কর্তৃবাচ্য: "হালাকু খাঁ বাগদাদ ধ্বংস করেন।"
কর্মবাচ্য: "হালাকু খাঁ কর্তৃক বাগদাদ ধ্বংস হয়।"
ছোটবেলায় একবারও পরীক্ষার খাতায় বাচ্য পরিবর্তনের প্রশ্নে লিখতে হয় নি বা বই থেকে পড়ে মুখস্থ করতে হয় নি এমন পাঠক পাওয়া হয়ত দুষ্করই হবে। প্রশ্ন হল, কে এই হালাকু খাঁ? কি তার পরিচয়? কেন ধ্বংস করলেন তিনি বাগদাদ? মোঙ্গল ইতিহাসের সবচেয়ে নিষ্ঠুর এই সেনাপতি কেবল বাগদাদ নয়, ধ্বংস করেছিলেন আরও বহু সমৃদ্ধ নগর, জনপদ, হত্যা করেন লাখ লাখ মানুষ।
প্রথম পর্ব
'Prince of Persia: Sands of Time' মুভিতে অনেকেই হয়ত দেখেছেন তৎকালীন মুসলিম নগরগুলো কত নিখুঁত আর দুর্ভেদ্য দেয়াল প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় সজ্জিত ছিল। এসব দেয়াল এতটাই মজবুত ছিল যে এগুলো সেসময়কার ক্রুসেডার এবং অন্যান্য বিজেতাদের কাছে এক বিভীষিকা হিসেবে পরিচিত ছিল। মুসলিম নগরগুলোর প্রতিরক্ষাব্যূহ ভেদ করার মত ক্ষমতা মোঙ্গলদের ছিল না। এই কারণে স্বয়ং চেঙ্গিস খাঁ বাগদাদ আক্রমণ করে বিফল হয়েছিলেন। যুদ্ধে ইউরোপীয়রা নির্ভর করত তাদের নৌশক্তির উপর আর মোঙ্গলরা ছিল অশ্বনির্ভর। বায়ুর সাহায্যে যেমন ইউরোপীয়দের জাহাজ চলত, তেমনি সূর্যের আলোর প্রাচুর্যে জন্মানো ঘাস মোঙ্গলদের ঘোড়ার আহার জোগাত। সেসূত্রে, ইউরোপীয়দের অভিযান ছিল বায়ুশক্তিচালিত বিপরীতে, মোঙ্গলদের অভিযান ছিল সৌরশক্তিচালিত। প্রায় সমগ্র মধ্য এশিয়া আর রাশিয়া-ইউরোপের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত মোঙ্গল সাম্রাজ্যের বিস্তারে তখন মূল বাঁধা ছিল কেবল মধ্যপ্রাচ্য কিংবা আরও সঠিকভাবে বলতে গেলে, মুসলিম সাম্রাজ্যগুলো। মুসলিম সালতানাতের মূল ভিত ছিল তখন তিনটি- বাগদাদ, দামেস্ক আর কায়রো। তাছাড়া শাসকরা খ্রিস্টান-বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি অনুরাগী হলেও অনেক সাধারণ মোঙ্গল ইসলাম গ্রহণ করতে শুরু করে। সাপ-ব্যাঙ, ইঁদুর-কুকুর, লতা-পাতা, কাঁচা মাংস-কাঁচা রক্ত কোনকিছুই মোঙ্গল সেনাদের খাদ্যতালিকা থেকে বাদ যেত না। যুদ্ধের সময় আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা এমনকি পশুও তাদের হাত থেকে রেহাই পেত না। বৌদ্ধ-খ্রিস্টান মোঙ্গলদের এতে আপত্তি না থাকলেও মুসলিম মোঙ্গলরা বিরোধিতা জানাত। তাই মুসলিমদের উপর মোঙ্গল জেনারেলরা ক্ষীপ্ত হয়ে ওঠে। চেঙ্গিস খাঁনের চীন বিজয়ের পর ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি মোঙ্গলদের হাতে আসে আর তাতেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে মোঙ্গলরা। চীনাদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি তখন যথেষ্ট উন্নত ছিল। একের পর এক মানুষ হত্যা করলেও যুদ্ধে এধরণের জ্ঞানবিশিষ্টদের মোঙ্গলরা বাঁচিয়ে রাখত এবং নিজেদের বাহিনীতে তাদের অন্তর্ভুক্ত করত। কোন দেয়াল ধ্বংসের সময় শত্রুরা আক্রমণ করলে যুদ্ধবন্দীদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করত মোঙ্গল সৈনিকরা। হালাকু খাঁনের বাহিনীতে ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধে নেতৃত্ব দিতেন চৈনিক জেনারেল জুয়ো কান।
