শক্তির গ্রহণ-কালে।
সেইদিন বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন, বিজ্ঞান জাদুঘর, ডিসকাসন প্রজেক্ট, স্কাই ওয়াচার্স এর কর্মীসহ আরও যারা সেন্টমার্টিন দ্বীপে সূর্যগ্রহণ দেখতে গিয়েছিলেন, পরিবেশ রক্ষা’র নাম করে পুলিশ, কোস্টগার্ড আর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদেরকে আকাশের দিকে টেলিস্কোপ মেলতে দেয়নি। এমনকি, আগের রাতে সূর্যগ্রহণ দেখতে আসা বিজ্ঞানকর্মীদের পুলিশ আর কোস্টগার্ড খুঁজে বেড়ানোর পাশাপাশি ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছে! সবচে বড় কথা, পরিবেশ অধিদফতর সেন্টমার্টিন দ্বীপে সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করা হলে দ্বীপের প্রতিবেশগত ভারসাম্য বিনষ্ট হবে, এই মর্মে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে বিজ্ঞান আন্দোলনের কর্মীদের সেখানে সূর্যগ্রহণ দেখার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তারও আগে একটি জাতীয় দৈনিক (যারা সব ভালো কাজের সাথে থাকার দাবী করে) দ্বীপে বিজ্ঞানকর্মীদের আগমন সেখানকার পরিবেশ নষ্ট করবে বলে প্রচরাণা করে জনগণের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে এই পর্যবেক্ষণ বন্ধ করার জন্য। আর বিজ্ঞান আন্দোলনে যুক্ত বলে কথিত, একটি সংগঠন অনুসন্ধিৎসু চক্র নামধারী স্বার্থান্ধ একটি চক্র পুরো তৎপরতার পেছনে ইন্ধন যুগিয়েছে।
আর এর ফলাফল হলো, ওই দিন দ্বীপে আসা কয়েক হাজার সাধারণ পর্যটক প্রতিদিনকার মতই দ্বীপে বেড়িয়েছেন, কেউ কেউ হয়তো অসচেতন ভাবে প্লাস্টিকের বোতল ও অন্যান্য বর্জ্য যত্রতত্র ফেলেছেন, আর দ্বীপে যাওয়া বিজ্ঞান আন্দোলনের কর্মীরা প্রায় লুকিয়ে সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করেছেন। অন্য আর সকল পর্যটকদের সাথে ওইদিন সূর্যগ্রহণ দেখতে যাওয়া বিজ্ঞানকর্মীদের পার্থক্য ছিল এই কেবল, তারা নিছক পর্যটক নন, তাদের সাথে ছিল সূর্যগ্রহণ দেখার জন্য টেলিস্কোপ ও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক সরঞ্জামাদি। তারা বিজ্ঞানকে ভালবাসে, বিজ্ঞানচর্চার সুবাদেই এই গ্রহের প্রাণের অনন্যতা সম্পর্কে সচেতন। সচেতন দেশের নাজুক পরিবেশ নিয়ে। সঙ্গতকারণেই তারা সেন্টমার্টিন দ্বীপের গুরুত্ব বিষয়েও সজাগ, অবহিত। কিন্তু কর্তৃপক্ষ দ্বীপের পরিবেশ রক্ষার নাম করে এই বিজ্ঞান আন্দোলনের সচেতন কর্মীদেরই বাধা দিয়ে দ্বীপের প্রতিবেশ রক্ষায় তাদের কর্তব্য সম্পন্ন করলেন।
বাংলাদেশের বিজ্ঞান আন্দোলনের ইতিহাসে সঙ্গতকারণেই এই দিনটি একটি অশুভ দিবস হিসেবে পরিগণিত হবে। এর আগে সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণের ওপর এই রকম অদ্ভুত, অবিবেচক নিষেধাজ্ঞা পৃথিবীর কোথাও আমরা দেখিনি। সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণের সাথে পরিবেশগত ভারসাম্য বিনষ্টির হাস্যকর যোগসূত্র আবিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ ও কায়েমি স্বার্থবাদী গোষ্ঠী নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থরক্ষায় প্রকারান্তরে বাংলাদেশের বিজ্ঞান আন্দোলনের মূলেই কুঠারাঘাত করলেন।