যুগান্তরের খবর -আসিফ নজরুলকে নাকি টক শোতে ব্যান মারা হয়েছে। কে ব্যান মারলো? কেন ব্যান মারলো? বেচারা মাত্র নতুন বিয়ে করলো - অল্পবয়সী স্ত্রীর নানান বায়না মিটানোর জন্যে উনার কত টাকার দরকার - এই সময়ে কেউ এই কাজ করে।
তবে বেচারার মাথা পুরাই নষ্ট - না হলে কেউ এমন আবোল তাবোল বলে?
দেখুন কি বলে বেচারা -
আসিফ নজরুল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি মিথ্যা বলে বর্তমান সরকার। মিথ্যা বলার কারণ এ সরকার অনির্বাচিত সরকার। যখন জিএসপি বাতিল হলো তখন সরকার বলল ‘এর পেছন ড. ইউনূস দায়ী।’ রানা প্লাজা ধসে পড়ল সরকার বলল ‘বিএনপি পিলার ধরে টানাটানি করেছে, ‘পদ্মাসেতুর টাকা বাতিল হলো ড. ইউনূস দায়ী।’ এ রকম হাজার হাজার প্রমাণ দিতে পারব।
- এইগুলা কি সরকারের কথা? না, এইগুলা সরকার দলের নেতাদের কথা। দল আর সরকার আলাদা। বলতে পারেন আওয়ামীলীগের কথা। রাজনৈতিক দলের মিথ্যাচার নিয়ে মানুষ তেমন চিন্তিত না। তাইলে সরকারের কথা কোনগুলো - সেগুলো তথ্য মন্ত্রনায়লের মাধ্যমে প্রচারিত হয় - গেজেট আকারে প্রকাশিত হয় অথবা প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রচারিত হয়। উনি সরকার আর দলকে আলাদা করতে পারছে না - যেমন টরশো জীবি থেকে উনি কখন রাজনৈতিক কর্মী হয়ে উঠেছেন তাও বুঝতে পারছেন না। এইগুলো রাজনৈতিক বিতর্কের অংশ হতে পারে। ভোটের বাজারে এইগুলো কাজে লাগে।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে অনবরত মিথ্যা বলছে সরকার। মিথ্যাবাদী সরকার জনগণকে অসত্য তথ্য দিচ্ছে। অবৈধ সরকারের কোনো অধিকার নেই গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের নীতি তৈরি করার।
- এইটা উনি রাগের চোটে বলছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে সরকার কোন মিথ্যাটা বললো জানি না। তবে উনার বর্তমান সরকারে "অবৈধ" ঘোষনা করাটা আসলেই একজন আইনের অধ্যাপক হিসাবে বেমানান। একজন রাজনৈতিক নেতা বা সাধারন মানুষের নানান দৃষ্টিভংগী থাকে - তাতে সরকারকে "অনৈতিক ভাবে নির্বাচিত বলা যায়" - তাতেও বিতর্ক হবে। তবে অবৈধ কোন আইনের দৃষ্টিতে তা উনি বোধ হয় ব্যাখ্যা করতে পারবেন না।
সংগদোষে লোহা জলে ভাসে - তেমনি একটা দলের মুখপাত্র হিসাবে কাজ করতে গিয়ে আসিফ নজরুল কিভাবে যে সেই দলের সদস্য হয়ে গেলেন - একজন টকশোজীবি থেকে একজন রাজনৈতিক কর্মী ( পলিটিক্যাল এক্টিভিস্ট) হয়ে গেলেন - তা বোধ হয় ধরতে পারছেন না।
তাই উনার উচিত টরশোতে গিয়ে সুশীলের পার্ট না নিয়ে সরাসরি রাজনৈতিক মঞ্চে ( হয় বিএনপি অথবা জামায়াতের) গিয়ে মন খুলে বকাবাজি করা - সরকারকে ধুয়ে মুছে ড্রাইওয়াস করা।