সুবিশাল সৈন্যবাহিনীর দায়িত্ব দেয়ার পর ছোট ভাই হালাকু খাঁনের কাছে মোঙকে খাঁনের নির্দেশ ছিল, যারা আত্মসমর্পণ করবে তাদের প্রতি যেন সদয় ব্যবহার করা হয় আর যারা তা করবে না তাদের যেন ধ্বংস করা হয়। ভাইয়ের নির্দেশের শেষ কথাগুলো হালাকু খাঁন এত কঠোরভাবে পালন করেছেন যে স্বয়ং মোঙকে খাঁন স্বচক্ষে সেই বাস্তবায়ন দেখলে হয়ত কষ্টে আত্মহত্যা করতেন। তৎকালীন সময়ে বাগদাদের শাসক ছিলেন আব্বাসীয় খলিফা আল মুতাসিম, দামেস্কের শাসক ছিলেন আইয়্যুবীয় খলিফা নাসির ইউসুফ আর কায়রোর শাসক ছিলেন মামলুক সুলতান কুতুজ। মোঙ্গলদের ঐতিহ্য অনুযায়ী প্রথমে কোন শাসককে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হত। আত্মসমর্পণ করলে তাকে মোঙ্গল বাহিনীর ভরণপোষণ চালাতে হত আর আত্মসমর্পণ না করলে তাদের সমূলে ধ্বংস করা হত। ১২৫৬ সালে হালাকু খাঁনের হাতে ইরান তথা পারস্যের শক্তিশালী লোর ও হাশাশিন গোত্রের শাসনাধীন বিখ্যাত এবং হাজার বছর ধরে অজেয় আলামুত নগরের পতন হয়। অনেকেই হয়ত এই নগরের নাম শুনেছেন 'Prince of Persia: Sands of Time' মুভিতে। ১২৫৭ সালের শেষ দিকে বাগদাদ এর উপকণ্ঠে পৌঁছে হালাকু খাঁনের বাহিনী। ১২৫৮ সালে বাগদাদ সমর্পণে অস্বীকৃতি জানালে মোঙ্গলরা যুদ্ধে লিপ্ত হয়। জেনারেল জুয়ো কানের নেতৃত্বে প্রায় এক হাজার ক্ষেপণাস্ত্র প্রকৌশলীর হাতে খুব অল্প সময়ে বাগদাদের প্রতিরক্ষাব্যূহের পতন হয় এবং মুসলিম সেনাদের অনেকেই অল্প সময়ে মোঙ্গলদের হাতে জবাই হবার পর বাগদাদ খলিফা সন্ধি করার চেষ্টা করেন কিন্তু প্রত্যাখ্যাত হন। প্রায় তিন মাসে বাগদাদকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হয়। হালাকু খাঁনের সম্রাজ্ঞী খ্রিস্টান দোকুজ খাতুন এবং তাঁর সবচেয়ে কাছের বন্ধু খ্রিস্টান জেনারেল কিতবুকের প্রেরণা হালাকু খাঁনকে মুসলিমদের আরেক শত্রু খ্রিস্টান ক্রুসেডারদের সাথে হাত মিলাতে উৎসাহিত করে। ১২৬০ সালে মোঙ্গল আর ক্রুসেডারদের মিলিত বাহিনী দামেস্ক আক্রমণ করে এবং শোচনীয়ভাবে দামেস্কের পতন হয়। নাসির ইউসুফকে হত্যা করা হয়। প্যালেন্টাইন হয়ে কায়রোর দিকে অগ্রসর হবার পথে হালাকু তাঁর ভাই মোঙকের মৃত্যু সংবাদ পান। জেনারেল কিতবুকের নেতৃত্বে প্রায় বিশ হাজার সৈন্য রেখে বাকি সৈন্য নিয়ে তখন হালাকু রওনা হন রাজধানীর দিকে। সেখানে কুবলাই খাঁনকে নয়া খাঁন হিসেবে মনোনীত করা হয়। এদিকে দিশেহারা মুসলিমরা তখন কায়রোতে জড় হয়। সুলতান কুতুজ তড়িঘড়ি করে খ্রিস্টানদের সাথে সন্ধি স্থাপন করেন। চতুর খ্রিস্টানরা ভাল করেই জানত বিশ্বজয়ের স্বপ্নে বিভোর মোঙ্গলরা মুসলিমদের পতনের পর ইউরোপের দিকেই অগ্রসর হবে। তাই শত্রুতা থাকার পরেও মুসলিমদের সাথে তারা সন্ধি করতে রাজি হয়। সুযোগ পেয়ে মুসলিমরা জেনারেল কিতবুকের বাহিনীকে আক্রমণ করে। আইন জালুত এর যুদ্ধে মুসলিমদের হাতে মোঙ্গলরা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। তখনও পর্যন্ত সেটিই ছিল মোঙ্গলদের কোন যুদ্ধে আনুষ্ঠানিক পরাজয়।
