নারীনীতি নিয়া সবচে আচানক লেখটা পর্লাম হামিদা হোসেনের, ত্যক্ত এই মহিলা ঘুরাইয়া ফিরায়াই বললেন, নারীনীতিতে আছেটা কি নারীর জন্য?
তাইতো নারী নীতিতে আছেটা কি যে এর বিরোধিতা করা লাগবে? সাইকেল হাদিস আর মুফতে আমিনীরা তাইলে কেন নামছে মাঠে? হিসাব সোজা। ভোটের বাসকো। আমিনীর খেলা মুফতে আবার খালেদার ট্যাকে যায় বৈলা মন্ত্রী কৈয়াই ফালাইলেন এইটা বিম্পির হরতাল। কারণ অনেকটাই, হরতালে চর্মনাই পীররে দেখা যায় নাই, উনিও তো দেশে ইসলামের বড় জিম্মাদার।
বেশতো। পীর ছাহেব জিম্মাদার যখন, আর বাতাসে যখন জোড় গুজব নারী নীতি নামের কি এক হাওয়াই মিঠাই নাকি দেশে ইসলামরে ভুলায়া ঘুম পাড়ায়া রাখব, যে নারী জাতির তলে থাকার ওপর ধর্মকর্ম সব নির্ভর করে, তারা সব উপরে উঠব ব্যাটাছেলেরে তলে রাইখা, আর বাকি আর সব জিম্মাদাররা যখন তাদের আওয়াজ দিয়া দিসে, পীর ছাহেব কেমনে বৈসা থাকেন?
আমি তার কষ্ট বুঝি। হৈতে পারে তার লগে এইপক্ষের খাতির বেশি, তাই বৈলা তো ধর্মের ট্যাক নিয়া টানাটানি সহ্য করা যায় না! মতিঝিলের জ্যামে আটকা পৈড়া তাই পীর ছাহেবের জন্য আমি আরও কয়েকটা দাবি ভাইবা বাইর করলাম, নারীনীতিতে যেহেতু বিরোধিতা করার মতন কিছুই নাই, এইগুলা উত্থাপন কৈরা আমার ধারণা তিনি সত্যিকারের মুমিন ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন, আর নিশ্চিত যে সাইকেল হাদিস, মুফতে আমিনি প্রমুখের ট্যাক থাইকা কিছু খসাইতেও পারবেন।
প্রস্তাব এক. চার বিয়ার শরীয়তি অধিকার ফিরত চাই। সরকাররে কেডা এখতিয়ার দিল মুমিন মরদের চার বিয়ার অধিকার খর্ব করার? মর্দমুমিনরে চার বিয়ার অধিকার বঞ্চিত করা আর নারীকূলরে চার বিয়ার অধিকার দেয়া আদতে একই কথা। চলবে না, বন্দ কর। অধিকার ফিরায়া দাও।
প্রস্তাব দুই. বিবিরা কাবিননামায় উল্লেখ না থাকলে তালাক দিতে পারবো না। বিবিদের এই অধিকার দেয়া আর মনে মনে পরপুরুষের কথা ভাবা সমতুল্য। পরের কথা না ভাবলে আপনা মর্দারে তালাক দিবার কেন প্রয়োজন পড়ে? আর যে নারী বেশরম, সেই তো কাবিননামায় তালাকের অধিকার উল্লেখ করতে কয়। তারে বিয়া করার দরকার কোন মর্দে মুমিনের নাই।
প্রস্তাব তিন. বেশরিয়তি কাজ কারবার বন্ধ করতে হৈব। পোরতেকটা পাচদশতারা হোটেলে বেলেল্লাপনা বন্ধ করার জন্য আপাতত অন্তত একজন কৈরা বুজুর্গানে দ্বীনরে (অন্তত মুফতি পর্যায়ের) চাকরি দিতে হৈব। অবিলম্বে বাস্তবায়ন করো। (কে কয় মাদ্রাসা শিক্ষার উটিলিটি নাই? জাতির নৈতিকতা ঠিক রাখি আম্রা গেরাম পর্যায়ে, এইবার ্ইটারে ডিওএইচএস-গুলশান পর্য়ন্ত নিয়া যাইতে চাই।)
প্রস্তাব চাইর. প্রতিটা টিভিনাটক রিভিউ কমিটিতে একজন কৈরা দ্বীনদার আলেম রাখতে হৈব, কারন পূর্বোক্ত। অন্তত ফাজিল পর্যায়ের।
প্রস্তাব পাচ. ফারুকী মারুকী সমেত যারা যারা নাটক ফাটক বানায়, অন্তত একটা কৈরা ওলামা চরিত্র রাখতে হৈব। যারা নায়িকাদের দ্বীন শিক্ষা দিব।
প্রস্তাব ছয়... জ্যাম ছুটছে। আমি গেলাম। টা টা। পীরছাহেবরে আমার ছালাম দিয়েন।
পরবর্তীতে যুক্ত, কিন্তু এইটাই পয়লা দাবি: প্রতি শুক্কুরবার ব্যাভিচারীদের পাথর ছুড়ে মারার ব্যবস্থা করুক পল্টন ময়দানে।