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপটি পরিবেশগত বৈচিত্রের দিক দিয়ে অনন্যতার কারণেই বাংলাদেশের সম্পদ। সা¤প্রতিককালে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি, জনবসতির বৃদ্ধি, লাগামহীন পর্যটন বাণিজ্যের হোটেল-মোটেল নির্মাণ এবং বর্জ্য নিক্ষেপের কারণে দ্বীপটির প্রতিবেশগত ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে, এটা সকলেই জানেন। এই প্রবালদ্বীপটি বিপন্ন হলে তা বাংলাদেশের জন্য শুধু না, গোটা বিশ্বের জন্যই হবে অপূরণীয় ক্ষতি। আমরাও মনে করি, এই দ্বীপের ভারসাম্য টিকিয়ে রাখার জন্য এদিকে কঠোরতর ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার, অন্যদিকে প্রয়োজন জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি।
কিন্তু সূর্যগ্রহণ দর্শনের সাথে এই দ্বীপের পরিবেশ বিপন্ন হবার কি আদৌ কোন সম্পর্ক আছে? আদতেই তা নেই। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক এই দ্বীপে ভ্রমণ করেন, তাদের অধিকাংশই আলাদা করে দ্বীপটির পরিবেশগত স্পর্শকাতরতা সম্পর্কে সচেতন নন। ফলে তাদের কেউ কেউ দ্বীপের যত্রতত্র প্লাস্টিকের বোতল ও অন্যান্য বর্জ্য নিক্ষেপ করেন, মূল্যবান প্রবাল-পাথর সঙ্গে করে নিয়ে আসেন। দ্বীপটিতে গড়ে উঠেছে অপরিকল্পিত বহু অবকাঠামো। আমরা তো মনে করি, অবিলম্বে দ্বীপটিকে জাতীয় সম্পদ ঘোষণা করে সেখানে অপ্রাকৃতিক কাঠামো নির্মাণ বন্ধ করে দেয়া উচিত। দ্বীপে প্রতিদিন কত পর্যটক আসতে পারবে, তার সংখ্যাও নির্ধারণ করে দেয়া আবশ্যক।
কিন্তু অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশনের কর্মী ও শুভানুধ্যায়ী হিসেবে যারা ওইদিন সূর্যগ্রহণ দর্শন করতে গিয়েছিলেন, তারা বিজ্ঞান আন্দোলনের কর্মী, একই সাথে তারা পরিবেশ রক্ষায় সচেতন, সমাজের বুদ্ধিবৃত্তিক ও সৃজনশীল চর্চায় নিয়োজিত। তাদের মাধ্যমে ওই দ্বীপের পরিবেশগত ক্ষতি হবার ন্যূনতম কারণ যেমন একদিকে নেই, অন্যদিকে সমাজের মাঝে প্রতিবেশগত সচেতনতাবৃদ্ধির কাজে নিয়োজিত সৃজনশীল কাজে সক্রিয় ব্যক্তিদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার মাধ্যমেই কেবল গোটা দেশের নাগরিকদের মাঝে এই বিষয়ে আগ্রহ বৃদ্ধি করা সম্ভব। তাই কর্তৃপক্ষ প্রবাল-দ্বীপসহ বাংলাদেশের যে কোন প্রতিবেশগত স্পর্শকাতর এলাকা প্রসঙ্গে সচেতনতা বৃদ্ধিতে আন্তরিক হলে তাদের দায়িত্ব হবে অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন এর মত সংগঠনগুলোকেই এই কাজে সস্পৃক্ত করা, তাদেরকে এই এলাকাগুলোতে আরও বেশি সৃজনশীল আয়োজনে উৎসাহ দেয়া এবং এর মাধ্যমে আরও বেশি মানুষকে পরিবেশ রক্ষায় উদ্ধুদ্ধ করা।
গণমাধ্যমের বড় অংশই দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখলেও সর্বাধিক প্রচারিত বলে কথিত দৈনিকটির নেতিবাচক ভূমিকা এবং একই সাথে সুবিধাবাদী-স্বার্থান্বেষী অনুসন্ধিৎসু চক্র নামধারী বিজ্ঞান সংগঠনটির কক্সবাজারে বলয় সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণের ছবি ও সংবাদ ছাপা- সেন্টমার্টিনে বিজ্ঞানকর্মীদের নিগ্রহের সংবাদটি বেমালুম গোপন করা থেকে বোঝা যায়, তার ভূমিকা শুধু যে নিরপেক্ষ ছিল না তাই নয়। তারা নিজেদের বিপুল প্রচারসংখ্যা আর প্রভাবকে বিজ্ঞান আন্দোলনের কর্মীদের হেনস্তা করার কাজে ব্যবহার করেছে।
