প্রিয় পাঠক, এই ভ্রমণ কাহিনীতে খুব বেশি ছবি যুক্ত করতে পারছি না বলে দুঃখিত। মেমরী কার্ড জটিলতার কারনে আমার তোলা অধিকাংশ ছবি হারিয়ে ফেলেছি। মোবাইলে কিছু ব্যক্তিগত ছবির পাশাপাশি অল্প কিছু ভ্রমন সংক্রান্ত ছবি আছে। সেগুলো এখানে যুক্ত করার চেষ্টা করব।
দ্বিধান্বিত যাত্রা পরিকল্পনা
বলা হয়ে থাকে, বাংলাদেশী বাঙালিদের প্রথম বিদেশ ভ্রমনের সুত্রপাত হয়ে থাকে ভারত ভ্রমনের মধ্য দিয়ে। আমার স্ত্রীর ক্ষেত্রেও ব্যাপারটি ব্যতিক্রম নয়। চিকিৎসা সংক্রান্ত একটি কাজে ভারত ভ্রমন করার পরিকল্পনা করেছিলাম, হঠাৎ স্ত্রী বায়না ধরলেন তিনিও সাথে যাবেন। আমাদের পরিকল্পনায় ছিলো কলকাতায় চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজ শেষ করে ঈদের জন্য কিছু কেনাকাটা করে দেশে ফিরে আসব। কিন্তু পরিচিত অপরিচিত অনেকের কাছে শুনলাম কলকাতায় নাকি অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এই সময় সেখানে যাওয়াটা নাকি বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। কি করা যায় এই সংক্রান্ত দোনামোনায় যখন পুরো পরিকল্পনাটি বাতিল হবার মুখে, তখন জানতে পারলাম জটিল কোনো অপারেশন বা জটিল কোনো রোগের চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যাপার না হলে ভ্রমন ভিসাতে ভারতে গিয়ে সাধারন টেস্ট, ডায়াগনসিস বা চিকিৎসা নেয়া যায়। যার মাধ্যমে এই তথ্যটি জানলাম তিনি আমার স্ত্রীর সহকর্মী। তিনি আরো জানালেন, উত্তরবঙ্গের রংপুর, সৈয়দপুর, লালমনিরহাট সহ অনেক জেলার মানুষ চিকিৎসার জন্য কলকাতা বা ঢাকায় না গিয়ে ভারতের শিলিগুড়িতে যাওয়াটাই শ্রেয় মনে করেন। পাশাপাশি তিনি জানালেন, শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং বা সিকিমে যাওয়া বেশ সহজ এবং সেখানে কেনাকাটার করার জন্যও ভালো মার্কেট আছে।
প্রথমে কিছুটা দ্বিধায় ছিলাম এই পথে ভারতে যাবো কি না। নানা রকম কাজের ঝামেলার মধ্যে চাচ্ছিলাম পরিকল্পনাটি বাতিল করে পরবর্তীতে পরিকল্পনা করতে। কিন্তু ফেব্রুয়ারীর ১৯ তারিখ সন্ধ্যায় হঠাৎ স্ত্রীর মুখে কালবৈশাখীর ঘন মেঘ দেখে অজানা আশংকায় কন্ঠে যতটা সম্ভব মধু ঢেলে জিজ্ঞেস করলাম, কি হয়েছে?
