আজও তোর ঐ সাত তলাটা
হাতছানিতে ডাকে।
আমি তখন নাপাত্তা ভাব ধরি
ভাবটা যেন লক্ষ্য করিনিতো -
এটাই যেন আমার মতে বিজ্ঞজোনোচিত।
নইলে জানি নতুন করে তোকে
কাব্যে এনে আবার আমায় মাথায় তুলতে হবে।
আমি মাথায় চাইনা তুলতে, তাই
উল্টো দিকে মুখ ফিরিয়ে পথ পেরিয়ে যাই,
কিংবা যখন গাড়িতে পথ চলি,
তড়িঘড়ি ড্রাইভারকে বলি; ভাই
এবার থেকে অন্য পথে যেও
যেই গলিতে ঠিক এমনি সাততলাটা নাই।
কত শত উঠলো নতুন বাড়ি,
দোকানপাটে ভরলো পথের ধার-
তবুও কেনো ঢাকলোনা তোর বাড়ি?
তোর বাড়িটা দেখতে চাইনা আর ।
এবার মোরে রক্ষা করো প্রভু,
মনের সাথে চোখেরও দাও আড়ি।
যেন আমি আনন্দে প্রাণখুলে
এপথটুকু দিতে পারি পাড়ি।
এবার তুমি বন্ধ করো স্মৃতির কুঁড়ি জাগা
ঐ বাড়িটার কাছে কি আর আমি?
প্রকাশ করি আমার ভালো লাগা?
হে সুদূরের বন্ধু পরবাসী
তুমি যখন মেঘের ফাঁকে ফাঁকে
খোঁজো কোনো রঙ্গীন সুতোর ঘুড়ি
আমি তখন দুহাতে চোখ ঢেকে
সেই ঘুড়িটার বিদায় ভালোবাসি।
(নির্মলেন্দু গুণের বিদায় কৃষ্ণচূড়া পড়ে প্রভাবিত হয়ে লেখা