১২৬২ সালে কুবলাই খাঁনকে সম্রাট নির্বাচিত করে হালাকু খাঁন মামলুকদের ধ্বংস করতে অগ্রসর হন। কিন্তু বাদ সাধেন ইয়োচির ছেলে বিরকাই খাঁন যিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ১২৪৮ সালের পর। বিরকাই খাঁনের অধিকাংশ সৈন্য ছিল স্বভাবতই মুসলিম এবং প্রথা অনুযায়ী খাঁন নির্বাচনের সময় সকল মোঙ্গল শাসককে তাঁদের সৈন্যবাহিনীর উল্লেখযোগ্য অংশ সহ উপস্থিত থাকতে হত। সেখানে মতবিরোধ সৃষ্টি হয় ধর্মপ্রাণ মুসলিম বিরকাই খাঁন ও নৃশংস হালাকু খাঁনের মধ্যে। সুলতান কুতুজকে বিরকাই খাঁন কথা দিয়েছিলেন যে তিনি বাগদাদ ধ্বংসের বদলা নিবেন। অচিরেই দুই খাঁনের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধে। এটিই ছিল মোঙ্গলদের নিজেদের মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রথম যুদ্ধ। ১২৬৩ সালে ককেশাসে হালাকু খাঁনের পরাজয় হয় বিরকাই খাঁনের হাতে। যুদ্ধে তাঁর শোচনীয় পরাজয় এবং বিপুল ক্ষয়ক্ষতি অবিভক্ত মোঙ্গল সাম্রাজ্যে প্রথম ফাটলের জন্ম দেয়। পরাজয়ের পর হালাকু খাঁন ছুটে যান খ্রিস্টানদের কাছে ফ্রাঙ্কো-মোঙ্গল জোট গঠনের আশায়। কিন্তু দামেস্ক জয়ের সঙ্গী চতুর খ্রিস্টানদের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হন হালাকু খাঁন। বহু চেষ্টা করেও ব্যর্থ হবার পর পারস্য ও প্রাচ্যে নিজের বিজিত অঞ্চলগুলো নিয়ে 'ইলখান' বা সাম্রাজ্য স্থাপন করে পারস্যে অবস্থিত তার রাজধানীতে বসবাস করতে শুরু করেন হালাকু খাঁন। ১২৬৫ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। মাত্র নয় বছরের শাসনামলে তিনি যা করে গেছেন তা আর কোন শাসক সারাজীবনেও করতে পেরেছেন কি না সন্দেহ আছে। স্বীয় সাম্রাজ্যের চেয়েও অনেক অনেক বেশী ছিল তাঁর ধ্বংসযজ্ঞ।
হালাকু খাঁনের ধ্বংসযজ্ঞ সম্পর্কে যতই বলা হোক তা কম হবে। ঐতিহাসিক, তাঁর ধ্বংসের প্রত্যক্ষদর্শী এমনকি হালাকু খাঁন নিজেও নিজের ধ্বংসের বর্ণনা দিতে পারবেন কি না সন্দেহ আছে। তাঁর ধ্বংসলীলা এতই ব্যাপক আর সুদূরপ্রসারী ছিল যে দুনিয়ার বাকি সব দুর্যোগ, যুদ্ধেও সর্বমোট এত ক্ষয়ক্ষতি হয় নি। হালাকু খাঁন ঠিক কতটা ক্ষতি করেছিলেন তা স্বয়ং আল্লাহই ভাল বলতে পারবেন। তাঁর নিষ্ঠুরতায় কেবল বাগদাদ নগরীতেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন ১০ লক্ষেরও বেশী মানুষ। এটা সেসময়কার কথা যখন পুরো পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা ছিল ৩৫ কোটি। বলা হয়ে থাকে কেয়ামতের আগে পূর্ব(জাপান-চীন), পশ্চিম(ইউরোপ-আমেরিকা) আর প্রাচ্য(মধ্যপ্রাচ্য) এই তিন অঞ্চলে স্মরণকালের ভয়াবহ যুদ্ধ হবে এবং একটি ঈগল ছানা তার জন্মের পর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কেবল উড়তেই থাকবে কিন্তু নিচে এক ইঞ্চি মাটি দূরে থাক, লাশ ছাড়া আর কিছুই দেখবে না। ঈগল এবং বেশ কিছু পাখি, বিশেষত সাইবেরিয়ার পাখিরা সারাজীবনে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিতে পারে আর এজন্যই এরা শীতে আমাদের দেশের মত নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলগুলোতে আসতে পারে। হালাকু খাঁনের