ভাঁড়ামি যে কোন্ পর্যায়ে চৈলা গেছে, অপরবাস্তব নামক চটি বইটার লেখক লিস্টিত চোখ বুলাইলে বুঝা যায়।
সবাইরে খুশি করার আশঙ্কাজনক এক্টা প্রবণতা লক্ষ্যণীয়। সংক্ষেপে এইটার নাম বাণিজ্য। আমরা এই বাণিজ্যের নাম দিতে পারি মুদিবাণিজ্য। তারপরও সবকিছু দেইখাশুইনা মনে হৈতেছে, মনে এক্টা আফসোস হৈতেছে, ধান্ধা করার লিগা অপরবাস্তব সম্পাদকমন্ডলীরে অতটা নিচে না নামলেও চলতো। কৌশিকরা চাইলে তাদের সাহায্যার্থে এক্টা তহবিল গঠন করা কোন ব্যাপার ছিল না এই ব্লগে। কিন্তু আগে চাইতে ত হৈব? সিডরের পরে ব্লগে কি আমরা মেসেজ পাঠায়া সাহায্য দিই নাই?
আসলে বহুদিন থিকা দেখতেছি, বইমেলার এইটা এক্টা চিরকালীন সমস্যা। পাগল-ছাগল সবাই ছাপার অক্ষরে নাম দেখতে চায়। তারপর হাতে-পায়ে ধৈরা, নাটক মঞ্চস্থ কৈরা তারা বই বেচতে চায়। যন্ত্রণার চূড়ান্ত করা আর কি। যাগ্গা।
কথা হৈতেছে, সন্ধ্যাবাতি থাকলে সারওয়ার চৌধুরী থাকবো না কোন্ যুক্তিতে? মিরাজের লেখার এক্টাও কি নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য হয়নি? শওকত হোসেন মাসুমের "সংবাদপত্র জগতের মানুষের গল্প"- কি এমন ভাল লেখা প্রশ্ন তোলন যাইতেই পারে। সম্পাদকমন্ডলীর প্রত্যেক সদস্যই আবার নিজেদের এক্টা কৈরা লিখা তালিকায় ঢুকাইছেন।
মেধার মানটান বিচার কৈরা মনে হৈতেছে, সবচাইতে ভাল হৈত, যদি সম্পাদকমন্ডলী মিলা অষ্টম শ্রেণীর এক্টা নোট বই বের করতেন কিংবা যৌন রসাত্মক গল্প সংকলন।
এই পুস্ট পৈড়া কেউ আবার আমারে ব্যর্থ লেখক কয়েন না। অপরবাস্তবে আমারও এক্টা লিখা দেখতেছি এবং যথারীতি অনুমতি ছাড়াই।
কয়েক্টি মন্তব্য তুইলা দিতেছি এইখানে-
হাসিব বলেছেন:
তীরন্দাজ, উদ্যোগটা ভালোই ছিলো । কিন্তু বই প্রকাশ নিয়ে হাজারো নাটকে ব্যাপারটা বিরক্তির পর্যায়ে নিয়ে যেতে কৌশিক সক্ষম হৈছে । আশা করা যায় এই বিরক্তিটা বইয়ের বিক্রিতেও প্রভাব ফেলবে ।
মাহবুব মোর্শেদ বলেছেন:
অনুমতি ছাড়া আমার লেখা নেয়ার জন্য আমি অপরবাস্তব সম্পাদনা কমিটির উদ্দেশে আমার নিন্দা জানাই। এই নিয়ে অপরবাস্তব আমার সঙ্গে তৃতীয় দফা জালিয়াতি করলো।
ফুললি ফালতু।
মাহবুব সুমন বলেছেন:
অপরবাস্তব নিয়ে অনেক ভাঁড়ামি আপনি করেছেন তবে সেগুলো আমোদের চাইতে বিরক্তির উদ্রেকই বেশী করেছে।
"ব্লগারদের অনুমতি ছাড়া লেখা ছাপানো চৌর্যবৃত্তি ছাড়া আর কিছু না।"
জানার ইচ্ছে করছে ঠিক কজনের অনুমতি নিয়েছিলেন।
বইয়ের সফলতা নিয়ে শংকিত।
আপনি অপরবাস্তব নিয়ে ভাঁড়ামি করেন আর যাই করেন সেটা আপনার ব্যপার, তবে কস্ট হচ্ছে যারা বইটির জন্য অর্থ লগ্নি করেছেন, এবং শুকনো মুখে ঘুরতে হবে তাদের। মাঝ খানে ফালতু লাফালাফি করছেন।
যখন সবাই বই বের করে ফেলেছে তখন আপনি বইয়ের মোড়ক উন্মোচোন করে মুড়ি খাবেন।
ভাঙা মেলায় কে কিনবে এ বই?
এ ধরনের বই বের করে খরচ না করে সে টাকা চ্যারিটিতে দিলে অনেক ভালো হতো।