সেই প্রশ্নের জবাবে পেলাম, ছাইচাপা আগুনের এক প্রকট দৃষ্টি। কিছুক্ষন সেদিকে তাকিয়ে থাকার পর দু চোখে যুক্ত হলো কিছুটা ছলছল ভাব। এই ভাবের সারমর্ম হচ্ছে মার্চের ১১ তারিখ আমাদের বিবাহ বার্ষিকী। এই বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে আমি কেন দার্জিলিং বেড়াতে না নিয়ে কেটে পড়তে চাইছি।
ফলে ২১ ফেব্রুয়ারী সকাল বেলায় ভিসা অ্যাপ্লিকেশন করে দিলাম। আমি নিশ্চিত ছিলাম দুই সাপ্তাহের আগে ভিসা পাওয়া যাবে না, ফলে দার্জিলিং যাবার পরিকল্পনা আপাতত বাদ যাবে। কিন্তু বেরসিক ভারতীয় ভিসা অফিসার মার্চের দুই তারিখেই আমাদেরকে ভিসা দিয়ে দিলেন। শুধু তাই নয় তিনি মাল্টিপল ভিসা দিয়ে নিশ্চিত করলেন, কোরবানী একবারে শেষ হবে না, বার বার হবে, মাল্টিপলভাবেই হবে।
যাইহোক, খবর শুনে আমার স্ত্রী আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে বত্রিশ দন্ত বিকশিত একটি হাসির ছবি পাঠিয়ে বললেন, যাও টিকিট কেটে নিয়ে আসো। অতঃপর ৭ই মার্চ সন্ধ্যায় বাসে স্ত্রী ও কন্যা সমেত ঢাকা থেকে চ্যাংরাবান্ধা বর্ডারে যাত্রা শুরু করলাম।
বাস এবং সহযাত্রী বিড়ম্বনা
আমাদের ভ্রমনের তারিখ হঠাৎ নির্দিষ্ট হওয়াতে আমাদের জন্য বাসের টিকিট পেতে কিছু সমস্যা হচ্ছিলো। ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত সরাসরি যে বাস সার্ভিসটি আছে তাতে আমার খুব একটা আস্থা ছিলো না। কারন অনেক সময় এই সরাসরি বাস প্রয়োজনের তুলনায় অনেক দেরী করে এবং বর্ডারের ওপাড়ে যে বাস দেয়া হয়, সেটার মান নিয়েও অনেকেই আপত্তি তুলেছেন। তবে বাসের চাইতে আমার চিন্তার মুল জায়গাটি হচ্ছে বাস কোম্পানি দ্বারা গ্রুপ ইমিগ্রেশনের প্রক্রিয়াটি। এতে অনেক সময় সময় কম লাগে আবার অনেক সময় সময় বেশি লাগে। একবার একজনের জন্য ১২ টায় ইমিগ্রেশন শেষ করেও ২ টা পর্যন্ত বসে থাকতে হয়েছিলো। আমি চাই না আমার জন্য কারো দেরী হোক অথবা অন্যের কারনে আমার দেরী হোক। তাই সরাসরি বাস বাদ দিয়ে চ্যাংরাবান্ধা বর্ডার পর্যন্ত বাসের টিকিট কাটি। আমি বাসের প্রথম সারিতে বসতে পছন্দ করি। কারন অনাগত পথ দেখার মধ্যে একটা আনন্দ আছে। আমার স্ত্রী সন্তানও আমার কারনে এই অভ্যাসে রপ্ত হয়ে গেছে। তাই আমরা একেবারে বাসের প্রথম সারির তিনটা সিটের টিকিট কাটি।
কল্যানপুর থেকে যাত্রা শুরু হবার পর দেখলাম আমার পাশে কোন সহযাত্রী নেই। গাবতলী পার হয়ে বাস ছুটছে। সাভার এসে গাড়ি থামল। কয়েকজন যাত্রী এসে এখনও পৌঁছাতে পারেন নি, তাদের জন্য অপেক্ষা করছে। আমি এই সুযোগে বাস থেকে নিচে নেমে পানি আর চিপস কিনছিলাম। একটা সিগারেট ধরাবো কি ধরাবো না চিন্তা করতে না করতেই দেখি সুপারভাইজার সাহেব বাসে উঠার জন্য তাড়া দিচ্ছেন। আমি বাসে উঠে বসতে না বসতেই বাস ছেড়ে দিলো। ঠিক সেই মুহুর্তেই বুঝতে পারলাম আমার পাশের সিটে কেউ বসেছেন। ঘাড় ফিরিয়ে তাকাতেই দেখি তেইশ চব্বিশ বছরের একটি মেয়ে আমার পাশের সিটে পা উঠিয়ে বেশ আয়েশ করে বসে আছেন। আমি দ্রুত ঘাড় ফিরিয়ে স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে দেখি, আমার হতবিহবল চেহারা দেখে স্ত্রী কোনমতে অট্টহাসি ঠোঁট দিয়ে চেপে রেখেছে। আমার সাড়ে তিন বছরের কন্যাও বেশ অবাক হয়ে আমার পাশের মেয়েটিকে দেখছে।
