১. মক্কাবাসীরা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে উপহাস করে বলতো, ইয়াতিম ও নিরক্ষর হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কি করে নবুয়তের দাবী করতে পারে? অবিশ্বাসীদের এই প্রশ্নের উত্তরে মহান আল্লাহ তায়ালা এই সুরা নাযিল করেন।
২. মহান আল্লাহ তায়ালা সুরা ইয়াছিনের মাধ্যমে নবুয়তের সত্যতা প্রমান করেছেন।
৩. হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সুরা ইয়াছিনকে কালাবুল কোরআন অথ্যাৎ কোরআনের দিল বলে ঘোষনা দিয়েছেন।
৪. সুরা ইয়াছিনে আল্লাহ তায়ালার তাওহীদ ও অদ্বিতীয় শক্তি মহিমা বা কোরআনের পবিত্রতা ও গৌরব, নবী করিম (সাঃ) নুবয়ত, রেসালাত ও ইসলামের সত্যতা, কেয়ামতের দিন পুনরুত্থান ও পরকালের বিষয় উল্লেখ থাকায় এই সুরার গুরত্ব অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ন।
৫. তিরমিজী শরীফে উল্লেখ রয়েছে, সুরা ইয়াছিন একবার পাঠ করলে দশবার কোরআন খতম করার নেকী হয় এবং পাঠকের সব গুনাহ মাফ হয়।
৬. হাদীসে আরো বলা হয়েছে, রাতে সুরা ইয়াছিন পাঠ করলে নিস্পাপ অবস্থায় ঘুম থেকে উঠা যায় এবং পূর্বের গুনাহ মাফ হয়ে যায়।
৭. যে ব্যক্তি সুরা ইয়াছিন বেশী বেশী পড়ে থাকে কেয়ামতের দিন এই সুরাই তার জন্য আল্লাহর দরবারে সুপারিশ করবে।
৮. নবী করিম (সাঃ) আরো বলেছেন, যে ব্যক্তি নিয়মিত সুরা ইয়াছিন পাঠ করবে তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খোলা থাকবে।
৯. বুজ্জরগানে ওলামায়ে কেরামগন বর্ননা করেছেন, বিপদ-আপদ ও রোগ ব্যধির সময় এই সুরা পাঠ করলে সম্পূর্ন মুক্তি লাভ হয়। মুমুর্হ ব্যক্তির কাছে এই সুরা পড়লে মৃত্যু যন্ত্রনা লাঘব হয় এবং কবরের কাছে সুরা ইয়াছিন পড়লে কবরের আযাব থেমে যায়।
সুরা ইয়াছিনের আরো অনেক ফজিলত ও বরকত রয়েছে। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন, যাতে করে আমরা সুরা ইয়াছিনের সার্বিক বরকত ও ফজিলতের ধণ্য হতে পারি। আমিন।
সুরা ইয়াছিন (বাংলা তরজুমা সহ) পাঠ করতে হলে ক্লিক করুন।
Click This Link
ডাউনলোড করে মোবাইলে শুনতে হলে............(বাংলা তরজুমা সহ)
http://www.banglakitab.com/qerat.htm