মায়াবতী,
ভোর হলেই আমাদের দ্বিতীয় প্রথম দেখা ।
তোমার দুচোখে অপ্রেম, আমি অপ্রিয়,
তোমার রূপোর শরীরে জড়ানো কবিতা ।
তোমার শঙ্খ মোড়ানো বাহু,
আমার রোমকূপে আচমকা সাইমুম ঝড় ।
প্রিয় মায়াবতী,
আমি অচেনা হয়ে গেছি বলেই
কাল আবার হবে আড়চোখে আগুনকে দেখা ।
এই উৎসব দুপুরে কেন সন্ধ্যে নামাবে বলো ?
বেঁধে ফেলো, বেঁধে ফেলো চুল ।
আমি বুক পেতে দিই মায়াবতী ?
তুমি এসো, পা ফেলো, হাঁটো ।
আমি পেছনে দাঁড়াই তোমার ?
তুমি ভিড় ঠেলে এগুবে,
পাছে কেউ ছোঁয় !
আমি তোমার পাতের নুন-নেবু হবো মেয়ে,
তুমি ছুঁয়ে দাও, ছুঁয়ে দাও, দেবে ?
তুমি পুতুল পুতুল হবে গোলাপী শাড়িতে,
আমি কাঁটা হবো না আর,
ফুল হবো,
খোঁপায় জড়াবে ?
কাল শেষবার পূর্ণিমা দেখবো মায়াবতী,
তুমি বিদায় নিলেই আমার উৎসব দুপুর
আজন্ম অমাবস্যা হবে ।