যাত্রার শুরুতেই ভাগ্যের রসিকতা দেখে মাননীয় স্পীকার হবার পথে। সুন্দরী সহযাত্রী আর পাশের সিটে স্ত্রী - কি ভয়াবহ কম্বিনেশন। ঐ দিকে আমার স্ত্রী আমাকে সমানে 'পচিয়ে' ম্যাসেজ করে যাচ্ছে আর আমার আড়ষ্ট ভাব দেখে হেসে কুটিকুটি হচ্ছে। অনেকেই হয়ত মনে করেন, পাশের সিটে নারী সহযাত্রী মানে খুব রোমান্টিক একটি বিষয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, লং জার্নিতে বিশেষ করে বাসের সিটে নারী সহযাত্রী মানে আপনার আরামের চৌদ্দটা বেজে গেলো। আপনাকে পুরো পথ আড়ষ্ট হয়ে বসে থাকতে হবে, সর্তক থাকতে হবে। তবে আমি যে বাসে যাচ্ছিলাম, তাদের সিট যথেষ্ট আরামদায়ক এবং প্রশস্থ হওয়াতে খুব বেশি একটা কষ্ট করতে হয় নি। চন্দ্রা পার হতেই সিট হেলিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
বর্ডার পারাপার সার্ভিস ও বুড়ির হোটেল
সকাল প্রায় সাড়ে ৮ টার দিকে বুড়িমারী বর্ডারে এসে পৌছালাম। সবে মাত্র বর্ডার খুলেছে। যে বাসে এসেছি, তাদের নিজস্ব বিশ্রামাগারে হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেস হলাম। পাটগ্রাম থেকে বুড়িমারি পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশের দৃশ্য বেশ সুন্দর। কোথাও সারি সারি ভুট্টার ক্ষেত আর কোথাও ধান। তবে অধিকাংশ জায়গায় ভুট্টার ক্ষেতই চোখে বেশি পড়েছে। এই অঞ্চলের মানুষের মানুষের জীবনযাত্রা আর কথাবার্তার মধ্যে এক ধরনের সারল্য টের পেলাম। কিন্তু বুড়িমারি বর্ডারের রাস্তা খুব একটা সুবিধাজনক নয়। এই পোর্ট দিয়ে মুলত ভুটান এবং ভারতের পাথর আমদানী হয়। ভারী ট্রাক চলার কারনে রাস্তার অবস্থা কিছুটা বেগতিক।
যে বাসে এসেছিলাম, সেই বাসের কাউন্টার থেকে বলল তাদের বর্ডার পারাপার সার্ভিস আছে, আমি চাইলে তাদের সাহায্য নিতে পারি বা নিজেও কাজটা করতে পারি। এই যে 'নিজেও কাজটা করতে পারি' - বলার সততার কারনে তাদের সার্ভিস নিলাম। দুস্টামি করে জিজ্ঞেস করলাম, বর্ডার পারাপার সার্ভিস মানে কি ভিসা ছাড়াই পার করে দিতে পারবেন?
পান চাবাতে চাবাতে হাসতে হাসতে বলল, কয়েক বছর আগে হলি, পারতাম আমরা। আগে এত ঝুট ঝামেলা ছিলো না।
তারপর তারা আমার আর আমার স্ত্রীর পাসপোর্ট, টিকা কার্ড, এনওসি,এনআইডি আর ভিসার ফটোকপি নিলো। আর আমার মেয়ের শুধু জন্মনিবন্ধন আর ভিসার ফটোকপি নিলো। আমি পাঁচশ টাকা দেয়ার পর তারা একশ টাকা ফেরত দিলো। বলল, স্যার যদিও আমরা ২০০ টাকা জনপ্রতি কাজ করি, কিন্তু বাচ্চার জন্য কিছু নিলাম না, ও ছুটো মানুষ, ওর জন্য আবার কি নিবো?
তারপর আমরা পাশেই বুড়ির হোটেলে খেতে গেলাম। সদ্য রান্না হওয়া দেশী মুরগির মাংস, আলু ভর্তা আর ডাল দিয়ে ভাত খেয়ে নিলাম। রান্নার স্বাদ বেশ ভালো। খাবার শেষ করে চা খেতে খেতে আমাদের নেয়ার জন্য একটা ভ্যান চলে আসল। ভ্যান ড্রাইভার বলল, আপনাদের কাজ হয়ে গেছে, ইমিগ্রেশনে ডাকছে।
আমরা যাকে পাসপোর্ট দিয়েছিলাম তিনি আমাদের বাংলাদেশে ইমিগ্রেশনে যাওয়া মাত্রই ভেতরে নিয়ে গেলেন এবং পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমাদের ইমিগ্রেশন শেষ করে বাইরে নিয়ে আসলেন। আমাদের আগে তখন শ্যামলী পরিবহনের সরাসরি ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি যাবার যাত্রীরা অপেক্ষা করছিলো। সম্ভবত কয়েকজন যাত্রী তখনও সেখানে উপস্থিত হতে পারেন নি বিধায় তাদের শৃংখলায় কিছুটা ঝামেলা সৃষ্টি হলো। সাথে সাথে ডাইরেক্ট বাসে না আসার সিদ্ধান্তটি সঠিক হিসাবে মনে হলো।
