মায়াবতী বলেছিলো,
তার দুঃখ আমি তাকিয়ে দেখি নি ।
তাই আমি এ শহরে রোজ দুঃখ খুঁজে বেড়াই ।
ইমারত গড়তে আনা পাথরের স্তুপ থেকে
একটা পাথরকে মুঠোয় তুলে জিজ্ঞেস করি –
তোকে ভাঙবার সময় খুব ব্যথা লেগেছে, না রে ?
শহরের গায়ে ধমনীতন্ত্রের মতো জড়ানো
বিদ্যুতের তার যখন পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে থাকে,
তখন আমার খুব বলতে ইচ্ছে করে –
শহরের বুক কেটে বেরিয়ে আসা ধাতব ধমনী,
আমি তোর ছিঁড়ে যাওয়ার যন্ত্রণা বুঝি ।
নাগরিকের ভুলে যাওয়া কার্ড ফোনের বুথ,
আমি জানি পরিত্যাক্ত হবার কেমন অসহ্য অভিমান ।
প্রিয় পোস্ট অফিস, আমি বুঝতে পারি,
চিঠি আসবে না জেনেও প্রতীক্ষার কি দাম ।
কালো কৃত্রিম লেকের জল জানে,
আমি ওর বিষ বিষ জীবনচক্র জানি ।
আমি এড়িয়ে যাই
অন্ধকার বইয়ের দোকানের ঘুণপোকাটার সুখ,
আমি লেড লাইটের এই নগরে
মোমবাতিদের কান্না ভালো বুঝি ।
আমি জড়, ঝড়, পাতা, প্রাণীর দুঃখ বুঝি ।
শুধু তোমার দুঃখই বুঝতে ভুল হয়েছিলো ।
মায়াবতী, তুমি কি আমায় ক্ষমা করবে না ?
(মায়াবতী আমার লেখা একটা সিরিজ কবিতা। পরের কবিতা গুলো সময় মতো ব্লগে পোস্ট করার চেষ্টা করবো।)