রাস্তার একদিকে আন্দোলন, অন্যদিকে ছুটছে যানবাহন। ধ্বংসাত্মক কোনো কার্যক্রমই তাদের নেই। অত্যন্ত সংযমের মাধ্যমে আন্দোলন করছেন সর্বস্ব হারানো শেয়ারবাজারের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা।
রোববার সকালে আমরণ অনশনে যাওয়া এসব বিনিয়োগকারীদের এদিন রাতভর আন্দোলনে যেন একটুও ক্লান্তির ছাপ নেই! ‘লাভ নয়, মূলধন ফেরতে’র আন্দোলনে বদ্ধপরিকর তারা।
পুঁজিবাজারে অব্যাহত দরপতনের প্রতিবাদে আমরণ অনশনরত বিনিয়োগকারীদের সোমবার সকালে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এদিন একইসঙ্গে পুলিশ ১২ জন সাধারণ বিনিয়োগকারীকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে রোববার আমরণ অনশন শুরু করে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
সোমবার সকাল নয়টায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা ডিএসইর মূল ফটকের সামনে জড়ো হয়। ডিএসইর সামনে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এরপর ৯টা ৪০ মিনিটে ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান-উর-রশিদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে মতিঝিল থানায় নেওয়া হয়েছে। তিনি ফোনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি গ্রেপ্তার হয়েছি তো কী হয়েছে, আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’ তিনি বিনিয়োগকারীদের প্রতি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
এর আগে মিজান-উর-রশিদ চৌধুরী জানান, আরও ১১ জন সাধারণ বিনিয়োগকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে তৎপরতা চালাবে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক এটিএম শাহাদাৎ উল্লাহ ফিরোজ বলেন, সকাল পৌনে নয়টার দিকে পুলিশ এসে তাদের চেয়ার ভাঙচুর করে। মাইক সরিয়ে দেয়। এতে বিনিয়োগকারীরা প্রতিবাদ করলে ১০/১২ জনকে আটক করা হয়। যদিও পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে তিনি দাবি করেন।
হায়রে বাংলাদেশ।
View this link View this link