রুমানিয়ায় জন্ম নেওয়া জার্মান কবি হেরটা ম্যুলার এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সুইডিশ একাডেমি ম্যুলারের পুরস্কার পাওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। তাঁর কাব্য ও সাহিত্যের মূল্যায়ন করতে গিয়ে বিচারকেরা বলেছেন, ‘হেরটা ম্যুলার তাঁর কবিতায় গভীর মনোনিবেশ এবং গদ্যে অকপটতার মাধ্যমে বঞ্চিতদের চিত্র তুলে ধরেছেন।’
এর আগে ২০০৭ সালে ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক ডোরিস লেসিং সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার পন।
হেরটা ম্যুলার ১৯৫৩ সালের ১৭ আগস্ট রুমানিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রুমানিয়ার এক সংখ্যালঘু জার্মান পরিবারের সন্তান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তাঁর মাকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের একটি ‘শ্রমশিবিরে’ পাঠানো হয়। রুমানিয়ায় হেরটার শৈশব, কৈশোর আর তারুণ্য কেটেছে। সত্তরের দশকে তিনি রুমানিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক নিকোলাই চওসেস্কুর গোপন পুলিশ বাহিনীকে সহযোগিতা না করার অভিযোগে শিক্ষকের চাকরি হারান। ১৯৮৭ সালে অভিবাসী হিসেবে জার্মানিতে পাড়ি জমানোর আগ পর্যন্ত তিনি সরকারের হুমকির মুখে ছিলেন।
১৯৮২ সালে জার্মান ভাষায় লেখা হেরটা ম্যুলারের গল্প সংকলন ‘নাডিরস’ প্রকাশিত হয়। এটাই তাঁর প্রথম বই। বইটি চোরাপথে প্রতিবেশী দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এসব দেশের জার্মানভাষী পাঠকদের কাছে বইটি দারুণভাবে সমাদৃত হয়। গল্পগুলোতে চওসেস্কুর শাসনামলে রুমানিয়ায় জার্মানভাষীদের গ্রামে নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরা হয়। এজন্য তত্কালীন রুমানীয় সরকার হেরতার গল্পগুলো কাটছাঁট করে। ১৯৮৪ সালে তাঁর আরেকটি গল্প সংকলন প্রকাশিত হয়, ইংরেজিতে যার নাম ‘অপ্রেসিভ ট্যাংগো’। ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর উপন্যাস ‘দ্য পাসপোর্ট’। এরপর গল্প, উপন্যাস ও কবিতার অনেক বই প্রকাশিত হয়েছে তাঁর। রুমানীয় বংশোদ্ভূত অপর শীর্ষস্থানীয় লেখক রিচার্ড ওয়াগনার তাঁর স্বামী।
সূত্র: এএফপি, এপি, বিবিসি, গার্ডিয়ান অনলাইন।
এখানে পেলাম।