সেসব যন্ত্রণা দেয়া বন্ধুরা এখন যে যার কাজে ব্যস্ত। নিয়মিত যোগাযোগ হয় মোবাইলের সৌজন্যে। মিতু (মোটার কারনে যাকে আমরা পরোটা বলে ডাকতাম) তিতুমির কলেজের মাস্টার, মায়া গৃহিনী, অটল সিটি ব্যাংকে, বাবুজি বাইং হাউজে, এরা সবাই ঢাকায়। মারুফা প্রাইমারি স্কুলের মাস্টার, শেরপুরে। পারভীন (আমার ছোটদি) জামাই নিয়ে আমেরিকার ক্যালিফোর্ণিয়ায়। লাইলি বুটিক শপের মালিক, রিনি গানের শিক্ষক, অশোক সরকারি চাকুরে, কুমিল্লায়। শিরিন আমাদের ঘরের সেজো বৌ, ঢাকায়।
২০০০ সালে বাবাশুদ্ধ পুরো পরিবার শিফট করে ঢাকায়। সে বছরই আমাদের ছেলে রোদ্দুরের জন্ম হয়। ৯৮ সালে হার্টের অসুখে মারা যান আমার শ্বশুর। আমরা ৬ ভাই বোনই এখন ঢাকায়। বড় বোন ব্যাংকে। বড় ভাইয়া এবং ছোট ভাই মিলে একটা বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন। এক সময়ের তুখোড় লেখিকা ছোট বোন বাংলায় পড়াশুনা শেষ করে এখন তার ২ রাজকন্যাকে নিয়ে ব্যস্ত। লেখাজোকা ছেড়েই দিয়েছে প্রায়। গেলো দু বছরে ওর দুটো বই বেরিয়েছে একুশের মেলায়। রাজকন্যাদের বাবা দেশ টিভিতে কাজ করছেন। সামুর ব্লগার। আমাদের যন্ত্রণা পরিবারের পরবর্তী প্রজন্মরা হচ্ছে (ক্রমানুসারে) : তূর্য- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর ছাত্র, অগত্যা- এ বছর অনার্সে ভর্তি হলো, শান আর প্রত্যু কলেজে, আদদ্বীন ৪ ক্লাসে, রোদ্দুর ৩ ক্লাসে, অন্যতমা ২ ক্লাসে, বর্ণমালা, স্পর্শ আর আব্দুল্লাহ আগামী বছর থেকে স্কুলে যাওয়া শুরু করবে। আমাদের যন্ত্রণা পরিবারের বর্তমান মোট সদস্য সংখ্যা : ১৮ জন। সব কিছু ভালো থাকলে আগামী বছরের শুরুতে আশা করা যাচ্ছে এ পরিবারের সদস্য ২০ এ দাঁড়াবে।