এরপর বিজিবি চেক পোস্ট এবং পাসপোর্ট এন্টি করে আমরা ভারতের বর্ডারের দিকে রওনা হলাম। বাংলাদেশ পুলিশ এবং বিজিবি সবাই যথেষ্ট সহযোগিতা করলো এই সময়। ভারতীয় চেক পোস্টে গিয়েও তুলনামুলক সময় কম লাগলো। মিনিট দশেকের মধ্যে আমাদের পাসপোর্ট এন্টি হয়ে গেলো এবং আমরা ভারতীয় ইমিগ্রেশনের দিকে রওনা হলাম।
বর্ডারের এই পাশে আসতেই আমরা যে পরিবহনের মাধ্যমে এসেছিলাম এসআর তাদের নিজস্ব লোক আবার আমাদেরকে রিসিভ করলো এবং সোনার বাংলা নামক একটি মুদ্রা বিনিময় প্রতিষ্ঠানে নিয়ে বসালো। সেটার মালিক জনাব রবিউল আমাদেরকে যথেষ্ট সহযোগিতা করল এবং দ্রুত আমাদেরকে ভারতীয় ইমিগ্রেশনের লাইনে নিয়ে দাঁড় করালো। এই পাশেও তাদেরকে পাঁচশ টাকা দিলাম আর তারা একশ টাকা ফেরত দিলো। বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় আমরা ভারতীয় ইমিগ্রেশনে লাইনে দাঁড়ালাম। হোলির কারনে আজকে পুরো পশ্চিমবঙ্গে ছুটি। সেই কারনে বর্ডারের এই পাশে বেশ উৎসব মুখর পরিবেশ। সবাই মুখে নানা রঙের আবির লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
ভারতীয় ইমিগ্রেশনে দাঁড়ানোর পর সেখান দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন পুলিশ কর্মকর্তা আমার স্ত্রী আর কন্যাকে লাইন থেকে বের করে পাশের একটু টুলে বসতে বলল। কিছুক্ষন পর তারা আমার কন্যার সাথে নানা ধরনের গল্পে মেতে উঠল। আমার মেয়ে তাদেরকে হাজারো প্রশ্ন করে আর তারা হাসে। সিঁদুর পরা কাস্টমসের এক কর্মকর্তাকে ও বলল, তোমার মাথায় রক্ত কেন? কে মেরেছে? তোমার মা বকা দিয়েছে? তুমি বেশি বেশি চকলেট খেয়েছ? তুমি মন খারাপ করো না। আমি তোমাকে চকলেট কিনে দিবো।
ওর কথা শুনে সবাই হেসে অস্থির। এর মধ্যে একজন গিয়ে একটা স্নিকার্স চকলেট আর একজন গিয়ে একটা চিপস কিনে এনে ওর হাতে দিলো। তারপর আমাদেরকে বলল, আপনারা চলে আসুন। বলা যায় আমার মেয়ের কল্যাণে আমরা খুব দ্রুতই ইমিগ্রেশনের কাজ সম্পন্ন করে ফেলি। তারপর আবার আমরা সোনার বাংলা মানি এক্সচেঞ্জে গেলাম টাকাকে রুপিতে কনভার্ট করার জন্য।
তারপর এই পাশের বর্ডার কিছুটা ঘুরে দেখলাম। এটা বর্ডারে একটা চকলেট চিপস আর কোমল পানীয়ের দোকান। মানুষ এখান থেকে দেশে ফেরত যাওয়ার সময় অনেকেই চকলেট, চিপস আর কসমেটিস নিয়ে যায়।
এপাশে শ্যামলী কাউন্টারে তখনও মানুষের বেশ ভীড়।
এর মধ্যে আবার আমার মেয়ের সাথে রংপুরের এক বৃদ্ধ দম্পত্তির সাথে পরিচয় ঘটে। ভদ্রলোক এবং ভদ্রমহিলা দুইজনেই রংপুরের হারাগাছ সরকারী কলেজের সহকারী অধ্যাপক হিসাবে অবসর নিয়েছেন। তারা শিলিগুড়ি যাচ্ছেন চিকিৎসার জন্য। আমার মেয়ের সাথে তাদের দুইজনের খুনশুটি খুব ভালো লাগছিলো আর তারাও খুব আনন্দ পাচ্ছিলো। আমাদের ইমিগ্রেশন শেষ হবার জন্য তাঁরা অপেক্ষা করছিলেন এবং আমাদেরকে অফার দিলেন তাদের সাথে গাড়ি আছে, আমরা চাইলে তাদের সাথে এক সাথে শিলিগুড়ি পর্যন্ত যেতে পারি।
আমি তাদের আন্তরিকতার কারনে আর মানা করতে পারলাম না। সকল কাজ শেষ করে ভারতীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় আমরা শিলিগুড়ির দিকে যাত্রা শুরু করলাম। আমার মেয়ের কল্যাণে ভারত যাত্রা বেশ ভালোভাবেই শুরু হলো।
চলবে....।
।। ভ্রমণ কাহিনী।। জঙ্গল, নদী, চা বাগানের দেশ হয়ে পাহাড়ের রানীর দেশে। পর্ব-২।।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১:৪৬