ফেস বুকের সাথে পরিচয় বছর দুইয়ের বেশী হবে। প্রথম দিকে বেশী ঘোরাফেরা করতাম এর বিভিন্ন পেজ গুলোতে। উদ্দেশ্য রিফ্রেসমেন্ট আর সময়ের স্রোতে হারিয়ে যাওয়া পুরানো বন্ধুদের খুজে বের করা। আগে বর্তমান বন্ধুদের নাম এড করলাম। তারপর তাদের ফ্রেন্ড লিষ্টে খুজে পেলাম আরো কয়েকজন কে। একসময় জয়েন করলাম আমার কলেজ আর স্কুলের গ্রুপে। ঢাকা কলেজ গ্রুপে অনেক খোজাখুজি করে পুরানো একজন বন্ধু ’বুলবুল’ কে পেয়ে গেলাম প্রায় ৫/৭ বছর পর। ওর লিষ্টে পেয়ে গেলাম আরো পুরানো এক স্কুলের বন্ধূ ’শেখ তুহিন’। ওরা দুজনেই এখন ইংল্যান্ড থাকে।
কেটে গেলো কয়েক মাস। আগষ্টের শেষে ফেস বুকের আমার স্কুলের গ্রুপ থেকে ম্যাসেজ পেলাম, গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে কে কোন সালে এস.এস.সি / এইচ.এস.সি দিয়েছে তা জানানোর জন্য আহবান। আমি গ্রুপ ডিসকাশন বোর্ডে গিয়ে আমার এস.এস.সি / এইচ.এস.সি সাল লিখে দিয়ে আসলাম। একজন কে পেয়ে গেলাম লিখেছে ”দেশে থাকলে আমার এস.এস.সি এর সাল হতো ১৯৯৫”। কিন্তু ওর চেহারা দেখে অপরিচিত লাগছে। কিন্তু সেই সময় তো একই ক্লাশের প্রায় সব সেকশনের ছাত্রদের কে চিনতাম। ওকে না চিনতে পেরে ম্যাসেজ পাঠালাম যে ”আমিও ওই একই সময়ে এই স্কুলেই পড়তাম”। পরের দিন ওর কাছ থেকে ফেস বুক ওয়ালে একটা ম্যাসেজ আসলো অনেকটা এই রকম ”আমার ধারনা যদি ঠিক হয় তোমার বাসা ছিল অমুক জায়গায়, আর তোরা আমাকে জানতি আমার মিডেল নাম ইশতিয়াক হিসাবে” আমার আর চিনতে বাকি রইলো না সে কে। দোস্ত তোকে আমি অনেক খুজেছি। এক পর্যায়ে আশাই ছেড়ে দিয়েছিলাম। তোকে ফিরে পাবার অনুভুতি বনর্না লিখে বুঝানো যাবে না। সাথে সাথে ফোন দিলাম আমার আরেক ছোট বেলার বন্ধু রিয়াজ কে, ঘটনা শুনে সে নিজেও হতবাক! আসলে ’ইশতিয়াক’ আমাদের খুব ছোট বেলার ঘনিষ্ট বন্ধু ছিল, যাকে সময়ের স্রোতে একবার হারিয়ে আবার ফিরে পেয়েছি।
ভালো থাকিস বন্ধু, লেখাটা শুধু তোকে নিয়ে।