এদেশে প্রতিনিয়ত অনেকগুলো ওয়ার্ল্ড রেকর্ড হচ্ছে। শুধু তথ্যগুলো সঠিক স্থানে গিয়ে পৌঁছোছে না বলে যোগ্যস্বীকৃতি পাচ্ছে না দেশ। সেদিন এমনই একটা অশ্র“তপূর্ব ঘটনা দেখলাম চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের কাউন্টারে।
রেলের টিকেট বিক্রি সাধারণত যাত্রার দশদিন আগে থেকে শুরু হয়। সে হিসেবে ১২ জানুয়ারির টিকেট সংগ্রহের জন্য গত ৩ তারখি সকাল সাড়ে দশটায় কাউন্টারে যাই। গিয়ে শুনি সকালে যে দুটো আন্তঃনগর ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়ে তার সবগুলো (ঢাকার) টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে। মানে মাত্র দেড় ঘন্টায় সব টিকেট হাপিস। গ্রিনিস রেকর্ড বুকসের কর্তৃপক্ষরা এটা জানলে তো রীতিমতো ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের স্বীকৃতি দিয়ে ফেলবে। হাজারের ওপর টিকেট এই দেড় ঘন্টায় কীভাবে বিক্রি হয়ে গেল, জানতে চাইলে কাউন্টারের লোকজন মোবাইলে টিকেট বিক্রির দোহাই দেন। উল্লেখ্য মোবাইলে মাত্র ২৫ শতাংশ টিকেট বিক্রি করা হয়।
অবস্থা বেগতিক দেখে বাসেই যাব বলে স্থির করি।
কিন্তু পরিবারের পীড়াপীড়ি আর নিরাপত্তার কথা ভেবে ৬ জানুয়ারি আবার স্টেশনে যাই। এবার আর কাউন্টারে নয়। কর্তব্যরত রেল কর্মচারীদের সহায়তা চাইলাম। চুক্তি হলো মহানগর প্রভাতীর দেড়শ টাকার টিকেট তিন শত টাকায় কেনার। এই বাড়তি টাকাতেই মিলে গেলো সোনার হরিণ টিকেট। পরে টিকেটের গায়ে লেখা দেখি ৩রা জানুয়ারি ৯ টা ১৮ মিনিটে ক্রয় করা হয়েছিল। অর্থাৎ টিকেট বিক্রির সঙ্গে সঙ্গে রেল কর্মচারিরা তা কিনে সংগ্রহ করে রাখে। ফলে দেখা দেয় টিকেটের দারুণ সংকট। আর এ সংকটকে পুঁজি করে তারাই জমজমাট ব্যবসা করে।