ক্ষয়ক্ষতি এতই ব্যাপক ছিল যে অনেক মুসলমান ধারণা করেছিলেন সেটা কেয়ামতের লক্ষণ এবং কেয়ামত অতি নিকটবর্তী। তাঁর বাহিনী সেসময় সমৃদ্ধ জনপদ্গুলোর জন্য দুর্যোগের চেয়েও ভয়াবহ ছিল। অনেক দেশের মানুষ মনে করত মোঙ্গলরা কুকুরের মাথাওয়ালা বন্য জন্তু। মানুষ মানুষের এত ক্ষতি করতে পারে তা তখন ছিল কল্পনাতীত। হাজারে হাজারে স্তম্ভ, তোরণ, স্থাপনা, বাড়িঘর পুড়িয়ে ছাঁই বানিয়ে দেয়া হয়। তৎকালীন সময়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পাঠাগার ছিল বাগদাদ পাঠাগার যাতে ছিল সেই আমলেই কয়েক লক্ষ বই। এখনকার পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পাঠাগার ব্রিটিশ লাইব্রেরীতে আছে প্রায় ১৭ কোটি উপাদান(বই নয় উপাদান)। উপাদান বলতে কেবল বই নয়, বরং সিডি, ডিভিডি, দলিল-দস্তাবেজ, প্রতিদিনকার খবরের কাগজ এবং ম্যাগাজিনকেও বোঝানো হয়। মোঙ্গলদের হাত থেকে বাগদাদের একটি বইও রেহাই পায় নি। লাখে লাখে বই আর তার চেয়েও কয়েক গুণ বেশী দলিল-দস্তাবেজ পুড়িয়ে, নদীতে ফেলে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হয়। পৃথিবীর ইতিহাসে এরকম ধ্বংসযজ্ঞ আধুনিক যুগে দূরে থাক, বর্বর যুগেও দেখা যায় না। প্রাচীনকালে বর্বর জাতিরা কোন সমৃদ্ধ নগর ধ্বংস করলেও অধিবাসীদের সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখত এবং উল্টো নিজেরা সেই সংস্কৃতি গ্রহণ করে নিজেদের উন্নত করত। মূলত এভাবেই এক নগরের ধ্বংসাবশেষের উপর আরেক নগর গড়ে উঠত এবং এই কারণেই একই অঞ্চলে বিভিন্ন সময়ে বসবাসকারী জাতিগুলোর কৃষ্টিতে বেশ মিল পাওয়া যায়। কিন্তু বিশ্বের ইতিহাসে কেবল মোঙ্গলরাই ছিল ব্যতিক্রম, যারা শুধু অসভ্য ছিল তা নয়, সভ্য হওয়ার কোন ইচ্ছাও তাদের ছিল না। তৎকালীন মুসলিম সালতানাতের প্রধান কেন্দ্র এবং জ্ঞান-গরীমা ও অর্থনীতির এক অন্যতম স্তম্ভ বাগদাদে ছিল বহু গুণী মানুষের বাস। তাদের কাউকেই বাঁচতে দেয় নি মোঙ্গলরা। এই ছিল কেবল বাগদাদের ধ্বংসযজ্ঞের কথা, দামেস্ক, আলামুত নগরসহ হালাকু খাঁন কর্তৃক আক্রান্ত বিস্তৃত অঞ্চলের ধ্বংসযজ্ঞের সঠিক হিসাব কারও কাছেই নেই। প্রাণহানির সংখ্যা হিসেবে আধুনিক বিশ্বযুদ্ধগুলোর নাম প্রথমে আসে কিন্তু সেই প্রাণহানি সমাসাময়িক বৈশ্বিক জনসংখ্যার কত অংশ ছিল তার হিসেব করলে মোঙ্গলদের ধারে কাছেও কেউ নেই। সমগ্র মোঙ্গল খাঁনদের কথা বাদ দিলে, কেবল হালাকু খাঁন একা মানবসভ্যতার যে ক্ষতি করেছিলেন তা দুনিয়ার আজ পর্যন্ত সংগঠিত অন্য কোন যুদ্ধ বা দুর্যোগের মোট ক্ষয়ক্ষতির তুলনায় কয়েক কোটি গুণ বেশী। কারণ আগেই বলা হয়েছে অন্যান্য যুদ্ধগুলোতে বিজয়ী জাতিগুলো বিজিতদের সংস্কৃতির ভাল দিকগুলো গ্রহণ করে সমৃদ্ধ হতে চেষ্টা করত। ঐতিহাসিকদের মতে, বাগদাদের কসাই হালাকু খাঁন সেসময় জনপদগুলোর যে পরিমাণ ক্ষতি করেছিলেন তা পরবর্তী ৫০০ বছরেও কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়ে উঠে নি।
দেখুন ব্লগার শের শায়রীর পোস্ট চেংগিস খাঁ কে নিয়ে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুন, ২০১৪ রাত ৮:৩৩