ফেসবুকে কিছুক্ষণ আগে জাগোর ফেসবুক পেইজে জাগো ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডার করভী'র একটা স্ট্যাটাস দেখলাম। স্ট্যাটাসে লেখা রয়েছে,
Some third parties have used pictures of our volunteers, specially female volunteers for their own publicity - a violation of human rights. JAAGO has collected names of such third parties and we hereby publicly request them to remove these pictures, IMMEDIATELY. If the respective parties do not take action we will send a legal notice to these individuals and their parents during Eid vacation, proclaiming the violation of privacy and intellectual property. In the event that this violation persists, we will be forced to file a lawsuit against these individuals under Eve Teasing, Section 298 (A) and (B) of the Penal Code amongst others.
এই কথাগুলো বলা হয়েছে এই জাগো ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডার করভী'র মাধ্যমে, লিখিত আকারে। তাই করভীর কাছেই কিছু ব্যাপার জানার রয়েছে-
এই থার্ড পার্টি কারা? ব্লগার রা? যারা আপনাদের কার্যক্রমের অস্বচ্ছতার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে? আর যেসব ছবির কথা বললেন, সেগুলো তো আপনাদের ওয়েব পেইজ থেকে নেয়া এবং এটা তো সবার জন্য উন্মুক্ত। আর যদি ব্যাপারটা এমন হয় যে, যেসব ছবি নেয়া হয়েছে তা সবার জন্য ওপেন ছিলো মানে "এভরিওয়ান" অপশনে ছিলো তখন তো আইনগত ভাবে এটি দেখার বা শেয়ার করবার একটা ট্যাসিট অনুমতি বা অনুমোদন থেকেই যায়।
আপনি বলেছেন, আপনি এসব থার্ড পার্টির অভিভাবক দের চিঠি, উকিল নোটিস ইত্যাদি পাঠাবেন। সেটা কিভাবে সম্ভব? আপনি কাদের কাদের অভিভাবকদের চেনেন? কয়জনকে চেনেন? আমি আসলে এই ব্যাপারে কৌতূহলী হয়েছি, তাই জানতে চাইলাম।
আর ইভটিজিং এর ব্যাপারটা ভালো উদ্যোগ। যেসব ইতর, অভদ্র আর কুরুচিপূর্ণ মানুষেরা কোনো ছেলে বা মেয়ের ছবি দিয়ে নোংরা সব কথা লেখে সেটি অবশ্যই আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। কিন্তু, যেসব ছবি আপ্নারা আপনাদের ওয়েব পেইজে দিয়েছেন এবং সেখান থেকে নিয়ে আপনাদের কার্যক্রমের বিভিন্ন সমালোচনা হয়েছে, সেটির ক্ষেত্রে কি হবে?
আইনের ব্যাবহার ও প্রয়োগ নিয়ে যখন কথা উঠলোই, সেক্ষেত্রে আপনাদের নামে জালিয়াতি, শিশু নির্যাতন আইনে অভিযোগ বা মামলা দায়ের করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেই না। কেননা আপনাদের কিছু ছবিতে দেখলাম একজন শিশুকে নিয়ে আপ্নারা খুবই অরক্ষিত ভাবে খেলাধুলা করছেন, যাকে শিশু নির্যাতন হিসেবে সহজেই চিহ্নিত করা যায়।
আবার যেই ফান্ড উঠিয়েছেন সেটিরও কোনো স্বচ্ছতা নেই। উপরন্তু, যাদের যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তাদের কাউকে কি টাকার রশিদ দিয়েছেন? এই সংস্থাটি কি সরকার অনুমোদিত? এই সংস্থার চ্যারিটি নাম্বার কি? পরিচয় কি? এই সংস্থার মাধ্যমে উত্তোলিত টাকা কি কি খাত এবং কিভাবে ব্যয় হয় তার বিবরণ কোথায়?
বিভিন্ন ব্লগে বিভিন্ন সমালোচনার উপর অনেকেই দেখলাম কোনো কোনো নিরীহ সমালোচনাকে বেশ গালিগালাজ দিয়ে আপনাদের ওয়েব পেইজ ভর্তি করে ফেলছে। পেইজের মালিক হিসেবে জাগো এর কোনো প্রতিবাদ করেনি কিংবা মডারেট করেনি। আপনারা কি তাহলে জনতাকে আরেক অংশের জনতার দিকে উশকে দিচ্ছেন? এটা কি সমাজে নৈরাজ্য প্রমোট করা নয়? এটাও কিন্তু আইনগত কাঠামোর আওতায় পড়ে।
এছাড়াও আপ্নাদেরই এক ভলেন্টিয়ার রাহার রহমান সামহোয়্যার ইন ব্লগের একটা লেখা থেকে অংশ নিয়ে একটি প্রতিউত্তর ধরনের নোট ফেসবুকে লিখেছেন। সেটি আপনাদের ফেসবুক ওয়ালে মহাসমারোহে চলছে এবং সেটাতে আপনাদের প্রচ্ছন্ন সহযোগিতাও রয়েছে। এখন এই যে আপনাদের এই ব্লগার সামহোয়ার ইন ব্লগের ইংলার লেখার কিছু অংশ কপি পেস্ট করলো, এটাতে কি ব্লগার ইংলার কাছে লিখিত অনুমতি নেয়া হয়েছিলো? আশা করি একজন আইনের ছাত্র হিসেবে কপিরাইট বা লেখক স্বত্ব বলে ব্যাপারটি আপনি বোঝেন। লেখকের লিখিত অনুমতি ছাড়া রাহাত রহমান যে লেখার অংশ ব্যাভার করেছেন সেটি কিন্তু আইনের আওতায় পড়ে আর যেহেতু সে আপনাদের ভলেন্টিয়ার এবং লেখাটি আপনাদের পক্ষেই লিখেছে সেহেতু রাহাতের উপর যে দায় বর্তাবে তাকে সমর্থন দেবার ক্ষেত্রে বা উত্থাপিত প্রশ্নে আপ্নাদেরও সামনে আনা হবে।
আপনাদের উদ্যোগ ভালো না মন্দ সেটি নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অনেক কথা বলেছি। আপনাদের উদ্যোগের অনেক ফাঁক ফোঁকর রয়েছে এবং বড় আকারের অস্বচ্ছতা রয়েছে যা আলাদা আলোচ্য বিষয়। আপাতত এই প্রশ্ন বা কৌতূহল গুলোর উত্তর জানা দরকার।