১
শেষ বাতি নিভিয়ে
পাতলা চাদরে নিজেকে ঢেকে
চলন্ত পাখা দ্বিগুণ করে
কৃত্রিম ঠান্ডা জমবে জমবে ভাব
তখন আচমক একটা কিছু মাথায় উঠে আসে
একটা বোধ, একটা ধারণা, একটা অন্যকিছু
তরল ঘুমের চৌবাচ্চা থেকে আর্কিমিডিসের মতো
ইউরেকা ইউরেকা চিত্কার করে
আমি ফের লাফিয়ে পড়ি লেখার টেবিলে
তখনো পা কাঁপছে, খেলায় জীতে গেলে যেভাবে হাত ঝাঁকাতে হয়
তার চেয়ে জোরে
এমন আশ্চর্য কিছু কী করে আমার মাথায় খেলে?
ধী, প্রজ্ঞায় জীবনমুখী উপাত্ত যেন মহাকবিরাও করে নি আবিষ্কার!
অভিনব তার দ্যুতি, নিজের মেধা বুদ্ধিমত্তায় কস্তুরীমৃগের মতো
আত্মসম্মোহিত হয়ে যাই।
প্রেম, বাস্তব পরাবাস্তবের নিরব অথচ উদাত্ত বুননে লিখে যাওয়ার
এই আইডিয়া হতে পারে আশ্চর্য এক কাব্য
যেন ঐশী বাণীর মতো কিছু
সারা পৃথিবী উঠে দাঁড়াতে পারে
নমস্য মানুষগুলো হ্যাট খুলে লিখে নিতে পারে
যদিও তখন নিশ্চিত নই - শুধু নিশ্চিত
ভাব ও আঙুলের মৈথুনে হতে পারে একেবারে অন্য কিছু
শুধু অবাক হয়েছি এত সহজ সুন্দর চিন্তাটি
আসেনি কেন জীবনানন্দ বা হেলাল হাফিজদের মাথায়
সঙ্গী কাগজের ঝুড়ি আর রোলটানা প্যাডের যুদ্ধ শেষ হলে
সেই রাতেই বড় বোন কে জাগিয়ে তুলি
ঘুমের তীব্রতায় অপ্রস্তুত হলে
ক্রমাগত সবুজ বোতাম চেপে ঘুম ভাঙাই কাব্যসমঝদারদের
(হিংসুকদের সমালোচনা শুনি,
যা তো, রাত তিনটা বাজে,
পাগলামী ছেড়ে এখন ঘুমা,
অন্তর্জালে গিজ গিজ করে এমন কবিতায়
এরকম কাকের বাসার জঞ্জালে ভরে গেছে আনাচ কানাচ)
২
তারপর অনেক দিন পর নিজেই কবিতাটার পাঠক -
হোঁচট খাই উঠে দাড়াই, জমিনমুখী হয়ে লজ্জায় মাথা নত করি
খুব বেশি সাধারণ, অপরিণত কিছু শব্দের
পাশাপাশি রাজনৈতিক অবস্থান
এমন ডাস্টার নেই মুছে দেয়ার -
প্রাপ্তি শুধু সেই রাতের জেগে থাকার আনন্দটুকু
-----
ড্রাফট ১.০