সুচারু আলোয়
লেন্স থেকে কুয়াশা মুছে ফেলেছিল সেইদিন সমুদ্রমুসাফীর
লোনা হাওয়ায় উডস্পাইস -
নীলাঙ্গ আকাশের তলে ডাবসবুজের দেশে কঙ্গোর তালে তালে
গুরিয়া রানী’র নাচ
তার সাথে নেচে নেচে
সহস্র সোনালী হীরের মত রাজফড়িং মুছে দিচ্ছিল নৈঃশব্দ্যের পরিচয়...
কিছু কিছু চিহ্নাবলী আনে ভুল সংকেত
দৈবলব্ধতা বলে কিছু নেই - কিছু নেই
কিছু কিছু মোমরাতে লেগে থাকে গুপ্তির ধার
পুড়ে যাওয়া শর্ষেজমিন
জীয়ন আঙ্গুলে থাকে উচ্ছন্নের ফ্যান্টাসি
কেউ কেউ চিরকাল
ঘনায়মান অন্ধকারে আক্রান্ত থেকে যায়
কারো আঁধারতাপে জ্বলে গেল সারি সারি আমলকী বন
কারো কারো সঙ্গোপন - ঝলমল দিনদুপুর
কেউ জানে বিজুলি গুমর
কারো বুকশ্বাসে দিগন্তদখিণার ঘোড়সওয়ার, তরু তরুণের বৈকুণ্ঠ
কারো ঝুলনের চাঁদ যোজন নক্ষত্র দূর
কারো পাললিক মনে ভেসে এলো সেইদিন
সীতাকুণ্ডের কুয়াশায় মেঘের নেকাব থেকে চাঁদ
– চারিদিকে স্বর্ণহিম
কুয়াশায় জ্যোৎস্নার মত অবোধ্য আলো
আর একটি নিদ্রিতা নদী হঠাৎ স্রোতস্বিনী হয়ে উঠল
খুলে গেল তার ছন্দ দুয়ার
আহ প্রবহণ, কী তীব্রতা তার !
নৈর্ঋতে হরিণছাপ চাঁদ
দিলহারা নক্ষত্র বাসর
আর আমাকে আহত করেছিল ঠোঁট বর্জিত শঙ্খ নিঝুম
তার অন্দরে পাতাল মৌনি
তার শরীরে জলোচ্ছ্বাসের বিযুক্তিব্যথা
আমি চেয়ে দেখি তার আপ্ত জ্ঞান
দিল দরিয়ায় ডুব
সেইখানে রাখা আছে আমার অন্তর – মুখছাপের স্টেনসিল
অতন্দ্রিতা,
একদিন তুমিও ঘুমিয়ে ছিলে
একান্নবর্তী হয়ে ছিলে শোক-সুখ ঘরে
- জেগেছিলে
তোমার বৃষ্টি ঘুমের পরে চোখের পাতারা খুলে এসেছিল একদিন
আমি তার গভীরে দেখেছি একহাজার একটি আরব্য রজনী
ইচ্ছামৃত্যু থেকে জেগেছিলে যেই দিন
তুমি এক রক্তকান্ত বৃক্ষশরীর জড়ানো লতা
বৃষ্টি বৃষ্টি বৃক্ষ শরীর
সাথে গুল্ম লতায়
মধুতৃণের পাতায়
হরিৎ রোশনী মেখে জেগেছিলে
মুছে নিয়েছিলে নৈঃশব্দ্যের পরিচয়...
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুন, ২০১১ রাত ১১:২৫