এখানে আমরা বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশন এবং এর ধারাবাহিকতা সম্পর্কে কিছু বলতে চাই। বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশনের জন্ম ১৯৮৮ সালে। এর সবচে বড় অর্জন মহাকাশ বার্তা নামের একটি মূলত জ্যোতির্র্বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকা নিয়মিতভাবে প্রকাশ করা। মহাকাশ বার্তার ৫৫ সংখ্যা এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে, বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে বিজ্ঞান, বিশেষ করে জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ে উৎসাহী করে তোলায় ভূমিকা রাখতে পারাটা মহাকাশ বার্তার একটি বিরাট অর্জন। এছাড়া এসোসিয়েশন বাংলাদেশে প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে প্ল্যানেটোরিয়াম নির্মাণের সাফল্য অর্জন করে। বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার এর নির্মাণ কাজে এসোসিয়েশনকে সরকার উপদেষ্টা হিসেবে মনোনীত করে তার ভূমিকার স্বীকৃতি দিয়েছিল। নিয়মিতভাবে আকাশ দেখা কর্মসূচির মাধ্যমে এসোসিয়েশন জনগণের মাঝে জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়টিকে জনপ্রিয় করার কাজটি নিরলস ভাবে করে আসছে। এছাড়া, সূর্যগ্রহণ, ধূমকেতুর আগমন, উল্কাপাত প্রভৃতি মহাজাগতিক সকল ঘটনাতেই এসোসিয়েশন দেশের নানান স্থানে একযোগে ক্যাম্প করে পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করে। শুধু তাই নয়, এ সকল কর্মসূচির সাথেই সহজবোধ্যভাষায় এর কার্যকারণ ব্যাখ্যা করার মাধ্যমে একদিকে মানুষের মাঝে উৎসুক্য ও সচেতনতা বিস্তারের দিকে লক্ষ্য রাখা হয়, একইসাথে প্রচলিত অনেক কুসংস্কার দূর করতেও ভূমিকা রাখে এসোসিয়েশন। এই ঢাকা শহরেও এক সময় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ সূর্যগহণের সময় দরোজা-জানালা বন্ধ করে বসে থাকতেন, খাদ্য গ্রহণ করতেন না। এসোসিয়েশনের কর্মীরা ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে সূর্যগ্রহণ যে একটা স্বাভাবিক প্রাকৃতিক ঘটনা, নিরাপদে পর্যবেক্ষণ করার নিয়ম অনুসরণ করলে আশঙ্কার কিছু নেই, তা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন। এই সক্রিয়তার ধারাবাহিকতাতেই গত পূর্ণসূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণে এসোসিয়েশনের উদ্যোগে বাংলাদেশের ২৪টি স্থানে সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প করা হয়, সেখানে উৎসাহী পর্যবেক্ষকদের জন্য সংগঠনের তরফ থেকে বিশেষ চশমা সরবরাহ করা হয়। এছাড়া এসোসিয়েশনের উদ্যোগে পহেলা জানুয়ারি সূর্যোদয়ের প্রথম লগ্ন উদযাপনের লক্ষ্যে আয়োজিত সূর্যউৎসব প্রতিবছরই অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এসোসিয়েশন জাতীয় স্তর ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করে আসছে। এসোসিয়েশনের উদ্যোগেই বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অ্যাস্ট্রোনমি অলিম্পিয়াডে অংশ নেয়া শুরু করে এবং এসোসিয়েশন এই কাজটি অব্যাহত রেখেছে। প্রতিবছরই সারাদেশে শিক্ষার্থীদের মাঝে বয়স ভিত্তিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করে সারা দেশ থেকে অলিম্পিয়াডের জন্য প্রতিযোগী বাছাই করা হয়। বাছাইকৃত প্রতিযোগীদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও আয়োজক দেশে যাওয়া আসার সকল বন্দোবস্ত এসোসিয়েশন নিজের উদ্যোগে করে থাকে। এই অংশগ্রহণ একদিকে যেমন সারাদেশে বিজ্ঞানচর্চাকে তৃণমূল স্তরে জনপ্রিয় করেছে, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক স্তরে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার কাজটি করেছে।
এসোসিয়েশন ছাড়াও ওইদিন যারা সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণে গিয়েছিলেন, তাদের মাঝে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর রীতিমতো সরকারি প্রতিষ্ঠান, আর এই ধরনের বিরল মহাজাগতিক ঘটনা পর্যবেক্ষণ তাদের সরকারি দয়িত্বও বটে! কিন্তু অতি উৎসাহী পরিবেশ অধিদফতর আর পুলিশ-কোস্টগার্ড তাদেরকেও পর্যবেক্ষণে বাধা দেয়। ডিসকাসন প্রজেক্টও একটি সক্রিয় বিজ্ঞান সংগঠন, দর্শনীর মাধ্যমে বিজ্ঞান-বক্তৃতা সিরিজের মাধ্যমে তারা দেশব্যাপী বিজ্ঞান আলোচনাকে জনপ্রিয় করায় বিশাল ভূমিকা রেখেছেন। এছাড়া ছিল চট্টগ্রামভিত্তিক স্কাই ্ওয়াচার্স সংগঠনটি, এরা আঞ্চলিক পর্যায়ে মহাকাশ বিজ্ঞানচর্চাকে বিস্তৃত করে আসছেন।
তাই আমরা অবিলম্বে উচ্চতর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে পরিবেশ অধিদফতরের কারা কারা এই নিষেধাজ্ঞা জারির পেছনে তৎপর ছিলেন, তা খুঁজে বের করার দাবি জানাই। ভবিষ্যতে এ ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে তাদেরকে বিরত রাখার নির্দেশ দেয়ার জন্যও সরকারের কাছে আমরা দাবি জানাচ্ছি। আমরা একই সাথে অধিকাংশ জাতীয় সংবাদ মাধ্যমকে ধন্যবাদ জানাই যথাযথ সংবাদ প্রদান করার জন্য। আমরা আশা করছি সংশ্লিষ্ট পত্রিকা ও যথাযথ কতৃপক্ষ বিজ্ঞানকর্মীদের কাছে ভুল স্বীকার এবং দুঃখ প্রকাশ করার মাধ্যমে বিজ্ঞানচর্চার পথে যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন, তা অপসারণ করবেন।
গণমাধ্যম ও কর্তৃপক্ষের ক্ষমতার প্রদর্শনী ও হঠকারিতা যেন আর কোনদিন বাংলাদেশে সৃজনশীলতার চর্চায় বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, এটাই আমাদের আজকের দাবি।
১৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩২



"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমিত্ব বিসর্জন

লিখেছেন আজব লিংকন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৮



আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।

"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×