তোমার সাথে একদিন দ্যাখা হলো অকস্মাৎ,
তারপরে- কি যে হলো, প্রায়ই একটা সুতো কাঁটা ঘুড়ির মতো,
গোত্তা খেয়ে
এদিক ওদিক-
তোমার আশেপাশে পড়ে থাকা হয়,
ফিরে যেয়ে আবার ফিরে আসি, অথবা
ঘুরি ফিরি তোমার ছায়া-কায়ায়,
মাঝে মাঝে মন ভুলে বসে থাকা, নির্জীব একটা বিকেল বুকে চেপে ধরে
নিরালায়,
তোমাদের বাড়ির পিছনের বড় পুকুরের জল ঈষৎ কাঁপে; গাঢ়
হয়ে মিশে আছে বনের গন্ধ, কবিতারা ও (এমনিভাবে) আসে যায়; ওখানে খণ্ড-ৎ এর মতো
দুটি পদ্ম কেউটে মাথা তুলে ঝিমায়-চিন্তাগ্রস্ত; কিছুটা নির্বাক এবং বিষণ্ণ,
আর কতো মুগ্ধ হবো-
আমারও তো প্রচুর ক্লান্তি আসে,
ভাবছি এক ঘুম দিয়েই উঠবো কি না
সান্ধ্যকালে,
আমি প্রায়ই এইখানে আসি তোমাকে খুঁজতে,
অথবা একটা বুনো ফুল দেবো একদিন, বলেছিলাম তোমাকে
সারাক্ষন খুঁত খুঁত; কি আছে-কি নাই, নাকি
আসলেই,
লুকিয়ে রেখেছে অপচ্ছায়া
ও (এই ও,
ঠোঁট দুটো গোল করে বলো)
দীঘল কায়ার কথা, জলের ভেতরে,
ঢেউ দেখে চাদ পড়ে এলে
একবার খুঁজে দ্যাখা যায়,
চাঁদ মরে গেলেও খুঁজবো হয়তো, তবে আলো নাই-
আমি এখন একটু ঝিমাই।
আবার অনেকক্ষণ তন্দ্রাচ্ছন্ন, তন্দ্রা কেটে গেলে চোখ মেলে দেখি
চাঁদে আগুন লেগেছে মাত্র,
আরেকটু পরে, পুরোটা পুড়ে গেলে,
একটা এক্রিলিক
ব্রাশ দিয়ে
আকাশে,
এক ছোপ সাদা রঙ মেখে দেবো।