প্রথম আলোর সংবাদ।
এই আফ্রিকান মাগুর আটকাতেই হবে!
শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০৯:২৪
আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০৯:৩০
প্রশ্নফাঁসের দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা এ পর্যন্ত এসএসসির ১১টি আবশ্যিক পরীক্ষা কলঙ্কিত করেছে। গত সোমবার ছিল জীববিজ্ঞান পরীক্ষা। সেটাতেও বনবিড়ালের কঠিন থাবা বসিয়েছে প্রশ্নফাঁস। এই বনবিড়ালের গলায় ফাঁস লাগতে যাঁরা আদাজল খেয়ে নেমেছেন, হয়রান-পেরেশানে তাঁদের অবস্থা বড্ড কাহিল। ধরপাকড় কিন্তু কম হচ্ছে না, তবে মূল হোতারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
প্রশ্নফাঁসের বিষয়টাকে বনবিড়াল বলার কারণ আছে। চতুর এই চতুষ্পদ প্রাণীর উপদ্রব যে কেমন, তা ভুক্তভোগী গৃহস্থেরা হাড়ে হাড়ে টের পান।.............................
একটু উদাহরণ দিই। উবারের গাড়িতে ...................।ভাড়া চাইতে পারেন না, আমিও দিই .............. মানলে কী হতো?
সমস্যার গোড়া........................।খায়েশ নিয়েই তৈরি হয়। এ........................। ধরা পড়ে বহিষ্কৃত হয়, কারও-বা জোটে নামের পাস। তবে মেধাবীরা.......................নেই।
এটা আসলে উন্নত প্রযুক্তির ......................লুটছে অসদুপায় অবলম্বনকারীরা।
অ------------------------------------- আছেন স্খলিত চরিত্রের একশ্রেণির শিক্ষক, হুজুগে গা-ভাসানো একশ্রেণির শিক্ষার্থী, এমনকি কিছু উচ্চাকাঙ্ক্ষী অভিভাবকও।
২০ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলোর প্রথম পাতায় ছাপা হয়েছে ‘ফাঁস হওয়া প্রশ্ন কিনতে তহবিল’ শীর্ষক খবর। আর এই তহবিল গঠন করেছেন অভিভাবকেরা। ভাবা যায়!
আমাদের দেশে গড়পড়তা অভিভাবক স্বপ্ন------------------লো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া।
এসব লক্ষ্যে অটল থেকে অনেক শিক্ষার্থীই আড়মোড়া ভেঙে পড়াশোনা করে। কিন্তু তারা যখন দেখে, এত খাটাখাটনি করে তারা যে ফলটা পাচ্ছে, পড়াশোনা না করা শিক্ষার্থীরা ফাঁস করা প্রশ্ন ঘেঁটে একরকম বিনা শ্রমেই একই ফল করছে, তখন মানসিক আর নৈতিকভাবে তাদের হতাশ হওয়াটা স্বাভাবিক।
প্রশ্নফাঁসেই যদি মোক্ষলাভ, তবে আর কষ্ট করে বিদ্যার্জন কেন? .................। বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার সময় তাঁরা কয়েকজন একজোট হয়ে বাণিজ্য করে থাকেন।
আমরা বড়ই আবেগপ্রবণ জাতি। নতুনকে যেমন সাদরে গ্রহণ করতে আমাদের জুড়ি নেই, তেমনি বর্জনেও আমরা নির্মম! এই
এ........................ বাংলা ছবির নায়কেরাও এসব প্যান্ট পরেছেন।
আর শার্টের কলার করা হতো গোলাকার। তা ছিল অনেকটা কুকুরের জিবের মতো। ........................।গোটা দেশ ছিল সয়লাব।
ওব বেড়ে যায়। দামে সস্তা নধরকান্তি এসব মাছ দেদার বিক্রি হতে থাকে। আর প্রাণটা কী শক্ত! কাদার মধ্যে ফেলে রাখলেও মরে না। কিন্তু সে হাওয়াও মিলিয়ে যেতে সময় লাগেনি।
মানুষ ঠিকই বুঝে গেছে, এ তো আমাদের শান্ত জলের আদুরে মাগুর নয়। রীতিমতো রাক্ষস! এর মধ্যে ভয়ংকর পরজীবী থাকে। আর এ রাক্ষুসে মাছ পুকুর-বিলের সব প্রাণী খেয়ে সাফ করে দেয়। আফ্রিকান এই দানব মাছ বর্জনে দেশজুড়ে ব্যাপক জনসচেতনতার প্রয়োজন হয়নি। দেশের সব মানুষ নিজ প্রয়োজনে নিজ থেকে বিমুখ হয়েছে। সেই আফ্রিকান মাগুরের এখন দেখা মেলা ভার।
আর একটি মাস পরই এইচএসসি পরীক্ষা। এটাই শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার গড়ার প্রথম সোপান। আমাদের এখন ব্রত হওয়া উচিত, এই পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস আমরা করবই করব। প্রশ্নফাঁস হলে সেদিকে তাকাব । যে করেই হোক, এই ‘আফ্রিকান মাগুর’কে আমরা কাজ লাগাব।
শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া: সাংবাদিক ও সাহিত্যিক
আমার কথা-----এই দেশে সার্টিফিকেট থাকলেই হল।
তারপর চ্যানেল তো আছেই। না হলে বাপের টাকা। মা-নানার সম্পত্তি।
এরপর বৈদেশিক উচ্চডিগ্রি (অবশ্যই টাকা র বিনিময়ে কেননা টাকা থাকলেই বিদেশে পড়া যায়)। তারপর সম্ভ্রান্ত মেয়ের জামাই। সামজিক উচ্চমর্য়াদা। দেশপ্রেম। অতঃপর মৃত্যু ও জান্নাত।
যারা প্রশ্নফাস নিয়ে হাঁসফাস করছে সেই সব কুলাঙ্গার রা কিভাবে উঠে এসেছে সেই ব্যাপারে আগে খোজ নেয়া হোক।