

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে গতকাল দেশব্যপী বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ফেসবুকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহন করার পোস্টগুলো দেখে মনে একটা শংকা তৈরী হয়েছিল যে, এই উপলক্ষে আবারো একটা ঝামেলা হবে দেশে। হয়েছেও তাই। বিক্ষোভ মিছিলের সুযোগ নিয়ে সুযোগসন্ধানীরা বাটা, কে এফসি সহ বিভিন্ন আমেরিকান কোম্পানিতে ভাংচুর ও লুটপাঠ চালিয়েছে ! তাও আবার সারা দেশব্যপী বিভিন্ন জেলায় এসব দোকানের আউটলেটে। ভাংচুর , লুটপাঠের বিভিন্ন ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোস্যাল মিডিয়ায়। এছাড়াও বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর গুলশানে মার্কিন দূতাবাস এলাকায় মিছিল বের করেন একদল তরুণ। মার্কিন দূতাবাসের সামনের সড়কে অবস্থান নেয় তারা!!

বাংলাদেশকে উগ্র মৌ্লবাদী রাস্ট্র হিসাবে প্রমান করার জন্য মরিয়া একটা দল। সম্প্রতি নিউয়র্ক টাইমসের একটা প্রতিবেদনেও দাবী করা হয়েছে যে , বাংলাদেশে উগ্র মৌলবাদের উত্থান হয়েছে! প্রমান হিসাবে তারা হিজবুত তাহরি নামক একটা নিশিদ্ধ ঘোষিত দলের মিছিলের ছবি প্রকাশ করে! স্বল্প কয়েকজন ব্যক্তি ইংরেজিতে লেখা প্ল্যকার্ড ও আরবি ভাষায় আইসিসের পতাকা নিয়ে বাংলাদেশে কোন উদ্দেশ্যে মিছিল করবে বোঝাটা কঠিন কিছু না। এইসব নাটক দেশে থাকা দুতাবাসগুলো ভালই বোঝে। কিন্ত এই বাটা বা কে এফসি ভাংচুরের ঘটনা কিন্ত আমাদের দেশের ইমেজের জন্য খুবই খারাপ হল। অন্তবর্তী সরকারের সতর্ক থাকা উচিত ছিল। সারা দেশব্যপী পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতেয়েন করা দরকার ছিল। কেন তারা করেনি এটা একটা বিড়াট প্রশ্ন। দুতাবাসগুলো বিশেষ করে আমেরিকান এম্বেসি এই ঘটনা কিভাবে নেয় সেটাই চিন্তার বিষয়। একদিকে ট্রাম্প এর ৩৭% শুল্ক আরোপ এবং এই সময়েই এসব ঘটনা বাংলাদেশের ইমেজের জন্য ইতিবাচক নয় একেবারেই। এর মধ্যে ডেফোডিল ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষিকা ছাত্রদের ডাবল এবসেন্ট এর ঘোষনা দেয়ায় চাকুরিচ্যূত করা হয়েছে !!! এটা কোন সভ্য রাস্ট্রের লক্ষন ? ক্লাস, পরীক্ষা বাদ দিলে শিক্ষকেরা স্টুডেন্টদের এই জাতীয় ধমকি দিতেই পারে। এটা বেআইনি কিছু নয়। আর এমন কথা বলার মানেই তিনি ইজরাইল এর পক্ষের কেউ হয়ে যায়নি। হয়ত তিনিও আমার মত ভাবছিলেন যে , এই বিক্ষোভ মিছিল দেশের জন্য ভাল কোন ফল বয়ে আনবে না। কিন্ত তাকে ইউনিভার্সিটি কতৃপক্ষ যেভাবে চাকুরিচ্যূত করেছে , তা কোন নিয়মের মধ্যেই পড়ে না।
শুনতে খারাপ শোনালেও বাস্তবতা এটাই যে আমাদের মত দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও আগুন ঝড়া শ্লোগানে ফিলিস্তিনের কোন উপকার হবে না । ইজরাইলকে থামানোর ক্ষমতা রয়েছে কেবল মিডিলইস্টের ধনী দেশগুলোর। আমরা যা করতে পারি তা হচ্ছে ফিলিস্তিনের জন্য ডোনেশন সংগ্রহ করে পাঠানো এবং তাদের জন্য দোয়া করা। এ ছাড়া আমাদের করনীয় আর কিছুই নাই। অন্তবর্তী সরকারের কাছে আবেদন লুটপাঠ ও ভাংচুরে অংশগ্রহন করা সকল সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে সংবাদ সম্মেলনরুন এবং তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করুন। একইসাথে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর ক্ষতিপুরনের ব্যবস্থা করুন।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






