নায়ক এবং নায়িকার দুইটা আজগুবি নাম থাকবে যেগুলা সাধারণ মানুষের কখনো থাকে না। ধরা যাক, রোহান ও ছিমরান। ব্যাপার না, নাম আরো আজবও হতে পারে। আমাদের বিশ্বাস করতে হবে এই নাম গুলা রাখার আকীকার জন্য তাদের মায়বাপে গরু দিছিল।
ছিমরানকে রোহান মনে মনে অনেক ভালবাসে। ছিমরানকে সে এবার নানান কায়দায় প্রপোজ করে। চিমরানও অনেক খুশি হয়ে ছুইট করে হাসি দেয়। তারা এবার এনজয় শুরু করে। নৌকায় করে বুলবুলি নদীতে ভাসে, গান গায়। রোহান এমন এক কাজ করে যা কোনো প্রেমিক তার প্রেমিকার জন্য এমন কোনোদিন করার কথাই ভাবে নাই। সবাই অনেক খুশি, সাথে দর্শক বা পাঠকও তাদের ভালাবাসার ইনোসেন্স দেখে মোটামুটি ইমোশনাল।
এমন এক অবস্থায় জানা যাবে, নায়িকার বিরাট কোনো একটা ব্যাধি আছে। পাইলস, ক্যান্সার, অর্শ্ব ভগন্দর, চুলকানি, বিরবিরি যেটাই হোক। নায়িকা আর বাঁচবে না। আবার কিছু গল্পে এমন হয়, নায়িকা বাঁচতে হলে নায়কের কিডনিটা দরকার। অন্য ক্যাটাগরির গল্পে নায়িকা বাঁচলেও সে আজীবনের জন্য হ্যান্ডিক্যাপ থাকবে, চোখ নাই, কইলজা নাই, একটা নাই আরেকটা ছোট।
এই ক্ষেত্রে নায়ক নায়িকার এই করুণ দশা দেখেও তাকে চিরকালব্যাপী নিজের করে রাখতে চায়। নায়িকাকে বাঁচাতে কিডনি, চোখ, হাত পা, অন্ডকোষ, হার্ট যা লাগে তা দিয়ে দেয়। ততক্ষণে আবেগময় বাঙ্গালির চোখের কোণায় ফানি ছলে এসেছে।
গল্পের দরকার অনুযায়ী নায়ক তার শারীরিক অংশ বিতরন করে নায়িকার কাছ থেকে অনেক দূরেও চলে যেতে পারে। এই অবস্থায় নায়িকা অরগ্যান ডোনেটর সম্পর্কে অজ্ঞাত থাকে।
এই পরিণতি নায়ক নায়িকা যে কারও হতে পারে। দেখা গেল নায়কের ঐটাই নাই, নায়িকা তারপরেও নায়ককে ছেড়ে গেল না। নানান কিছুই হতে পারে।
এই হাতেম তাই কনসেপ্টটারে যে এত ফেতরা বানানো হচ্ছে দিনকে দিন। দুইদিনব্যাপী ঘুম থেকে উঠে আজকে ভোর রাতে ক্লোজাপের স্টুরি গুলান শুনলাম এক কথা বান্ধবী থেইকা। মাইয়াও যথাযথ ইমোশনাল হয়ে গেছিল। গল্প বুলতে গিয়ে তার কন্ঠস্বর কাঁপছিল।
তয় এটা সত্য কথা যে, A walk to remember সিনেমা দেখে ইমোশনাল হয়ে গেছিলাম। কি জন্য জানি না।